এনায়েতের হাজার কোটির সম্পদ by শুভ্র দেব
বর্তমানে তিনি ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। এই সাইনবোর্ড ব্যবহার করেই তিনি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। সরকার পতন পর্যন্ত তিনি পরিবহন সেক্টরে একক রাজত্ব সৃষ্টি করেছেন। সিন্ডিকেট গড়ে তুলে নানা অজুহাতে বাস মালিকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন কয়েক হাজার কোটি টাকা। দেশে- বিদেশে গড়ে তুলেছেন বিপুল পরিমাণ বিত্ত-বৈভব। বিদেশে পাচার করেছেন অন্তত হাজার কোটি টাকা। সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী দিয়ে তিনি পরিবহন সেক্টরকে জিম্মি করে রাখতেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ৫ই আগস্ট পতন পর্যন্ত টানা ১৬ বছর ধরে তিনি ঢাকা সড়ক পরিবহন ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি তালুবন্দি করেছিলেন। সংগঠনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পদ ছিল তার দখলে। পরিবহন সেক্টরে মাফিয়া বনে চাঁদাবাজি করে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেটা আমলে নেননি। বরং সব সেক্টরকে ম্যানেজ করে দিব্যি প্রকাশ্য চাঁদাবাজি করতেন। সড়কে নানা অপ্রীতিকর ঘটনার পর ২০১৮ সালে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছিল। নৈরাজ্য রুখতে সরকারের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ, কমিটি, সভা-মিটিং করা হয়েছিল। কিন্তু এনায়েত ও তার কয়েকজন সহযোগীর কারণে সরকারের কোনো পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এতে করে সড়কে বাসচালকরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। যার ধারাবাহিকতা এখনো আছে। প্রতিদিনই সড়কে বেপরোয়া যানবাহন চালানোর জন্য একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে।
পরিবহন সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, পরিবহন সেক্টরের যত অরাজকতা হয়েছে তার মূলহোতা খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। তার সঙ্গে ছিল বড় ধরনের একটি চক্র। এনায়েত উল্লাহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রভাবশালী নেতাদের চাঁদাবাজির ভাগ দিয়ে বশ করে নিতেন। এ ছাড়া সরকারে সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রী, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাসে মাসে টাকা দিতেন। এসব কারণে প্রকাশ্য চাঁদাবাজির মতো ঘটনার পরও কেউ প্রতিবাদ বা মুখ খোলার সাহস পায়নি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, খন্দকার এনায়েত উল্লাহ ১৯৮৪ সালে মধ্যপ্রাচ্যে থেকে এসে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে পার্টনারশিপে একটি মিনি বাস কিনেন। বাসটি মিরপুর-গুলিস্তান রোডে চলাচল করতো। ১৯৮৭ সালে তিনি মিরপুর-গুলিস্তান রুটের মিনিবাস মালিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক হন। পরে ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি নড়েচড়ে বসেন। ওই সময় ১১ দফা দাবি নিয়ে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা দেশব্যাপী ধর্মঘট করে। এনায়েত উল্লাহ ধর্মঘটের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আলোচনায় আসেন। উপহার হিসেবে তিনি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদ পান। ওই সময় থেকেই তিনি পরিবহন সেক্টরের চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৯৯ সালের ভেতরে তিনি ২০টি বাসের মালিক হন। আর এখন তিনি এনা পরিবহন নামক একটি কোম্পানির মালিক।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, খন্দকার এনায়েত উল্লাহ তার কিছু সহযোগীদের নিয়ে পুরো পরিবহন সেক্টরকে জিম্মি করে রেখেছিলেন। ঢাকার প্রতিটি বাস টার্মিনালই তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এ ছাড়া সারা দেশের বাস-মিনি বাস, ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির কাছ থেকেও চাঁদাবাজি করতেন। বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাস মালিকদের কাছ থেকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করেছেন। দৈনিক চাঁদার পাশাপাশি মাসিক চাঁদাও নিতেন। এ ছাড়া নতুন বাস কোনো রুটে দিতে হলে তাকে ২ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হয়। আবার কোনো কোম্পানি নতুন বাস কিনলে সেখান থেকে একটি ভাগ এনায়েত উল্লাহর ব্যাংক হিসাবে দেয় ওই কোম্পানি। না দিলে ওই কোম্পানির বাস সড়কে নামতে দেয়া হয় না। তাই ওই কোম্পানি বাস বিক্রির সময়ই মালিকের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা বেশি নেয়। এভাবে প্রায় দেড় দশকে কামিয়েছেন হাজার কোটি টাকা।
কি নেই তার? বাড়ি-গাড়ি, ফ্ল্যাট-প্লট, ফ্যাক্টরি, হোটেল-মোটেল, বিদেশে সেকেন্ড হোম, ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা। মানবজমিন-এর অনুসন্ধানে এনায়েত উল্লাহর বেশকিছু সম্পদের তথ্য মিলেছে। এসব সম্পদের মধ্যে রয়েছে ধানমণ্ডির ১১/এ ৬২নং কনকর্ড টাওয়ারে ১টি ফ্ল্যাট, একই রোডের ৭৯নং সুবাস্তু টাওয়ারে ১টি, ধানমণ্ডির ১০ নম্বর সড়কের ১১নং কনকর্ড টাওয়ারের আরেকটি ফ্ল্যাট। গুলশানে আছে তার তিনটি ফ্ল্যাট। ইস্কাটন এবিসি টাওয়ারে রয়েছে একটি ফ্ল্যাট। ধানমণ্ডিতে তার দুটি, পল্লবীতে ৫ কাঠা জমির উপর বহুতল ভবন। মিরপুরে তার রয়েছে ৫টি বহুতল ভবন। এরমধ্যে সাততলা থেকে শুরু করে ১৫ তলা পর্যন্ত। মিরপুর-১ নম্বরে বেড়িবাঁধ চটবাড়িতে (ছায়ানীড় হোটেলের পাশে) প্রায় ১২০ কোটি টাকা মূল্যের ১৭২ শতাংশ জমি, সিলেটে প্রায় ৭৬ কোটি টাকা মূল্যের ১২০ কাঠা জমি। ঢাকা টু ময়মনসিংহ, গাবতলী টু নাগেশ্বর, ঢাকা টু কক্সবাজার, ঢাকা টু চট্টগ্রাম, ঢাকা টু সিলেট, ঢাকা টু ফেনীতে তার শতাধিক কাউন্টার রয়েছে। প্রত্যেকটি কাউন্টার জমি কিনে তৈরি করা হয়েছে। না হয় নগদ টাকায় কেনা হয়েছে। প্রতিটি কাউন্টারের জন্য ২০ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত টাকা দেয়া আছে। ময়মনসিংহের ভালুকায় ৭৫ বিঘা জমির উপর এনা ফুডস কোম্পানি ও তার পাশে রয়েছে আরও ১৫০ বিঘা জমি। পূর্বাচল ৩০০ ফিট রাস্তার পাশে প্রায় শত বিঘা জমি। সিলেট কদমতলী বাস টার্মিনালে এনা পরিবহনের নিজস্ব টার্মিনাল। সেখানেই ২০ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। মহাখালীতে নিজস্ব জমিতে এনা পরিবহনের অফিস। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লা বিশ্ব রোডের কাল কচুয়া বাজারের কাছে খন্দকার ফুড গ্যালারি নামে একটি রেস্টুরেন্ট ও পেট্রোল পাম্প রয়েছে। কক্সবাজার ও কুয়াকাটাতে দুটি আবাসিক হোটেল। মালয়েশিয়া, কানাডা ও আমেরিকায় রয়েছে সেকেন্ড হোম। অভিজাত এসব বাড়ি কিনতে তার প্রায় ২০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এনায়েত উল্লাহর ঘনিষ্ঠজনরা বলেছেন, চতুর এই নেতা সর্বশেষ এক দশকে হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। এসব টাকা দিয়ে বিদেশে গড়ে তুলেছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আল আরাফাহ ইসলামি ব্যাংক, এইচএসবিসি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের হিসাবে রয়েছে তার কোটি কোটি টাকা। নিজের ও পরিবারের সদস্য ছাড়াও এনায়েত তার বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজন ও কাছের মানুষের নামে ফ্ল্যাট, প্লট, গাড়ি, বাড়ি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, বিদেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মালিক সমিতির কার্যালয় ছিল মতিঝিলে বিআরটিসি ভবনে। ছয় বছর আগে ইউনিক হাইটসে আট হাজার বর্গফুটের অফিস নেন এনায়েত। ওই অফিসের পেছনে প্রায় ১৫ কোটি টাকা খরচ করেন তিনি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গুলিস্তান-মিরপুর রুটে এনায়েত উল্লাহর একটি বাস চলাচল করলেও এখন সারা দেশের বিভিন্ন রুটে তার মালিকানাধীন অন্তত সাতশ’ বাস চলাচল করে। এসব বাসের মধ্যে এসি-নন এসি বাস রয়েছে। প্রতিটি বাসের দাম ২ কোটি টাকা থেকে শুরু করে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত। গড়ে তিন কোটি টাকা করে প্রতিটি বাসের দাম ধরলে ৭০০ বাসের দাম ২১০০ কোটি টাকা। তবে এসব বাসের মধ্যে পরিত্যক্ত, নষ্ট ও সার্ভিস সেন্টারেও রয়েছে শতাধিক বাস। সরকার পতনের পর এনা পরিবহন নামে কোনো বাস সড়কে চলাফেরা করে না। নাম বদল করে অন্য নামে এসব বাস চলাচল করার চেষ্টা করছে।
খন্দকার এনায়েত উল্লাহর গ্রামের বাড়ি ফেনীর ছাগলনাইয়া থানার নীচপনুয়া গ্রামে। বাবা ওবায়দুল হক খন্দকার ছিলেন ইউপি সদস্য তিন ভাই ও চার বোনের মধ্যে এনায়েত ছিলেন তৃতীয়। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিতে রাস্তায় পরিবহন সচল রাখার ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় থাকতেন এনায়েত উল্লাহ। গত ১৫ বছর বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো থেকে হরতাল-অবরোধ ডাকা হলে সেসব দিনে বাস চলবে বলে ঘোষণা দিতেন তিনি। তবে গাড়ি চলাচলের ঘোষণা দিয়েও হরতাল-অবরোধের ওইসব দিনগুলোতে নিজের পরিবহনের কোনো বাস রাস্তায় নামাতেন না। এমন অভিযোগ আছে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ইস্যুতে এনায়েত উল্লাহর অফিসে বসে সাবেক ডিএমপি কমিশনার ও ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঢাকায় বাস পোড়ানোর রফাদফা করতেন।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাস ও মিনিবাস থেকে বছরে ১ হাজার ৫৯ কোটি টাকা চাঁদাবাজি হয়। এই চাঁদার ভাগ পান দলীয় পরিচয়ধারী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী, ট্রাফিক ও হাইওয়ে পুলিশ, বিআরটিএ কর্মকর্তা-কর্মচারী, মালিক-শ্রমিক সংগঠন ও পৌরসভা বা সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধিরা। বিআরটিএ’র হিসাবে দেশে বাস, মিনিবাস ও ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের সংখ্যা প্রায় তিন লাখ। তিন পদ্ধতির অধীন এসব যানবাহন থেকে বছরে অন্তত ১ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা চাঁদা ওঠে।
দুদকের অভিযোগ: খন্দকার এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাস থেকে দৈনিক ২ কোটি টাকার বেশি চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এর বাইরে সারা দেশ থেকেও চাঁদা তুলতেন। ২০১৯ সালে এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে পরিবহন খাতে চাঁদাবাজিসহ শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে। তার আগে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য লীগ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইসমাইল হোসেন বাচ্চু দাবি করেন, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ প্রতিদিন ঢাকার পরিবহন খাত থেকে কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায় করেন। ওই সময় অভিযোগ সংক্রান্ত নানা তথ্য-উপাত্ত দুদকেও জমা দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে চার বছর আগে অনুসন্ধানে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রাথমিক প্রমাণ পেয়ে তাকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয় সংস্থাটি। ওই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সম্পদের হিসাব দাখিল করেন। এনায়েত উল্লাহ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য-প্রমাণ পান অনুসন্ধান কর্মকর্তারা। যাচাই-বাছাই শেষে তার বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে দুদকে প্রতিবেদন জমা দেন আড়াই বছর আগে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এ অনুসন্ধান শেষ পর্যন্ত থমকে যায়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের শুরুতে এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। প্রথমে দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়সালকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়। কিছুদিনের মধ্যে তিনি শিক্ষা ছুটিতে গেলে আরেক উপ-পরিচালক মো. নুরুল হুদাকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়। অনুসন্ধানের শুরুতে দুদক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফয়সাল খন্দকার, এনায়েত উল্লাহ, তার স্ত্রী ও ছেলেমেয়ের সম্পদের নথিপত্র চেয়ে সরকারি-বেসরকারি ৫৮টি ব্যাংকসহ শতাধিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠান। এরপর কর্মকর্তা বদল হয়ে উপ-পরিচালক নুরুল হুদা দায়িত্বে এলে তিনি এ অনুসন্ধান এগিয়ে নেন। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিআরটিএ, নিবন্ধন অধিদপ্তর, ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ পাঁচ সিটি করপোরেশন, ময়মনসিংহ ও কক্সবাজার পৌরসভা এবং জাতীয় গৃহায়ন অধিদপ্তরসহ শতাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা নুরুল হুদা। এরপর ২০২১ সালের জুনে খন্দকার এনায়েত উল্লাহ ও তার স্ত্রী নার্গিস সামসাদ, ছেলে রিদওয়ানুল আশিক নিলয় ও মেয়ে চাশমে জাহান নিশির নামে থাকা সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয়া হয়। ওই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে তারা সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। পরে তাদের সম্পদ বিবরণী যাচাই-বাছাই শেষে কমিশনে প্রতিবেদন দেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা নুরুল হুদা।
সরকার পতনের আগেই এনায়েত উল্লাহ বিদেশে চলে যান। তাই অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।
No comments