রুনির বালিশ-রহস্য!

শেষতক ‘ঘুম নেই’ বলে নিজের যন্ত্রণার কথা জানিয়েছিলেন কর্তাব্যক্তিদের কাছে। ভেড়ার পাল গোনার পন্থাটা হয়তো প্রয়োগ করেছিলেন তিনি। হয়তো ঢুঁ মেরেছিলেন বিশেষজ্ঞের আস্তানায়। লাভের লাভ কিছুই হয়নি। ‘ঘুমপাড়ানি মাসি পিসি’ গানটা তো বেচারা ওয়েইন রুনির জানার কথা নয়! না হলে এই গানটা তাঁর কানের কাছে বাজানো যেত। কিংবা ভয় দেখানো যেত রাক্ষস-খোক্কসের গল্প শুনিয়ে! বাংলা না জানার যে কত বিপদ! ওয়েবসাইট।
তবে মুশকিল থাকলে আসানও থাকে। রুনি এখন দিব্যি ঘুমাচ্ছেন। কেমন করে? খেলার পাতায় স্বাস্থ্যপাতার একটা তথ্য জেনে নিন এবেলা। রুনির মতো এমন নির্ঘুম রাত কাটানো মানুষদের দুর্ভোগ লাঘবে সুরেলা এক বালিশই উদ্ভাবন করে ফেলেছে যুক্তরাজ্যের একটি প্রতিষ্ঠান! ছোট ছোট স্পিকার জুড়ে দেওয়া আছে সেই বালিশে। চাইলে যেকোনো সময় নিজের পছন্দের গানটা শোনার ব্যবস্থা আছে তাতে। আছে আইপড ও রেডিও শোনার সুবিধাও। আর তাই রুনি যেখানেই যাচ্ছেন বালিশটাকে বগলদাবা করতে ভুলছেন না মোটেও। তার প্রমাণ গত পরশু দক্ষিণ আফ্রিকায় বিমান থেকে নামার সময়ও পাওয়া গেছে। কোলের সন্তানের মতো রুনি পরম মমতায় জড়িয়ে ধরে আছেন একটা সাদা বালিশ!
সুরেলা বালিশের প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তি জেমি মরিউসেফ জানিয়েছেন, ‘ওয়েইনের সমস্যার কথা শুনে সুরেলা বালিশটি তাঁকে দিয়েছিলাম আমরা।’ বিমানবন্দরে রুনির ওই বালিশ দেখেছে সারা বিশ্ব। এই ফাঁকে মুফতে নিজেদের একটা জম্পেশ বিজ্ঞাপনও হয়ে গেছে মরিউসেফদের। আর বালিশটির দাম কত জানেন? মোটে ২০ পাউন্ড, বাংলাদেশি টাকায় দুই হাজারের মতো।
আপনারও কি ‘ঘুম নেই’?

No comments

Powered by Blogger.