বেইজিংয়ের সামরিক বিনিময় স্থগিত করাকে দুঃখজনক বলেছে পেন্টাগন

চীন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক বিনিময় স্থগিত করে দেওয়ার ঘটনাকে দুঃখজনক বলে অভিহিত করেছে পেন্টাগন। তাছাড়া পেন্টাগন তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির সঙ্গে সম্পৃক্ত মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াকেও দুঃখজনক বলেছে। খবর এএফপির।
গত শুক্রবার কংগ্রেসে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ও ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তাইওয়ানের কাছে বিক্রিসংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সামরিক বিনিময় স্থগিত করার ঘোষণা দেয় বেইজিং। এ ছাড়া কৌশলগত নিরাপত্তা, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও পরমাণু অস্ত্র-বিস্তার রোধসংক্রান্ত উচ্চপর্যায়ের একটি সংলাপ স্থগিত করে চীন।
পেন্টাগনের মুখপাত্র জিওফ মোরেল গত শনিবার বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সামরিক বিনিময় স্থগিত করে দেওয়ার ঘটনাকে আমরা দুঃখজনক বলে অভিহিত করছি। এ ছাড়া তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করাটাও আমরা ভালোভাবে নেইনি।’
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লরা টিসলার বলেন, তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করলে তা সে দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এর আগে ২০০৮ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের আমলেও তাইওয়ানের সঙ্গে একটি অস্ত্র চুক্তি করা হয়। সে সময় চীন সাময়িকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক স্থগিত করে দেয়।
চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়াং জিউপিং বলেন, তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার সম্পর্কে অবনতি ঘটতে পারে। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে উসকে দিচ্ছে ওয়াশিংটন। হোয়াইট হাউস তাইওয়ানের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে অঙ্গীকারবদ্ধ।
উল্লেখ্য, তাইওয়ানকে নিজস্ব ভূখণ্ডের অংশ মনে করে চীন। পুনরেত্রীকরণের জন্য প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের হুমকিও দিয়ে আসছে বেইজিং।

No comments

Powered by Blogger.