ডাকাতিয়া নদী দখল করে ভবন by কামরুল ইসলাম

লাকসাম-মনোহরগঞ্জ এলাকার ডাকাতিয়া নদী দখল করে নদীর ভেতর বিল্ডিং ও মার্কেট তৈরি করছে। দিন দিন দখল হওয়ার কারণে ১৬০ ফুট চওড়া নদী বর্তমানে এখন ৬০ ফুটে পরিণত হয়েছে। প্রশাসন এসব দেখেও দখলদারদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় দিন দিন দখল করে নিচ্ছে ডাকাতিয়ার নদীর দুই তীরের বাসিন্দারা।
দখল হয়ে যাচ্ছে ডাকাতিয়া সংকীর্ণ হচ্ছে নদী। দীর্ঘদিন ডাকাতিয়া নদী খনন না করায় পলি মাটির কারণে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। তাই শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে ডাকাতিয়া নদী পানিশূন্য। পানিশূন্য হওয়ায় ইরি-বোরোচাষিরা বিপাকে পড়ছেন। ডাকাতিয়া নদীর বিভিন্ন অংশে যে পরিমাণ পানি আছে, তা এক সপ্তাহে শেষ হয়ে যাবে।
এক সময় ডাকাতিয়া নদীতে পাল তুলে নৌকা চলতো। চলতো বড় বড় স্টিমার ও নৌকা। কালের বিবর্তনে পলি মাটি ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে সেই নৌকা ও স্টিমার আর চলে না। ডাকাতিয়া নদীকে কেন্দ্র করে লাকসামের দৌলতগঞ্জ বাজার বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। এ বাজার থেকে ধান-চাল নিয়ে বড় বড় নৌকা দেশের বিভিন্ন স্থানে আসা-যাওয়া করত। বর্তমানে পানি কমে যাওয়ায় ডাকাতিয়া নদীর দুই তীরের বাসিন্দারা দখল করে নিচ্ছে। অপর দিকে ডাকাতিয়া নদীর পাশে অবস্থিত রাইস মিলের মালিকরা ধানের ছাই ফেলার কারণে নদীর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ডাকাতিয়া নদীর শাখা খালগুলো দখল করে নিচ্ছে। শাখা খালগুলো উদ্ধার করা না হলে একসময় খালের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে।
প্রশাসনের নাকের ডোগায় ডাকাতিয়া নদীর শাখা খাল ফতেপুর অংশে এলাহী রাইস মিলের পাশে লাকসাম-মনোহরগঞ্জ সড়কের পাশে টিন দিয়ে ঘেরাও করে রাইস মিলের ছাই ফেলে দিনে দিনে ভরাট করে নিচ্ছে। নদী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাগমারা, লালমাই, লাকসাম-মনোহরগঞ্জে ডাকাতিয়া নদী দখল করে মার্কেট নির্মাণ করছে। এতে নদীর অস্তিত্ব হুমকির মুখে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে আলাপ করলে তিনি জানান, ডাকাতিয়া নদীর কিছু অংশ দখলের অভিযোগ পেয়েছি। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

No comments

Powered by Blogger.