দুই দলের দুই প্রতীক

ক্লাবের ফোরলান উরুগুয়ের নয়—ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ জুড়েই লেগে থাকা এই অপবাদ ঘুচিয়েছেন এবারের বাছাইপর্বেই, দলের সর্বোচ্চ ৭ গোল করে। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে ডিয়েগো ফোরলান বুঝিয়ে দিয়েছেন, শুধু নামেই নয়, মাঠের পারফরম্যান্সেও উরুগুয়ের সবচেয়ে বড় তারকা তিনি। দুবার করে লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার ‘পিচিচি ট্রফি’ এবং ইউরোপীয় সোনার বুট জেতা স্ট্রাইকার বিশ্বকাপে এসেছিলেন ফর্মের তুঙ্গে থেকে। সদ্য শেষ মৌসুমে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে করেছেন ২৮ গোল। এবার প্রথম ম্যাচে গোল পাননি, তবে পুষিয়ে দিয়েছেন পরের ম্যাচে দু গোল করে। এর মধ্যে প্রথমটি তো ছিল অসাধারণ, এখনো পর্যন্ত এই বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা। তিন ম্যাচে গোল ওই দুটিই, তবে সুযোগ সৃষ্টি করেছেন অসংখ্য। বদলে যাওয়া ফোরলান আজও উরুগুয়ের ভরসা।
দেশের হয়ে ভালো খেলতে না পারার দুর্নাম আবার পার্ক জি-সুংয়ের কখনোই ছিল না। বরং দেশের হয়ে দুর্দান্ত খেলেই নজর কেড়েছেন ইউরোপের বড় বড় ক্লাবের। ২০০২ বিশ্বকাপে পর্তুগালের বিপক্ষে অসাধারণ এক গোল করে নিজেকে চিনিয়েছিলেন বিশ্বমঞ্চে, গত বিশ্বকাপেও ফ্রান্সের বিপক্ষে করেছিলেন দারুণ এক গোল। অধিনায়কের আর্মব্যান্ড হাতে পার্ক এবার আরও অপ্রতিরোধ্য। গোল পেয়েছেন কেবল একটি, তবে যে দুটি ম্যাচ জিতে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে দক্ষিণ কোরিয়া, দুটোতেই সেরা হয়েছেন পার্ক। প্রাণভোমরা বলতে যা বোঝায়, পার্ক দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য আক্ষরিক অর্থেই তা। অবিশ্বাস্য দমের জন্য ‘থ্রি লাংস’ উপাধি পেয়ে যাওয়া পার্ক আজও দাপিয়ে বেড়াবেন পুরো মাঠ, নিচে নেমে যেমন ফোরলানদের ঠেকাবেন, তেমনি আতঙ্ক হয়ে উঠবেন উরুগুয়ের সীমানায়।

No comments

Powered by Blogger.