একই সুতোয় ইসনার-মাহুত

জন ইসনারের র‌্যাঙ্কিং ১৯, নিকোলাস মাহুতের ১৪৯। গ্র্যান্ড স্লাম জেতেননি কেউই। তবে টেনিস ইতিহাসের একটা জায়গায় সারা জীবন তাঁদের দুজনের নাম একই ফ্রেমে বাঁধা থাকবে। পরশু উইম্বলডনের প্রথম রাউন্ডে ১১ ঘণ্টা ৫ মিনিটের অবিশ্বাস্য এক ম্যাচ শেষে ইতিহাসে ঢুকে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জন ইসনার ও ফরাসি নিকোলাস মাহুত। ম্যাচ শেষে ইসনারকে অভিনন্দন জানাতে লকার রুমে ছুটে গিয়েছিলেন স্বদেশি অ্যান্ডি রডিক। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন পিৎজা, মুরগির মাংস আর আলু সিদ্ধ।
ইসনার ও মাহুত দুজন হয়তো আরও অনেক ম্যাচ খেলবেন, ভবিষ্যতে অনেকবার দেখাও হবে তাঁদের, কিন্তু এই স্মৃতি সারা জীবনই অমলিন হয়ে থাকবে। ইসনারও বলছেন সে রকমই, ‘এটা এমন এক ঘটনা যেটা আজীবনের জন্য আমাদের এক করে দিল। অথচ এ ম্যাচের আগে ওর (মাহুত) সঙ্গে আমার পাঁচটা শব্দও বিনিময় হয়েছে বলে মনে হয় না। মানুষ হিসেবে ও খারাপ হয়তো নয়, তার পরও বিষয়টা এ রকমই। তবে এখন থেকে কোনো টুর্নামেন্টের লকার রুমে দেখা হলে অবশ্যই আমাদের মধ্যে এসব নিয়ে কথা হবে।’ টেনিস ইতিহাসে ঢুকে যাওয়া এই ম্যাচে ইসনার ৬-৪, ৩-৬, ৬-৭ (৭/৯), ৭-৬ (৭/৩), ৭০-৬৮ গেমে হারিয়েছেন মাহুতকে। দুজন খেলেছেন ১৮৩টি গেম। ‘এস’ হয়েছে রেকর্ড সর্বোচ্চ ২১৫টি। এর মধ্যে ১১২টি ইসনারের, মাহুতের ১০৩টি। ফেদেরারের ম্যাচের বদলে ১৮ নম্বর কোর্টের দিকেই সেদিন ছিল সবার নজর। ‘উইম্বলডনে হয়েছে বলেই সম্ভবত এটা টেনিস-বিশ্বের বড় ঘটনা। যারা টেনিসের খোঁজখবর রাখে তাদের সবারই চোখ ছিল এই টুর্নামেন্টে’—বলেছেন ইসনার। তবে হেরেও মাহুত প্রশংসায় ভাসালেন প্রতিপক্ষকে, ‘এটা অবিশ্বাস্য। অবিশ্বাস্য সব সার্ভ করেছে ও। আসলেই সে চ্যাম্পিয়ন।

No comments

Powered by Blogger.