লামের পক্ষে লো

কিছু হয়নি, সবকিছু ঠিকঠাকই আছে—গত পরশু জার্মানির ম্যানেজার অলিভার বিয়েরহফ সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন এ কথা। বিয়েরহফ বললেই হলো? কিছুই ঠিক নেই—সংবাদমাধ্যমের ধারণা মনে হয় এমনই! তাই তো জার্মানির ‘অধিনায়কত্ব’ ঝামেলা নিয়ে কাল আবার অনেক খবর বেরোল। আর সেসব খবরের মূল কথা একটাই—জার্মানি দলে অধিনায়কত্ব নিয়ে মহাগণ্ডগোল।
জার্মানির কোনো পত্রিকা লিখেছে, মাইকেল বালাককে জার্মানির শিবির থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আবার কোনোটিতে ছাপা হয়েছে, কোচ জোয়াকিম লো-ও আর বালাককে চাইছেন না, সমর্থন দিচ্ছেন লামকেই। এক পত্রিকা এমনও লিখেছে, লোথার ম্যাথাউস নাকি বালাককে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিদায় নেওয়ারই পরামর্শ দিয়েছেন।
ঝামেলার শুরু বিল্ড পত্রিকাকে দেওয়া জার্মানির বিশ্বকাপ অধিনায়ক ফিলিপ লামের একটি সাক্ষাৎকারের কিছু কথা নিয়ে। যাতে লাম বলেছেন, নিজের দিক থেকে অধিনায়কত্ব ছাড়ার কোনো ইচ্ছাই তাঁর নেই। ওই সাক্ষাৎকার ছাপা হওয়ার দিনই জার্মানি দল ছেড়ে চলে যান বালাক।
পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছে, লামের ওই কথাই বালাকের চলে যাওয়ার কারণ। কিন্তু ম্যানেজার বিয়েরহফ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘এটা আসলে কাকতাল। বালাকের এমনিতেই এদিন চলে যাওয়ার কথা ছিল। জার্মানি ফাইনালে উঠলে ও আবার আসবে।’
তা বালাক নিজে কী বলেন? এসেনসিয়াল পত্রিকা জিজ্ঞেস করেছিল তাঁকে, কিন্তু এ নিয়ে কোনো কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন বালাক, ‘আমি এ বিষয়টি নিয়ে কোনো কথাই বলতে চাই না।’ তবে কথা বলেছেন জার্মানির কোচ লো। তাতে লামের প্রতি পরিষ্কার সমর্থন, ‘ও মনের কথাটাই শুধু বলেছে। এই বাড়তি দায়িত্বটা সে উপভোগ করছে এবং কাজটা ভালোভাবেই করছে। অধিনায়কত্বটা উপভোগ করছে আর ইচ্ছে করে ছাড়বে না, ও এটা যেমন বলেছে, তেমনই এটাও তো বলেছে, পুরো ব্যাপারটাই কোচের ওপর।’
স্পেনের বিপক্ষে সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে হঠাৎই জার্মান শিবিরে এই অনাহূত বিতর্ক। ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে লো অবশ্য দাবি করলেন, ‘এ ব্যাপারটা আমাদের মোটেই ভাবাচ্ছে না।’

No comments

Powered by Blogger.