তাসরিফের পোস্ট নিয়ে যা বললেন আব্দুল্লাহ আল ইমরান
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আব্দুল্লাহ আল ইমরান লেখেন, গতকাল Tasrif Khan ভাইয়ের পোস্ট দেখেছি। আমি পোস্ট দেওয়ার আগে থেকেই জানি ওনার সঙ্গে ঘটা ওই ভয়াবহ ঘটনার কথা। এমনকি তাসরিফ ভাই আন্দোলনে যখন সশরীরে অংশগ্রহণ করেন তখন তার পেইজের অ্যাডমিন আমাকে রেখে নিজে রিমুভ হয়ে যান, যাতে ওনাকে ধরে ফেললেও, ওনাকে দিয়ে প্রাক্তন সরকারি দোষরেরা কোনো পোস্ট দেওয়াতে না পারে!
এসব আড়ালের গল্প! আমি বলতাম না, তবে অনেকেই উনাকেও ট্রল করেছেন, এগুলো দেখে বিরক্ত হয়ে জাস্ট এটুকু বললাম। একইভাবে পুরো আন্দোলনজুড়ে আমার টিম কাজ করে গেছে অনলাইন-অফলাইন দুভাবে! অনলাইনে আইটি সাপোর্ট, অফলাইনে ফাইন্যান্সিয়ালি হেল্প এবং মাঠে নেমে আন্দোলন- সব-ই করেছে। আপনারা দেখেছেন।
এর বাইরেও যেটা করেছে সেটা হচ্ছে ‘প্রতিশ্রুতি’ রক্ষা। আমরা বলেছিলাম, এমন কারো কাজ করব না যারা স্টুডেন্টদের বিপক্ষে কাজ করছে। প্রাক্তন সরকারি বহু পেইজ, অ্যাকাউন্ট চলে যাওয়া পুনরুদ্ধারের জন্য আসলেও আমরা কাজগুলো করিনি।
আবার প্রতিবাদ করে ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ে পোস্ট করায় ‘এক আইনপ্রয়োগকারী গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান’ থেকে ফোনকল-ও আসে, পোস্ট ডিলেটের জন্য। আসল ঘটনাটা একটু বলি-
ঘটনা-১: আমি আন্দোলন শুরুর দিকে আফ্রিদির পেইজে অ্যাডমিন হই ওর পেইজের ইস্যু সলভের জন্য। আন্দোলন শুরুর পর হুট করে ওর পেইজের অ্যাডমিন থেকে আমার আইডি রিমুভ করে এবং কিছুক্ষণ পরই সে পেইজ আনপাবলিশড করে ফেলে!!
একটু পর ইন্সটাগ্রামে পোস্ট দেয়, তার পেইজ এবং অ্যাকাউন্ট হ্যাক, কেউ পারলে হেল্প করেন! আমি তখন-ই নাটকের কাহিনি ধরে ফেলি! আমাকে কয়েকজন মেসেজ দিয়ে ওর ইন্সটাগ্রামের স্টোরি দেখালে সবাইকেই বলি এটা নাটক! আমি একটু আগেও অ্যাডমিন ছিলাম!
ঘটনা-২: এর দুইদিন পর মেবি হাউন আংকেলের টুনটুনির ভিডিও ভাইরাল হয়। রাতের বেলায় আফ্রিদির কল আসে আমার কাছে। ফোন দিয়ে বলে হাউন আংকেলের ওই ভিডিও ফেসবুকের সব জায়গা থেকে রিমুভ করতে হবে যত টাকাই লাগুক। আমি বললাম ১০ মিনিট পর কল দেন, টিমের সঙ্গে কথা বলি। আমি প্রথমে থতমত খেয়ে গেছি, এই ছেলে কি বলে এই সময় এটা ভেবে!! যাই হোক, ১০ মিনিট পর কল দিলে তা আমিসহ আমার টিম মেম্বার সবাই শুনে এপাশ থেকে এবং আমি বলে দেই আমার টিম রিমুভ করতে পারবে না।
ঘটনা-৩: এর-ও এক/দুই দিন পর আমি খবর পাই ২৩ জন ইনফ্লুয়েন্সার নিয়ে আফ্রিদি, শেখ তন্ময় অ্যান্ড আরও অনেকে একটা ইনফ্লুয়েন্সার ক্যাম্পেইন করার মিটিং করবে। পরেরদিন বিস্তারিত শুনি যে মিটিংয়ে কি কি হয়েছে এবং কে ওই ক্যাম্পেইন লিড দিয়েছে। এমনকি যারা যারা ক্যাম্পেইনে আসেনি তাদের পরবর্তীতে দেখে নিবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। এগুলো শুনে আমি প্রচণ্ড বিরক্ত হয় এবং একটা পোস্ট দেই ইনফ্লুয়েন্সার আর ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ে!!
ব্যাস পোস্টটা একটু ভাইরাল হতেই আমাকে আফ্রিদি কয়েকবার কল দেয়, আমি ধরতে পারিনি পরে দেখি একটি সংস্থা থেকে ফোন আসে। ‘আমাকে ঠাণ্ডা মাথায় বলা হয়, যেন পোস্ট ডিলেট করি। আমি বললাম, আমি পোস্টে কারো নাম বলিনি এই সেই, উনি বল্লো যেটাই হোক, উনি আমাকে ফোর্স করছেন না তবে আমি যেন পোস্টটা ডিলেট করি। আর অনেকেই তো পোস্ট করতেছে আমাকেই কেন ফোন দিল, নিশ্চয়ই অনেক জায়গায় আমার ব্যাপারটা মনিটরিং করা হচ্ছে। আরও বললো, উনি আফ্রিদিকে বলে দিবে যাতে পরবর্তীতে আমার সঙ্গে ঝামেলা না করে।’
সো, এতোকিছু সহ্য করতে হইসে আমাদের তবুও মানুষ ওদের মায়াকান্নায় সব ভুলে যাবে! আফ্রিদি তাও চুনোপুঁটি, সোলায়মান শকুন তো বিগ ফিশ! তাশরিফ ভাইকে ভয় দেখিয়ে ডাকাসহ ক্যাম্পেইনের বিরাট অংশ ম্যানেজ করেছে সে। যদি ওরা টিকে যেত হয়তো এই পোস্ট করা লাগত না আমার, আয়নাঘরের এক কোণায় পড়ে থাকতাম। এদের মাফ করে দিয়েন না এটাই অনুরোধ। সবাইকে মাফ করা যায়, বেইমানদের না।
No comments