দেশ ও মানুষের কল্যাণে আজীবন কাজ করব

দেশ ও মানুষের কল্যাণে আজীবন কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আজ থেকে ৭০ বছর আগে কামারখোলা গ্রামে আমার জন্ম হয়েছে। মানুষ হিসেবে জন্ম যখন নিয়েছি, তখন একদিন মরতে হবে। তবে যত দিন বেঁচে থাকব তত দিন দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব। শনিবার ঢাকার নবাবগঞ্জের চুড়াইনে মরহুম জাকির হোসেন মেমোরিয়াল চ্যালেঞ্জ গোল্ডকাপ ও মরহুম আহসান উল্লাহ মোড়ল স্মৃতি রানার্সআপ গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চুড়াইন সাংস্কৃতিক সংঘ এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করে। যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে আমার ওয়াদা ছিল, দোহার উপজেলাকে মডেল থানা হিসেবে সারা দেশের কাছে পরিচিত করব। হিসাব কষে দেখবেন, বিগত সাড়ে তিন বছরে সালমা ইসলাম এমপি এখানে যে উন্নয়ন করেছেন, তা ৫০ বছরেও কেউ করতে পারেনি। আরেকটি ওয়াদা ছিল- এলাকায় চুরি-ডাকাতি থাকবে না, থাকবে না মাদকের ভয়াল গ্রাস। কেউ অন্যের সম্পত্তিও দখল করতে পারবে না। সালমা ইসলামের নিজস্ব বাহিনীও থাকবে না। তিনি সবার কাছে সমান থাকবেন। সে কথা নিশ্চয় তিনি রাখতে পেরেছেন। বাংলাদেশে ৩০০ আসনের মধ্যে সালমা ইসলামের নির্বাচনী এলাকায় অর্থাৎ দোহার-নবাবগঞ্জের মানুষ সবচেয়ে বেশি শান্তিতে বসবাস করছেন। এখানে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। সবাই একটি পরিবার হিসেবে বসবাস করছে। তাই আগামী নির্বাচনে আপনারা সালমা ইসলামের সঙ্গে থাকবেন বলে আশা করি। তিনি আরও বলেন, আগে মন্ত্রী-এমপি তো দূরের কথা চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সঙ্গে মানুষ কথা বলতে ভয় পেত। এখন রাত ১২টা বাজলেও সালমা ইসলাম আপনাদের ফোন রিসিভ করেন।
উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের যত ওয়াদা দিয়েছি, তার সবই করেছি। সুযোগ পেলে আরও কাজ করব। আমার দরজা এই এলাকার মানুষের জন্য সব সময় খোলা। পৃথিবীর যে দেশেই থাকি না কেন আপনাদের কথা মনে করে মাটির টানে এখানে চলে আসি।উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিষয় তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, আগে এই গ্রাম থেকে ঢাকায় যেতে ১০-১২ ঘণ্টা সময় লাগত। এখন এক থেকে দেড় ঘণ্টায় ঢাকায় যাতায়াত করা যায়। ১৯৯৬ সালে এই গ্রামে প্রথম বিদ্যুৎ এনেছি। এবার সালমা ইসলাম নদীভাঙন ঠেকাতে ২১৭ কোটি টাকা এনেছেন। ঢাকা-দোহারের সড়ক উন্নয়নে ৪৭০ কোটি টাকার বরাদ্দ এনেছি। গত সাড়ে তিন বছরে এ আসনের ২২টি ইউনিয়নের জন্য ২২৫ কোটি টাকার কাজ করেছি। তার মধ্যে শুধু চুড়াইনে ১৫ কোটি টাকার কাজ করেছি। স্বাধীনতার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস তুলে ধরে বিশিষ্ট এই শিল্পপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। ৩০ লাখ শহীদ ও আড়াই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি, পেয়েছি লাল-সবুজের পতাকা। এটা আমাদের গৌরব। আর সবকিছু সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর কারণে। চুড়াইন সাংস্কৃতিক সংঘকে ১০ লাখ টাকা অনুদান : এদিকে ফাইনাল খেলার মধ্য বিরতির সময় চুড়াইন সাংস্কৃতিক সংঘের শীর্ষস্থানীয় কর্তাব্যক্তিদের হাতে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম। মরহুম জাকির হোসেন মেমোরিয়াল চ্যালেঞ্জ গোল্ডকাপ ও মরহুম আহসান উল্লাহ মোড়ল স্মৃতি রানার্সআপ গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০১৭-এর ফাইনালে অংশ নেয় আগলা খানহাটি ডায়মন্ড ক্লাব ও মরিচপট্টি সোনালি সংঘ। টাইব্রেকারে মরিচপট্টি সোনালি সংঘকে ৫-২ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আগলা খানহাটি ডায়মন্ড ক্লাব। চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে আগলা খানহাটি ডায়মন্ড ক্লাব দেড় লাখ টাকা ও চ্যাম্পিয়ন ট্রুফি এবং রানারআপ দল মরিচপট্টি সোনালি সংঘকে ৯০ হাজার টাকা ও রানারআপ ট্রুফি তুলে দেয়া হয়। চুড়াইন সাংস্কৃতিক সংঘের সভাপতি আলহাজ বদিউল আলম সহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন, ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মোড়ল, চুড়াইন ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বেপারি, ঢাকা জেলা পরিষদের সদস্য এসএম সাইফুল ইসলাম, চুড়াইন সাংস্কৃতিক সংঘের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আমির হোসেন গফুর, মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন মোড়ল ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল বাসেত প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.