অর্থ পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে by এম এ খালেক

অনেকটা হঠাৎ করেই আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে অস্বাভাবিকভাবে। কোনো কারণে দেশের মানুষের ভোগ ব্যয় বৃদ্ধি পেলে আমদানি ব্যয় বাড়তে পারে। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় দেশে এমন কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেনি যে কারণে আমদানি ব্যয় এভাবে বেড়ে যেতে পারে। অর্থনীতিবিদদের অনেকেই মনে করছেন, আমদানি ব্যয় হঠাৎ এভাবে বৃদ্ধির এ প্রবণতা কোনোভাবেই স্বাভাবিক অবস্থার প্রতিফলন নয়। বরং এর মাধ্যমে এক ধরনের শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। তারা এর কারণ অনুসন্ধানের জন্যও দাবি জানিয়েছেন। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৭) বিভিন্ন ধরনের পণ্য ও সেবা আমদানির জন্য ৪ হাজার ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলা হয়েছে। সম্ভাব্য আমদানিযোগ্য পণ্যের মধ্যে খাদ্যপণ্য এবং ক্যাপিটাল মেশিনারির পরিমাণই বেশি। বর্ণিত সময়ে যে এলসি খোলা হয়েছে তার পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের (জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৬) তুলনায় ৭৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি। নিকট অতীতে মাত্র এক বছরের ব্যবধানে আমদানি ব্যয় এভাবে বৃদ্ধির কোনো নজির নেই। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, উল্লেখিত ৬ মাসে পণ্য ও সেবা আমদানি ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা। আগের বছর এটি ছিল ১ লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে প্রথম ৬ মাসে চাল আমদানি বাবদ এলসি খোলা হয়েছে ১৩৮ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের। আগের বছরের একই সময়ে এটি ছিল মাত্র ১ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের। আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির এ প্রবণতা কোনোভাবেই দেশের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে মিলে না। তাই অনেকের মাঝেই সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। আসলে কী হচ্ছে? অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, স্বাভাবিক অবস্থায় আমদানি ব্যয় এভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার কথা নয়। কিন্তু বাস্তবে তা-ই হচ্ছে। কোনো অস্বাভাবিক অবস্থার সৃষ্টি না হলে সাধারণত দু’ কারণে আমদানি ব্যয় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। প্রথমত, দেশের মারাত্মক প্রাকৃতিক বিপর্যয় সৃষ্টির কারণে ফসল এবং সম্পদহানি হলে সেই অবস্থায় ব্যাপকভাবে পণ্য ও সেবা আমদানির দরকার হতে পারে। দ্বিতীয়ত, কোনো কারণে স্থানীয়ভাবে সাধারণ মানুষের ভোগ ব্যয়ের প্রবণতা এবং সামর্থ্য বৃদ্ধি পেলে তারা পণ্য ও সেবা ক্রয়ের জন্য অতিরিক্ত ব্যয় করতে পারে। সেই অবস্থায় বেশি পরিমাণ পণ্য ও সেবা আমদানির প্রয়োজন হতে পারে। এমন অবস্থার সৃষ্টি হলে আমদানিকারকরা স্থানীয় চাহিদা পূরণের জন্য বর্ধিত পরিমাণে পণ্য ও সেবা আমদানি করতে পারে। ফলে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। যৌক্তিক কারণেই তখন এলসি খোলার হারও বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা কি দেশে সেই অবস্থার কোনো লক্ষণ দেখছি? গত বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিশেষ করে বন্যা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু সেই বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ এত ব্যাপক ছিল না যে তার জন্য আমদানি পণ্যের চাহিদা এতটা বৃদ্ধি পেতে পারে। যেহেতু আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির সাধারণ দুটি কারণই এখন জাতীয় অর্থনীতিতে অনুপস্থিত, তাই আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির অন্য কোনো কারণ রয়েছে। সেই কারণ আমাদের অনুসন্ধান করতে হবে। চলতি অর্থবছরের অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি অনুসন্ধান করতে হলে আমাদের একটি বিষয় সব সময়ই স্মরণ রাখতে হবে তা হল, এ বছর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন নানা কারণেই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৪ সালে যেভাবে একতরফা জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবার তেমনটি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আগামী জাতীয় নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণে অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক হবে এটাই প্রত্যাশিত। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য ফলাফল অর্থনীতির গতিকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করবে। সরকার বলছে, তারা জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আবারও সরকার গঠন করবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রক্ষমতার ধারাবাহিকতা খুবই প্রয়োজন। বর্তমান সরকারের আমলে যেহেতু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, তাই তারা নির্বাচনে জয়ী হবেন, এমনটাই তাদের প্রত্যাশা। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন করতে পারাটাই নির্বাচনে জয়ী হওয়ার একমাত্র গ্যারান্টি নয়। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য আরও অনেক কিছু প্রয়োজন হয়। নির্বাচনে কী ফলাফল হবে তা এখনই কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারবে না। বিশেষ করে সরকার সমর্থকদের মাঝে যারা বিগত বছরগুলোতে নানাভাবে বৈধ বা অবৈধ উপায়ে প্রচুর বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়েছেন তারা নির্বাচন নিয়ে একধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। এ অনিশ্চয়তাই আগামী দিনের অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি নির্ধারণ করবে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বেশকিছু ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা বিগত জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে দেখেছি নির্বাচনের বছর অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে বলে মনে হয় না। জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশ থেকে মুদ্রা পাচার অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যারা নানাভাবে অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন তাদের অনেকেই নির্বাচনের আগে সম্পদ পাচার করার জন্য সচেষ্ট হবেন, এটা প্রায় নিশ্চিত করেই বলা যেতে পারে। নিকট অতীতেও আমরা এ প্রবণতা প্রত্যক্ষ করেছি। সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে ২০১৩ সালে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ মুদ্রা পাচার হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে, বিশেষ করে নির্বাচনটি যদি অস্বাভাবিক রাজনৈতিক অবস্থার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় তাহলে মুদ্রা পাচারের প্রবণতা বেড়ে যায়। কারণ যারা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে অবৈধ উপায়ে বিত্তের পাহাড় গড়ে তুলেছেন তারা কোনো ধরনের ঝুঁকি না নিয়ে মুদ্রা দেশের বাইরে পাচার করে দিতে পারেন। কালো টাকা এবং অপ্রদর্শিত অর্থের মালিকরাও নির্বাচনের ডামাডোলের আড়ালে তাদের টাকা দেশের বাইরে পাচার করে দিতে পারেন। আগামী জাতীয় নির্বাচন কেন্দ্র করে দেশের অর্থনীতিতে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। যেমন, প্রথমেই মুদ্রা পাচার বেড়ে যেতে পারে। মুদ্রা পাচারের বেশকিছু পদ্ধতি বা উপায় আছে। যেমন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের আড়ালে মুদ্রা পাচার, হুন্ডির মাধ্যমে মুদ্রা পাচার ইত্যাদি। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নামে দেশ থেকে মুদ্রা পাচার। কারণ এটাই এখনও পর্যন্ত মুদ্রা পাচারের সবচেয়ে সহজ এবং নিরাপদ উপায়। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে প্রতি বছর যে বিপুল পরিমাণ মুদ্রা পাচার হয় তার বেশিরভাগই যায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নামে। পণ্য আমদানিকালে ওভার ইনভয়েসিং এবং পণ্য ও সেবা রফতানির সময় আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে মুদ্রা পাচার হয়ে থাকে। বিষয়টি একটু ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। কোনো একজন আমদানিকারক হয়তো মুদ্রা পাচার করবেন। তাহলে তিনি আমদানি পণ্যের অতিরিক্ত মূল্য প্রদর্শন করতে পারেন। যেমন, আন্তর্জাতিক বাজারে যে পণ্যের দাম ১০০ মার্কিন ডলার সেই পণ্যটিই হয়তো তিনি ১২৫ ডলার ঘোষণা দিলেন। সেই অনুযায়ী ব্যাংকে এলসি খুলে বিদেশি রফতানিকারকের অনুকূলে টাকা পাঠিয়ে দিলেন। দেশ থেকে ১০০ মার্কিন ডলারের পণ্যের জন্য তিনি ১২৫ ডলার পাঠিয়ে দিলেন। বিদেশি রফতানিকারকের সঙ্গে স্থানীয় আমদানিকারক আগেই চুক্তি করে রাখবেন। সেই চুক্তির শর্তানুযায়ী, রফতানিকারক তার পণ্যের প্রকৃত মূল্য ১০০ মার্কিন ডলারই পাবেন। অবশিষ্ট ২৫ ডলার তিনি স্থানীয় আমদানিকারককে দিয়ে দেবেন। সেই অতিরিক্ত ২৫ মার্কিন ডলার স্থানীয় আমদানিকারক দেশে না এনে বিদেশেই রেখে দেবেন। অন্যদিকে বাংলাদেশি পণ্য ও সেবা রফতানিকারকরা যদি বিদেশে টাকা পাচার করতে চান তাহলে তিনি পণ্য রফতানিকালে আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের আশ্রয় নিতে পারেন। যে পণ্য ও সেবা তিনি ১২৫ মার্কিন ডলারে রফতানি করবেন তা তিনি ১০০ মার্কিন ডলার হিসেবে দাম দেখালেন। অর্থাৎ প্রকৃত রফতানি মূল্যের চেয়ে তিনি কম দেখালেন। যে পণ্যটি রফতানি করে তিনি ১২৫ মার্কিন ডলার পেলেন; কিন্তু ঘোষিত মূল্য অনুযায়ী তিনি ১০০ ডলার দেশে নিয়ে এলেন এবং অবশিষ্ট ২৫ মার্কিন ডলার বিদেশে রেখে দিলেন। মূলত এভাবেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে মুদ্রা পাচার হচ্ছে। প্রশ্ন হল, তথ্য-প্রযুক্তির উৎকর্ষতার যুগে এ ধরনের আন্ডার ইনভয়েসিং এবং অভার ইনভয়েসিং কি রোধ করার কোনো উপায় নেই? অবশ্যই উপায় আছে। স্থানীয়ভাবে যারা পণ্য ও সেবা আমদানি-রফতানি মূল্যায়নের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন তারা যদি সততার সঙ্গে কর্তব্য পালন করেন তাহলে এ প্রবণতা অনেকটাই রোধ করা সম্ভব। কারণ এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে কোনো পণ্য ও সেবার বাজারমূল্য তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করা সম্ভব। কিন্তু যারা এ দায়িত্ব পালন করবেন তারাই যদি অসৎ এবং দুর্নীতিগ্রস্ত হন তাহলে ‘বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে।’ আরও নানাভাবে মুদ্রা পাচার হতে পারে। জাতীয় নির্বাচনের আগের বছর ব্যাংক ঋণের প্রবৃদ্ধি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যেতে পারে। অনেকেই আছেন, যারা নির্বাচনের সময় সৃষ্ট সম্ভাব্য রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সুযোগে ব্যাংক থেকে প্রচুর পরিমাণে ঋণ গ্রহণ করে সেই টাকা বিদেশে পাচার করতে পারেন। এমনকি স্থানীয়ভাবেই এ ঋণের টাকা অন্য কোনো খাতে প্রবাহিত করতে পারেন। ইতিমধ্যেই আমরা ব্যাংক ঋণ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির প্রবণতা প্রত্যক্ষ করছি। আগের মুদ্রানীতিতে চলতি অর্থবছরের জন্য ব্যাংক ঋণের প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছিল ১৬ দশমিক ২ শতাংশ। কিন্তু গত নভেম্বর মাসেই তা ১৯ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ অবস্থায় ঋণের প্রবৃদ্ধির রাশ টেনে ধরার জন্য ব্যাংকগুলোর অ্যাডভান্স ডিপোজিট রেশিও কমানোর উদ্যোগ নিয়েছিল। প্রজ্ঞাপন জারি করে বলা হয়েছিল, এখন থেকে ট্রেডিশনাল ব্যাংকগুলো মোট আমানতের ৮৩ দশমিক ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দিতে পারবে। আগে এটি ছিল ৮৫ শতাংশ। এছাড়া ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো ৮৯ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দিতে পারবে। আগে তারা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দিতে পারত। বিভিন্ন ব্যাংক অতিরিক্ত যেসব ঋণ দিয়েছে সেসব ঋণ আগামী জুনের মধ্যে নির্ধারিত সীমার মধ্যে নামিয়ে আনতে হবে। কিন্তু বেসরকারি ব্যাংক মালিকরা বিভিন্ন পর্যায়ে তদবির করে অতিরিক্ত ঋণ সমন্বয়ের সময়সীমা আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করাতে সমর্থ হয়। তাদের একটি অন্যতম যুক্তি ছিল নির্বাচনের আগে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমানো উচিত নয়। প্রশ্ন হল, নির্বাচনের সঙ্গে ব্যাংক ঋণের সম্পর্ক কী? নির্বাচনে আগে ব্যাংকের খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলিকরণের হিড়িক পড়ে যাবে। যারা নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করতে চান অথচ ব্যাংক ঋণখেলাপি তারা এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উদ্দেশ্যে তাদের খেলাপি ঋণ হিসাব পুনঃতফসিলিকরণ করিয়ে নেবেন। নির্বাচনের আগের মাসগুলোতে স্থানীয়ভাবে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে বাজারে প্রতিটি পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যেতে পারে। যারা নির্বাচনে অংশ নেবেন এবং যারা নানাভাবে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চাইবেন তারা বাজারে টাকা ছাড়তে পারেন। ফলে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যেতে পারে। মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে গেলে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে।
এম এ খালেক : অর্থনীতিবিষয়ক কলাম লেখক

No comments

Powered by Blogger.