যেসব বিচারপতিদের পদত্যাগ চান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কেউ কেউ অযৌক্তিক বিবৃতির পর বিবৃতি দিয়ে আমাদের আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের সেই প্রিয় বন্ধুদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং অনতিবিলম্বে হাইকোর্ট বিভাগের দলবাজ বিচারপতিদের পদত্যাগের আন্দোলনে শরিক হবেন। তারা বলেন, শুধু ব্যক্তি বা দলের পরিবর্তনে ডুবন্ত বাংলাদেশকে উদ্ধার করা যাবে না। সেজন্য যা প্রয়োজন, তা হচ্ছে বিচার বিভাগসহ সমস্ত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠন। যে ভাইরাস এবং অবিচারক সুলভ লক্ষণের জন্য আপিল বিভাগের বিচারপতিরা পদত্যাগ করেছেন, সেই একই ভাইরাস এবং লক্ষণসমূহ হাইকোর্ট বিভাগের অনেক বিচারপতির মধ্যে বিদ্যমান। আমরা গত ৮ই আগস্ট আইনজীবীদের দাবির মুখে তাৎক্ষণিকভাবে ৫০ জন বিচারপতির নাম উল্লেখ করেছিলাম। পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতি মহোদয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দলকানা, অযোগ্য এবং দুর্নীতিবাজ হাইকোর্ট বিভাগের ২৫ জন বিচারপতির নাম উল্লেখ করেছি।
বাংলাদেশের সংবিধানকে নিরবচ্ছিন্নভাবে লঙ্ঘন করা, মানবিক মূল্যবোধকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে, বাংলাদেশের সমস্ত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে এবং গণহত্যার মাধ্যমে ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে ভারতে পালিয়ে গিয়ে শেখ হাসিনার রক্ষা হবে না। অবিলম্বে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে গ্রেপ্তারপূর্বক ফৌজদারি বিচারের মুখোমুখি করাতে হবে।
গত ১৫ বছর ধরে শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচার থেকে ফ্যাসিস্ট সরকার এবং পরবর্তীতে গণহত্যাকারী সরকারে পরিণত করতে দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো যে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি দুঃখজনক এবং লজ্জাজনকভাবে শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল এবং সেই অপকর্মে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলো, তারা হচ্ছেন সাবেক প্রধান বিচারপতিদের মধ্যে সর্বজনাব বিচারপতি এ.বি.এম. খায়রুল হক, বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এবং সর্বশেষ পদত্যাগী প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। বিচার বিভাগকে শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহ হওয়ার পেছনে মূল কুশীলব ছিলেন ব্যারিস্টার শেখ-ফজলে নূর তাপস, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, আনিসুল হক এবং সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল প্রয়াত মাহাবুবে আলম।
যে ভাইরাস এবং অবিচারক সুলভ লক্ষণের জন্য আপিল বিভাগের বিচারপতিরা পদত্যাগ করেছেন, সেই একই ভাইরাস এবং লক্ষণসমূহ হাইকোর্ট বিভাগের অনেক বিচারপতির মধ্যে বিদ্যমান। আমরা গত ৮ই আগস্ট আইনজীবীদের দাবির মুখে তাৎক্ষণিকভাবে ৫০ জন বিচারপতির নাম উল্লেখ করেছিলাম।
অনেক দক্ষ আইনজীবীরা এবং বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থা গত ২ সপ্তাহ ধরে পদত্যাগের দাবিতে বিচারপতিদের নাম উল্লেখ করেছেন, সকল তালিকা পর্যবেক্ষণে দেখা যায় হাইকোর্ট বিভাগের ২৫ থেকে ৩০ জন মাননীয় বিচারপতিবৃন্দ দলকানা, অযোগ্য এবং দুর্নীতিবাজ হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন। পরবর্তীতে প্রধান বিচারপতি মহোদয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসব দলকানা, অযোগ্য এবং দুর্নীতিবাজ হাইকোর্ট বিভাগের ২৫ জন বিচারপতির নাম উল্লেখ করেছি। কোনো বিচারপতির প্রতি আমাদের কোনো রাগ-অনুরাগ বা বিরাগ নেই। নাথিং ইজ পার্সোনাল। শুধু ব্যক্তি বা দলের পরিবর্তনে ডুবন্ত বাংলাদেশকে উদ্ধার করা যাবে না। সেজন্য যা প্রয়োজন, তা হচ্ছে বিচার বিভাগসহ সমস্ত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠন।
হাইকোর্ট বিভাগের যে সমস্ত বিচারপতিবৃন্দ সাংবিধানিক শপথ ভুলে গিয়ে দলীয় আনুগত্য প্রদর্শন করে শেখ হাসিনা বা শেখ ফজলে নূর তাপস বা আনিসুল হকের নির্দেশে বিচারের নামে অবিচার করেছেন, বাংলাদেশের সাবেক ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী, সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়েছেন এবং সাজা দিয়ে পদোন্নতি নিয়েছেন, শুধু তাই নয় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জনপ্রিয় জাতীয় নেতা শহীদ জিয়ার সুযোগ্য পুত্র তারেক রহমানকেও অন্যায়ভাবে একের পর এক সাজা দিয়েছেন, এমনকি গণমাধ্যমে তারেক রহমানের কণ্ঠ রুদ্ধ করেছেন, সেই সমস্ত বিচারপতিদের পদত্যাগের আন্দোলনে আমাদের কয়েকজন আইনজীবী বন্ধু কেন আন্দোলনে নেই, আমরা বুঝতে ব্যর্থ। কেউ কেউ অযৌক্তিক বিবৃতির পর বিবৃতি দিয়ে আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।
No comments