আগামী মাসে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে মাল্টা: ইসরাইলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান স্পেনের

আগামী মাসে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেবে মাল্টা। মাল্টার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট অ্যাবেলা রোববার এ ঘোষণা দিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা আনাদোলু। মাল্টা টুডে’কে উদ্ধৃত করে খবরে বলা হয়, একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকালে অ্যাবেলা স্থানীয় ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। এর মধ্যে গাজার মানবিক সংকট বিশেষভাবে গুরুত্ব পায়।

প্রধানমন্ত্রী অ্যাবেলা বলেন, আমরা এই মানবিক ট্র্যাজেডির দিকে চোখ বন্ধ করে থাকতে পারি না। এই ট্রাজেডি প্রতিদিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। তিনি গাজায় চালানো ইসরাইলের নৃশংস বোমাবর্ষণের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, এতে প্রায় ৫৪,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর বেশির ভাগই নারী ও শিশু। অ্যাবেলা আরও বলেন, এই সিদ্ধান্ত আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে ২০ জুনের এক সম্মেলনের পর।

মাল্টা এই ঘোষণার মাধ্যমে স্পেন, নরওয়ে এবং আয়ারল্যান্ডের মতো দেশগুলোর কাতারে যোগ দিচ্ছে। এসব দেশ সম্প্রতি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংকট এবং গাজার ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে একটি শক্তিশালী বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

ইসরাইলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান স্পেনের

গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসন থামাতে এবার আরও জোরালো পদক্ষেপের পক্ষে অবস্থান নিল স্পেন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেস বলেছেন, এই যুদ্ধের আর কোনও যৌক্তিক লক্ষ্য নেই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এখন ইসরাইলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ।

রোববার স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে আয়োজিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ২০টি ইউরোপীয় ও আরব দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা অংশ নেয়। বৈঠকের মূল লক্ষ্য- এই যুদ্ধ থামানো এবং গাজায় বাধাহীন, নিরপেক্ষ ও ব্যাপকভাবে মানবিক সহায়তা প্রবেশ নিশ্চিত করা। আলবারেস বলেন, ইসরাইল যেন নির্ধারণ না করতে পারে কে খাবে আর কে খাবে না। খাদ্য ও ওষুধের প্রবেশাধিকার একটি মৌলিক মানবিক অধিকার।

সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তারা ইসরাইলের সঙ্গে বিদ্যমান সহযোগিতা চুক্তি পুনঃমূল্যায়ন করবে। এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আলবারেস বলেন, এখন সময় এসেছে সব ধরনের পদক্ষেপ নিষেধাজ্ঞাসহ বিবেচনায় আনার। যুদ্ধ থামাতে যা কিছু সম্ভব, তা করতে হবে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতে ইউরোপ ও আরব বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান গড়ে তুলতে চায় স্পেন। বিশ্লেষকদের মতে, যদি এই সম্মেলন থেকে নিষেধাজ্ঞার বাস্তব পদক্ষেপ বা প্রস্তাবনা আসে, তবে সেটি হবে গাজা যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক মহলের সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপগুলোর একটি।

mzamin

No comments

Powered by Blogger.