ঝামেলা করলে আওয়ামী লীগের পরিণতি শুভ হবে না -নয়াপল্টনে অবস্থান কর্মসূচিতে ফখরুল
ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যাকারী এবং খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের দাবিতে ঢাকাসহ সারাদেশে অবস্থান কর্মসূচি করেছে বিএনপি। সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি করে। একই সময়ে বৃহস্পতিবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ ১নং গেইটে অবস্থান করে ঢাকায় মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু। বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় বিএনপির উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে আবারো ‘ঝামেলা’ করলে আওয়ামী লীগের পরিণতি শুভ হবে না। সুতরাং এখনো সময় আছে আপনারা আর ঝামেলা কইরেন না। কারণ ঝামেলা করলে আপনারা টিকতে পারবেন না।
এছাড়া বিকালে নিউমার্কেট, ধানমণ্ডি, ও হাজারীবাগ থানা বিএনপির নেতাকর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি করেছেন। এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা-১০ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শেখ রবিউল আলম। কর্মসূচি শেষে শান্তির পদযাত্রা বের করেন নেতাকর্মীরা। পদযাত্রাটি সাইন্সল্যাব থেকে শুরু হয়ে কলাবাগান,পান্থপথ মোড়, ধানমণ্ডি ৩২ ও ২৭ হয়ে শংকর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।
কর্মসূচিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ইতিহাস বড় নির্মম, আল্লাহ‘তালার বিচার বড় নির্মম. ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়, ক্ষমতা ক্ষণস্থায়ী। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তার (শেখ হাসিনার) মুখ দিয়ে প্রতিশোধে জিজ্ঞাসা স্পষ্ট হয়েছিলো। আল্লাহর কি হুকুম দেখেন, সেই তাকেই পালিয়ে যেতে হলো, আবার সেই জায়গায় সেখানে তার গোঁড়া পোতা আছে। আমি সেজন্য আওয়ামী লীগারদেরকে বলছি যে, এখনো সময় আছে আপনারা আর ঝামেলা কইরেন না। কারণ ঝামেলা করলে আপনারা টিকতে পারবেন না।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট তো চেষ্টা করেছিলেন যে, আপনারা যাবেন, ৩২নং এ গিয়ে ফুল দেবেন। কারো তো আপত্তি ছিলো না। কিন্তু ছাত্ররা তা হতে দেননি, হতে দেননি কেনো, এই মানুষটাকে কেউ দেখতে চায় না। খুনি হাসিনার চেহারা কেউ আর দেখতে চায় না। এক হাসিনা সারা বাংলাদেশে যত আওয়ামী লীগার ছিলো তারা ক্ষুদে হাসিনা তৈরি হয়েছে, সারাদেশে অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছে তারা।
ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে সৃদৃঢ় করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।
ফখরুল বলেন, আজকের সমাবেশের ব্যানারে লেখা আছে, এই যে গণহত্যা, হাসিনা যে খুনি ও তার দোসরদের আমরা বিচার চাই। বিচার আল্লাহ‘তালা করছে, আরও করবে। আমরা বিচার চাই এই সরকার কাছে, যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যাদের ওপরে জনগণ আস্থা দিয়েছে, একটু স্বস্তি ফিরিয়ে এনে নির্বাচন দেবে, একটা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন দেবে- সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের ভোট দিয়ে একটি নির্বাচিত সরকার গঠন করবে। আমরা সেটাই চাই।
তিনি বলেন, আমরা চাই, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হোক। আমরা যৌক্তিক সময়ও দিতে চাই। একটা কথা আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, গণতন্ত্র গণতন্ত্র সেটার কোনো বিকল্প নাই। এই গণতন্ত্রের জন্য আমরা লড়াই করছি। আমরা লড়াই করেছি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমীগর বলেন, নতুন নতুন কৌশল ওরা আবিষ্কার করে। এখন নতুন একটা ধুঁয়া তুলেছে সেই ষড়যন্ত্রকারীরা। সেটা কি? সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। আমাদের ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) খুব সুন্দর করে বলেছেন যে, বাংলাদেশে কোনো সংখ্যালঘু নাই, বাংলাদেশের সবাই বাংলাদেশী নাগরিক, হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খৃষ্টানসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ আমরা সবাই মিলে একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছি, দেশ স্বাধীন করেছি। সেই সূত্রে যারা আজকে হিন্দু সম্প্রদায়কে তারা আলাদা করে দেখতে চায়, আমরা তাদের সঙ্গে একমত নই। তারা সবাই এক নাগরিক।
তিনি বলেন, আমি পরিষ্কারর করে বলতে চাই, ভালোয় ভালোয় এসব ঝামেল ষড়যন্ত্র না করে আপনারা আত্মসমর্পণ করেন। যারা এখনো বাইরে আছে, এদিক-ওদিক করছেন। জানেন তো ইটটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়। আমাদের নেতা-কর্মীদের কোর্টে এভাবে নেয়া হয়েছিলো এবং তারেক রহমান সাহেবকে ওইভাবে হেলমেট পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। এদের বিচার করতে হবে। এদের বিচার করতে হবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিরোধী আইনে। অর্থাৎ যে অপরাধ করেছেন, যে ক্রাইম করেছেন, গণহত্যা করেছেন, অত্যাচার করেছে, নির্যাতন করেছে তার বিচার আন্তর্জাতিক আইনে হতে হবে।
ফখরুল বলেণ, এই সরকারকে আমরা সাহায্য করব। এটা ছাত্র-জনতার সরকার, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল আমরা তাদেরকে সহযোগিতা দেবো যতক্ষণ না পর্যন্ত তারা গণতন্ত্রের পক্ষে থাকবে, গণতান্ত্রিকভাবে তারা ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।
মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে ও বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, মহানগর দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, যুব দলের নুরুল ইসলাম নয়ন, কৃষক দলের শহীদুল ইসলাম বাবুল, সাবেক ছাত্রদল নেতা হাবিবুর রশীদ হাবিব, ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কর্মসূচিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ইতিহাস বড় নির্মম, আল্লাহ‘তালার বিচার বড় নির্মম. ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়, ক্ষমতা ক্ষণস্থায়ী। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তার (শেখ হাসিনার) মুখ দিয়ে প্রতিশোধে জিজ্ঞাসা স্পষ্ট হয়েছিলো। আল্লাহর কি হুকুম দেখেন, সেই তাকেই পালিয়ে যেতে হলো, আবার সেই জায়গায় সেখানে তার গোঁড়া পোতা আছে। আমি সেজন্য আওয়ামী লীগারদেরকে বলছি যে, এখনো সময় আছে আপনারা আর ঝামেলা কইরেন না। কারণ ঝামেলা করলে আপনারা টিকতে পারবেন না।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট তো চেষ্টা করেছিলেন যে, আপনারা যাবেন, ৩২নং এ গিয়ে ফুল দেবেন। কারো তো আপত্তি ছিলো না। কিন্তু ছাত্ররা তা হতে দেননি, হতে দেননি কেনো, এই মানুষটাকে কেউ দেখতে চায় না। খুনি হাসিনার চেহারা কেউ আর দেখতে চায় না। এক হাসিনা সারা বাংলাদেশে যত আওয়ামী লীগার ছিলো তারা ক্ষুদে হাসিনা তৈরি হয়েছে, সারাদেশে অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছে তারা।
ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে সৃদৃঢ় করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।
ফখরুল বলেন, আজকের সমাবেশের ব্যানারে লেখা আছে, এই যে গণহত্যা, হাসিনা যে খুনি ও তার দোসরদের আমরা বিচার চাই। বিচার আল্লাহ‘তালা করছে, আরও করবে। আমরা বিচার চাই এই সরকার কাছে, যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যাদের ওপরে জনগণ আস্থা দিয়েছে, একটু স্বস্তি ফিরিয়ে এনে নির্বাচন দেবে, একটা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন দেবে- সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের ভোট দিয়ে একটি নির্বাচিত সরকার গঠন করবে। আমরা সেটাই চাই।
তিনি বলেন, আমরা চাই, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হোক। আমরা যৌক্তিক সময়ও দিতে চাই। একটা কথা আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, গণতন্ত্র গণতন্ত্র সেটার কোনো বিকল্প নাই। এই গণতন্ত্রের জন্য আমরা লড়াই করছি। আমরা লড়াই করেছি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমীগর বলেন, নতুন নতুন কৌশল ওরা আবিষ্কার করে। এখন নতুন একটা ধুঁয়া তুলেছে সেই ষড়যন্ত্রকারীরা। সেটা কি? সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। আমাদের ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) খুব সুন্দর করে বলেছেন যে, বাংলাদেশে কোনো সংখ্যালঘু নাই, বাংলাদেশের সবাই বাংলাদেশী নাগরিক, হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খৃষ্টানসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ আমরা সবাই মিলে একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছি, দেশ স্বাধীন করেছি। সেই সূত্রে যারা আজকে হিন্দু সম্প্রদায়কে তারা আলাদা করে দেখতে চায়, আমরা তাদের সঙ্গে একমত নই। তারা সবাই এক নাগরিক।
তিনি বলেন, আমি পরিষ্কারর করে বলতে চাই, ভালোয় ভালোয় এসব ঝামেল ষড়যন্ত্র না করে আপনারা আত্মসমর্পণ করেন। যারা এখনো বাইরে আছে, এদিক-ওদিক করছেন। জানেন তো ইটটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়। আমাদের নেতা-কর্মীদের কোর্টে এভাবে নেয়া হয়েছিলো এবং তারেক রহমান সাহেবকে ওইভাবে হেলমেট পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। এদের বিচার করতে হবে। এদের বিচার করতে হবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিরোধী আইনে। অর্থাৎ যে অপরাধ করেছেন, যে ক্রাইম করেছেন, গণহত্যা করেছেন, অত্যাচার করেছে, নির্যাতন করেছে তার বিচার আন্তর্জাতিক আইনে হতে হবে।
ফখরুল বলেণ, এই সরকারকে আমরা সাহায্য করব। এটা ছাত্র-জনতার সরকার, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল আমরা তাদেরকে সহযোগিতা দেবো যতক্ষণ না পর্যন্ত তারা গণতন্ত্রের পক্ষে থাকবে, গণতান্ত্রিকভাবে তারা ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।
মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে ও বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, মহানগর দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, যুব দলের নুরুল ইসলাম নয়ন, কৃষক দলের শহীদুল ইসলাম বাবুল, সাবেক ছাত্রদল নেতা হাবিবুর রশীদ হাবিব, ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
No comments