কঠিন সময় যাচ্ছে রিবেরির

অদ্ভুত এক সময়ের হাতে বন্দী ফ্রাঙ্ক রিবেরি। বিশ্বকাপে ফ্রান্সের ভরাডুবি, দেশবাসীর চক্ষুশূল হয়ে থাকা, এরই মধ্যে অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক পতিতার সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগে শাস্তির মুখোমুখি। দুঃসময় যখন আসে, চারদিক দিয়েই আসে!
রিবেরি আর তাঁর ফ্রান্স সতীর্থ করিম বেনজামাও একই অপরাধে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। গত মঙ্গলবার সাত ঘণ্টা ধরে প্যারিসে তাঁদের জেরা করেছে পুলিশ। ১৮ বছরের নিচে কারও সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়ালে ফ্রান্সের আইন অনুযায়ী তিন বছরের সাজা হতে পারে। জার্মানির নিয়মে শাস্তিটা আরও বড়। জেল হতে পারে ৫ বছর পর্যন্ত!
জাহিয়া দেহার নামের ওই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কথা স্বীকার করেছেন রিবেরি। এও বলেছেন, এই তরুণীর বয়স যে ১৮ বছরের নিচে, সেটি জানতেন না। বায়ার্ন মিউনিখ মিডফিল্ডার স্বীকার করেছেন, কঠিন সময় পার করতে হচ্ছে তাঁকে, ‘জীবনে কখনো কখনো এমন সময় আসে, যখন প্রচণ্ড চাপ আর হতাশার ভেতর দিয়ে যেতে হয়। সেই সময়টাই যাচ্ছে এখন আমার। এই নাজুক সময়টা আমাকে পার করতেই হবে, যেটা আমার জন্য সহজও নয়। এখন সাধারণ মানুষের চোখ আমার ওপর। এটা মেনে নিতেই হবে। কিন্তু এই চাপ সব সময় সামলানোও সহজ নয়।’
তবে কি নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন তিনি? ২৭ বছর বয়সী ফরাসি তারকা জানালেন, ‘আমি ভবিষ্যৎ কিংবা ক্যারিয়ার নিয়ে মোটেও উদ্বিগ্ন নই।’ রিবেরি উদ্বিগ্ন নন আরেকটি কারণে। মানুষের মনে নিজের হারানো জায়গা তিনি উদ্ধার করতে পারবেন বলে আশাবাদী, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী। আমাকে নিয়ে যারা সংশয় প্রকাশ করছে, তাদের বিশ্বাস আবার ফিরিয়ে আনব। আমি তাদের মধ্যে আবারও আনন্দ ফিরিয়ে আনব আমার দুর্দান্ত ড্রিবলিং দিয়ে, ইতিবাচক খেলে, গোলের পর গোল করে।’
অবশ্য রিবেরির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটি, সেই ক্লাবের সমর্থন তিনি পাচ্ছেন। বায়ার্নের চেয়ারম্যান কার্ল-হেইঞ্জ রুমেনিগে তো এমনও দাবি করলেন, ‘বিশ্বকাপ ব্যর্থতার বলি বানানোর জন্যই রিবেরিকে নিয়ে এসব ছড়ানো হচ্ছে।’ বেনজেমার পাশেও দাঁড়িয়েছে তাঁর ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ।

No comments

Powered by Blogger.