সেমিফাইনালে উঠে গেল ভারত

প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারাতে ঘাম ঝরেছিল ভারতের। দ্বিতীয় ম্যাচেও একই অবস্থা। তার পরও নেপালের বিপক্ষে জয় এল। দুই জয়ে ‘এ’ গ্রুপ থেকে সবার আগে সেমিফাইনালে উঠে গেল তারুণ্যনির্ভর ভারত।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে এক গোলে জিতেছিল ভারত, কাল নেপালের বিপক্ষেও তাই। ১৮ মিনিটে স্ট্রাইকার জীবন সিং খানজেমবাম এনে দিয়েছেন মহামূল্যবান গোলটি।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপ নেপালের সঙ্গে ড্র করেছিল প্রথম ম্যাচে। কাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও জিতল ৩-১ গোলে। সেমিফাইনালে যাওয়া না-যাওয়ার কথা জানতে মালদ্বীপকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ভারতের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত।
নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে ভারতের গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্যকে বেশি করে পিঠ চাপড়ালেন সতীর্থরা। ছবিও তোলা হলো অরিন্দমের। ডিজিটাল ক্যামেরার ফ্ল্যাশে উজ্জ্বল হয়ে উঠল কলকাতার ১৯ বছর বয়সী তরুণের মুখ। দ্বিতীয়ার্ধে চাপের মুখে ভারতকে বেশ কয়েকবার বাঁচিয়েছেন তিনিই। নেপাল কোচ কৃষ্ণা থাপাও প্রশংসা করলেন অরিন্দমের, ‘আমরা খুব ভালো খেলেছি। ওদের গোলকিপারের কারণেই গোল পাইনি।’
দিনের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তান শুরুতে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল মালদ্বীপকে। প্রথমার্ধ ছিল তাদেরই নিয়ন্ত্রণে। ৩২ মিনিটে গোল করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন হাসমতউল্লাহ বারকেজাই। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে জেগে ওঠে মালদ্বীপ। ৫২ মিনিটে গোল শোধ করে দেন আহমেদ তরিক। এর পর জ্বলে ওঠেন অধিনায়ক আশফাক আলী। মালদ্বীপের সেরা খেলোয়াড়ের ড্রিবলিং ছিল চোখে পড়ার মতো। ৭০ ও ৮৯ মিনিটে দুই গোল করে দলকে জিতিয়েও দেন তিনি।
পিছিয়ে পড়েও জিততে পেরে খুবই খুশি মালদ্বীপের হাঙ্গেরিয়ান কোচ উরবানি ইস্তাবেলা, ‘যেভাবে আমরা জিতলাম, তাতে আমরা খুশি। প্রথমার্ধে ম্যাচের যা অবস্থা ছিল, তাতে যে কেউ জিততে পারত। বিরতির সময় ড্রেসিংরুমে গিয়ে সবাইকে বুঝিয়েছি। দ্বিতীয়ার্ধে সবাই যেন নতুনভাবে জেগে উঠেছিল।’
এদিকে হেরেও খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে খুশি আফগান কোচ ইউসুফ কারাগার, ‘আমার দলটা একেবারেই তরুণদের নিয়ে গড়া। এখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতেও সমস্যা হচ্ছে। তা ছাড়া মালদ্বীপ খুব অভিজ্ঞ দল। দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা কয়েকটি সুযোগ মিস করেছি। তারপরও ছেলেরা যেভাবে খেলেছে তাতে আমি খুশি।’

No comments

Powered by Blogger.