বার্সেলোনা-এস্তুদিয়ান্তেস ফাইনাল

প্রথম ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে আবুধাবিতে পা রেখেছে বার্সেলোনা। সেই স্বপ্ন পূরণের মাত্র একটা ধাপই বাকি আছে। কাল সেমিফাইনালে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়ন মেক্সিকোর ক্লাব আটলান্টেকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেছে বার্সা। আগামী শনিবার অনুষ্ঠেয় ফাইনালে এস্তুদিয়ান্তেসের বিপক্ষে খেলবে পেপ গার্দিওলার দল।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে প্রথমে অবশ্য পিছিয়ে পড়েছিল ইউরোপসেরা বার্সেলোনাই। ৫ মিনিটে আটলান্টেকে এগিয়ে দিয়েছিলেন গুইলার্মো রোজাস। ৩৫ মিনিটে বার্সাকে সমতায় ফেরান সার্জিও বাসকেটস। চোটের কারণে না খেলারই কথা ছিল লিওনেল মেসির। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁকে বদলি হিসেবে মাঠে নামান কোচ পেপ গার্দিওলা। মাঠে নামার পর ৫৫ মিনিটে প্রথম স্পর্শেই অসাধারণ এক গোল করে দলকে এগিয়ে দেন এই আর্জেন্টাইন তারকাই। ১২ মিনিট পর ব্যবধান বাড়ানো গোলটি করেছেন পেদ্রো।
এস্তুদিয়ান্তেস ফাইনালে উঠেছে পরশু এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কোরিয়ান ক্লাব পোহাং স্টিলার্সকে ২-১ গোলে হারিয়ে। দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে অবশ্য সমানে সমান লড়েছিল পোহাং। তবে ৮ মিনিটের দুটি গোল এবং ২১ মিনিটের ব্যবধানে তিনটি লাল কার্ড এলোমেলো করে দেয় সব। প্রথমার্ধে ইনজুরি সময়ের দ্বিতীয় মিনিট এবং দ্বিতীয়ার্ধের ৫৩ মিনিটে লিওনার্দো বেনিতেজের করা দুই গোলে ০-২-এ পিছিয়ে পড়ে পোহাং।
এস্তুদিয়ান্তেস কোচ আলেজান্দ্রো সাবেল্লা ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখছেন এটাকেই, ‘প্রথমার্ধের শেষ কুড়ি মিনিট তো সমানে সমান খেলা হয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটাও হয়েছিল সে রকমই। কিন্তু দ্বিতীয় গোলটা আমাদের মানসিক দিক দিয়ে এগিয়ে দিয়েছে। আর ওদের করে দিয়েছে হতাশ।’
কিন্তু পোহাংয়ের কোচ সার্জিও ফারিয়াস দলের পরাজয়ের কারণ দেখছেন ৫৬ থেকে ৭৭ মিনিটের মধ্যে তিনটি লাল কার্ড দেখাতে,‘দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খেলতে পারি। আমাদের তিনজন খেলোয়াড় বহিষ্কৃত হয়েছে। তা না হলে গল্পটা অন্য রকম হতে পারত।’
৫৬ মিনিটে অধিনায়ক জা ওন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। ৭১ মিনিটে ডেনিলসনের মাধ্যমে একটি গোল শোধ দিয়েছিল পোহাং। ওই গোলটি পাওয়ার পরের মিনিটেই যে হুয়ান ভেরনকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কিম জা-সুং। ৬ মিনিট পর বক্সের বাইরে হাত দিয়ে বল ধরার অপরাধে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন গোলরক্ষক সিন হা ইয়ং। শেষ ১৩ মিনিট আটজনকে নিয়ে খেলতে হয় দক্ষিণ কোরিয়ান ক্লাবটিকে।

No comments

Powered by Blogger.