বগুড়ায় রাস্তা নিয়ে বিরোধে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের

বগুড়ার গাবতলীর ছোট ইটালী গ্রামে রাস্তা নিয়ে বিরোধে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আল-আমিন (১৪) নামে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। শনিবার সকালে শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে শুক্রবার বিকালে ওই সংঘর্ষের ঘটনায় আরও ৫ জন আহত হয়েছেন। নিহত স্কুলছাত্র আল-আমিনের বাবা শনিবার সকালে গাবতলী থানায় ২২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ ইতিমধ্যে এজাহার নামীয় ৬ আসামিকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- ছোট ইটালী গ্রামের মৃত মাহমুদ আলীর ছেলে বাবলু প্রামাণিক, মৃত মনসুর আলীর ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক, বাদল মিয়ার ছেলে শামীম হোসেন, আবদুল খালেকের ছেলে ফারুক হোসেন, মাদারী মোল্লার ছেলে ইয়াকুব আলী ও হবিবর রহমানের ছেলে আবদুল মান্নান। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, গাবতলী উপজেলার নশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইটালী মধ্যপাড়া গ্রামের খলিলুর রহমান জায়গা না ছেড়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন।
এতে রাস্তা ছোট হয়ে যাওয়ায় গ্রামবাসীর চলাচলে সমস্যা হয়। শুক্রবার বিকালে এতে বাধা দিলে খলিলুর রহমান, হবিবর রহমান ও আবদুল কুদ্দুস মাস্টারসহ কয়েকজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে খলিলুর রহমান ও হবিবুর রহমানের লোকজন কুদ্দুস মাস্টারকে আটকে রাখেন। তাকে উদ্ধারে স্বজনরা ছুটে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। লাঠিসোটার আঘাতে আমজাদ হোসেনের ছেলে বাগবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র আল-আমিন, আমিনুল ইসলাম ও অপর পক্ষের বাবলু এবং ফটিকসহ ৬ জন আহত হন। এদের বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তির পর শনিবার সকালে স্কুলছাত্র আল-আমিন মারা যায়। দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। গাবতলী থানার ওসি খায়রুল বাশার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত এজাহার নামীয় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.