সৌদির সঙ্গে কৌশলগত অংশীদার হতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ এবং সামরিক অবকাঠামো নির্মাণে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ প্রশিক্ষণ সহযোগিতা, সক্ষমতা বৃদ্ধি, সামরিক অবকাঠামো নির্মাণ, জাহাজ নির্মাণ এবং বাংলাদেশি সেনা সদস্যদের বিভিন্ন সামগ্রী রফতানির ক্ষেত্রে সৌদি আরবের কৌশলগত অংশীদার হতে পারে।’ সোমবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌদি চিফ অব জেনারেল স্টাফ জেনারেল আবদুল রহমান আল-বুনাইয়ান সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, তার সরকার সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে একত্রিত করে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য গণসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ও সৌদি আরব, ভ্রাতৃপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান পারস্পরিক সম্পর্কে শেখ হাসিনা সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশিদের হৃদয়ে সৌদি আরব একটি বিশেষ জায়গা দখল করে আছে। সৌদি আরবে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি শ্রমিকদের কর্মে নিয়োজিত থাকার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা সেদেশের অর্থনীতিতেও বিরাট ভূমিকা রাখছে। সৌদি চিফ অব জেনারেল স্টাফ জেনারেল আবদুল রহমান বলেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমাদের প্রশিক্ষণ এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভালো সহযোগিতা রয়েছে। সৌদি জেনারেল বলেন, সৌদি আরব এবং বাংলাদেশ উভয়েই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পিএসও লে. জেনারেল মাহফুজুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে রয়েল থাই আর্মড ফোর্সেসের চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস জেনারেল সুরাপং সুওয়ানা আদথ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করেন।

No comments

Powered by Blogger.