আজ এইচএসসিতে বসছেন ১৩ লাখ শিক্ষার্থী

আজ থেকে শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এতে ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। সারা দেশে দুই হাজার ৫৪১টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষা নেয়ার সব প্রস্তুতি শেষ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ প্রথম দিন এইচএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্র, সহজ বাংলা প্রথমপত্র, বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রথমপত্র এবং ডিআইবিএস-এ বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্রের পরীক্ষা হবে। আর মাদরাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে ?কুরআন মাজিদ এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ব্যবসায় ব্যবস্থাপনায় সকালে বাংলা-২ (নতুন সিলেবাস) ও বাংলা-২ (পুরাতন সিলেবাস) এবং বিকালে বাংলা-১ (সৃজনশীল নতুন সিলেবাস) ও বাংলা-১ (সৃজনশীল পুরাতন সিলেবাস) পরীক্ষা হবে। উচ্চ মাধ্যমিকের এই পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ‘সাধ্যমতো’ প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। গতকাল চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আগামীকাল (সোমবার) থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে। আমরা আমাদের সাধ্যমতো, মানুষের সাধ্যে যা কুলায়- অতীতের অভিজ্ঞতাগুলো সবকিছু যুক্ত করে প্রস্তুতি ও ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আমরা আশা করি, এবার সুষ্ঠু পরিবেশে ভালো পরীক্ষা হবে। কেন্দ্র পরিদর্শন করতে আজ সকাল ৯টায় শিক্ষামন্ত্রী সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ কেন্দ্রে এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী সরকারি আলিয়া মাদরাসা কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন। আগামী ১৩ই মে পর্যন্ত চলবে এইচএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা। আর ১৪ থেকে ২৩শে মের মধ্যে হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। গত বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। এই হিসাবে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে এক লাখ ২৭ হাজার ৭৭১ জন। গত এসএসসির মতো এইচএসসিতেও পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে পরীক্ষার প্রশ্নের সেট। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষা সংশ্লিষ্টরা বাদে অন্যদের ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। এবারও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবে। আর অটিস্টিকসহ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা পাবে অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময়। এ ধরনের শিক্ষার্থীরা অভিভাবক, শিক্ষক বা সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।

No comments

Powered by Blogger.