অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না হকার সহিদ

রামগঞ্জ উপজেলার পত্রিকার প্রবীণ হকার সহিদ উল্যাহ আর্থিক সংকটে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। যক্ষ্মা মুক্ত হওয়ার পর পেটে টিউমার ও লিভারক্ষত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ার মাঝেই পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত হওয়ায় সহিদ অর্ধহারে-অনাহারে উঠানে চেয়ারে বসে সময় কাটাচ্ছে। এতে তার জীবনে যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা।
সূত্রে জানা যায়, রামগঞ্জ পৌরসভার শ্রীপুর বেপারি বাড়ির সহিদ উল্যাহ ১৯৯১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে রামগঞ্জ এনায়েত উল্যার মালিকানাধীন নিউজ কর্নার পত্রিকার এজেন্সির মাধ্যমে পত্রিকার হকার জীবন শুরু করে। পত্রিকার কমিশন দিয়ে কোনো রকমে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। এরই মধ্যে ২০১৬ সালের শেষ দিকে সহিদ অসুস্থ হয়ে পড়লে রামগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। দীর্ঘ কয়েক মাস চিকিৎসা নেয়ার পরও রোগ শনাক্ত না হওয়ায় চিকিৎসকদের পরামর্শে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে যক্ষ্মা ধরা পড়ে। ব্র্যাকের দেয়া ওষুধে যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা চলা অবস্থায় পেটে টিউমার ও লিভারক্ষত ধরা পড়ে। সহিদ পরিবার ও সন্তানদের জন্য গচ্ছিত সব সম্পদ দিয়ে নিজের চিকিৎসা করেন। কিন্তু অসুস্থ শরীর নিয়ে ২৭শে এপ্রিল পত্রিকা বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথে পাগলা কুকুরের কামড়ের শিকার হয়। দ্রুত হাসপাতালে গেলে ডাক্তার কুকুরে কামড়ের ইনজেকশন দেয় ও অন্য রোগের চিকিৎসা বন্ধ করে দেয়। এতে সহিদ আরো অসুস্থ হয়ে বর্তমানে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। হকার সহিদকে কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি সহযোগিতা করতে চাইলে মো. সহিদ উল্যা, হিসাব নং-এসবি-৯২৬৯, রুপালী ব্যাংক, রামগঞ্জ শাখা, লক্ষ্মীপুর। বসতঘরের সামনে চেয়ারে বসা সহিদ ভাঙা কণ্ঠে বলেন, আমার যেকোনো সময় মৃত্যু হবে। স্ত্রী ও তিন সন্তানের জন্য কিছুই রেখে যেতে পারলাম না। পত্রিকার হকার বলে কেউ সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে না। পত্রিকার হকারের ২৮ বছর জীবনে কতো মানুষ টাকা মেরে খেয়েছে। যার কারণে এজেন্টে এবং পারিবারিকভাবে ঋণগ্রস্ত রয়েছি।

No comments

Powered by Blogger.