ঘিওর সদরের রাস্তার বেহাল দশা

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা সদরের বেশিরভাগ রাস্তাই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঘিওর সরকারি কলেজ, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, ৩টি উচ্চ বিদ্যালয়, ২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পাঁচ মিনিটের বৃষ্টিতে হাঁটু পানি জমে এ রাস্তাটি প্লাবিত হয়ে যায়। বাসস্ট্যান্ডের সাথে এ রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার না করার দরুন এ রাস্তা দিয়ে চলাচলরত হাজার হাজার লোকজনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অথচ স্থানীয় প্রশাসনের এ রাস্তাটির দিকে বিন্দুমাত্র নজরদারি নেই। জানা গেছে, ঐতিহ্যবাহী ঘিওর বাজারের সাথে সিংজুরী ও পয়লা ইউনিয়নের হাজার হাজার লোকজন এ রাস্তা দিয়ে ঘিওর বাজারে প্রবেশ করে। ঘিওর সরকারী কলেজ, ঘিওর ডি.এন. পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, ঘিওর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মসজিদ, ঈদগাহ, পোষ্ট অফিস, ক্রীড়া সংস্থা, ৪৭ নং ঘিওর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থীর এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অপরদিকে, পরিবহন, পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলেও মারাত্মক অসুবিধা হচ্ছে। ফলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও শুশীল সমাজের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ করে বলেন, ঘিওর সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় একই স্থানে একাধিকবার উন্নয়ন ও সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু এই রাস্তাটির দিকে প্রশাসনিক কারো কোনো নজর নেই। অপরদিকে এ রাস্তার সাথে ঘিওর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার দরীদ্র লোকজন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ওষুধ নেওয়ার জন্য আসে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটির চারপাশে অটোবাইক, অটোরিকশা, ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন ঘিরে রাখে।
ফলে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা লোকজনেরও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অসুবিধা থাকায় অসুস্থ লোকজন চিকিৎসা নিতে এসে অনেক সময় ফিরে যায়। ঘিওর ডি.এন. পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মিজানুর রহমান শিকদার জানান, বিদ্যালয়ের আসার এই প্রধান সড়কটির ৪/৫টি স্থানে কাদা, পানি ও জলাবদ্ধতায় অবরুদ্ধ থাকায় শিক্ষার্থীসহ এলাকার লোকজনের য়াতায়াতের খুবই অসুবিধা হচ্ছে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার কে এম সিদ্দিক আলী জানান, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সসহ ৭/৮ টি বড় প্রতিষ্ঠান এখানে থাকা সত্ত্বেও বাজারের ভিতরে এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবৎ মেরামত করা হয়নি এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। জরুরী ভিত্তিতে রাস্তাটি মেরামতের জন্য তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো: সাজ্জাকুর রহমান জানান, আমি রাস্তাটি পরিদর্শন করেছি। জরুরী ভিত্তিতে রাস্তাটি মেরামতসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্বাহী অফিসার শামীমা খন্দকার জানান, রাস্তাটি আমি সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। রাস্তটির মেরামতের জন্যে ইতোমধ্যে প্রায় ৩০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প তৈরি করে পাঠানো হয়েছে। বাজেট আসলেই দ্রুত কাজ শুরু হবে। এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা রাস্তাটি মেরামতের জন্য প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

No comments

Powered by Blogger.