পুতিন এখন পুরোপুরি পাগল: ট্রাম্প
ট্রাম্প আরও বলেন, আমি সবসময় বলেছি, পুতিন ইউক্রেনের একটা অংশ নয়, পুরোটা চায়। এখন হয়তো সেটাই সত্যি প্রমাণ হচ্ছে। কিন্তু যদি সে তা করে, তাহলে তা হবে রাশিয়ার পতনের সূচনা! পূর্বে পুতিনের প্রশংসা করলেও সম্প্রতি ট্রাম্প রাশিয়ার ক্রমাগত আক্রমণ ও যুদ্ধবিরতির আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মরিসটাউন বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ট্রাম্প বলেন, আমি জানি না তার কী হয়েছে। আমি পুতিনকে অনেক দিন ধরে চিনি, সবসময় তার সঙ্গে মিলেমিশেই চলেছি। কিন্তু তিনি এখন শহরে রকেট ছুড়ছেন, মানুষ মেরে ফেলছেন। আমি এটা একেবারেই পছন্দ করছি না।
তিনি একইসঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, তিনি যেভাবে কথা বলেন, সেটা সমস্যার কারণ। আমি সেটা পছন্দ করি না, আর এটা বন্ধ হওয়া দরকার।
ট্রাম্প পুনরায় দাবি করেন যে, আমি প্রেসিডেন্ট থাকলে এই যুদ্ধ শুরুই হতো না। এটা জেলেনস্কি, পুতিন ও বাইডেনের যুদ্ধ, ‘ট্রাম্পের’ নয়। আমি কেবল চেষ্টা করছি বড় বড় আগুন নিভাতে, যা তৈরি হয়েছে চরম অদক্ষতা ও ঘৃণা থেকে।
সম্প্রতি রাশিয়ার চালানো সর্ববৃহৎ আকাশ হামলায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৮ ও ১২ বছর বয়সী দুটি শিশু এবং ১৭ বছরের এক কিশোর রয়েছে। হামলাটি হয় ইউক্রেনের ঝাইটোমির অঞ্চলে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সামাজিক মাধ্যমে বলেন, রাশিয়ার নেতৃত্বের ওপর সত্যিকারের চাপ না দিলে এই বর্বরতা থামবে না। এই হামলার কয়েকদিন আগেই উভয় দেশ ১,০০০ করে বন্দি বিনিময় করেছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এ সংখ্যা সর্ববৃহৎ।
ট্রাম্প সোমবার দুই ঘণ্টার ফোনালাপে পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন যে, মস্কো ও কিয়েভ যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ‘তাৎক্ষণিকভাবে’ বসতে যাচ্ছে। তবে পুতিন কোনো যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি দেননি। তিনি শুধু বলেন, একটি ‘সমঝোতা স্মারক’ তৈরির মাধ্যমে মস্কোর শান্তির দাবি তুলে ধরা হবে।
রাশিয়ার ড্রোন হামলায় ইউক্রেনে নিহত ১৪, যুক্তরাষ্ট্রের নীরবতাকে দায়ী করলেন জেলেনস্কি
ইউক্রেনে বড় ধরনের ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শনিবার দিবাগত রাতভর চালানো রাশিয়ার হামলায় কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছে। আহতের সংখ্যা কয়েক ডজন। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এক রাতে এবারই বহু সংখ্যক ড্রোন দিয়ে হামলা চালালো মস্কো। ২০২২ সালে হামলার পর থেকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ভয়াবহ হামলার পরদিনই ওই হামলা চালানো হয়েছে। এদিকে রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নীরবতা দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, এখনও যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হননি রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট মনে করেন রাশিয়াকে থামাতে পুতিনের ওপর শক্তিশালী চাপ দেয়া প্রয়োজন। জেলেনস্কি বলেছেন, শক্তিশালী চাপ ব্যাতীত রুশ নেতৃবৃন্দকে এমন নিষ্ঠুরতা থেকে নিবৃত করা যাবেনা। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নীরবতাকে দায়ী করেছেন তিনি। বলেছেন, আমেরিকার নীরবতা কেবল পুতিনকে উৎসাহিত করতে থাকবে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। এ সময়ের মধ্যে ইউক্রেনের ২০ শতাংশ ভূমি দখলে নিয়েছে মস্কো। যার মধ্যে ক্রিমিয়াও রয়েছে। এটি ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের একটি উপদ্বীপ। যা ২০১৪ সালে নিজেদের সঙ্গে সংযুক্ত করে রাশিয়া।

No comments