যশোরে কলেজছাত্র হত্যামামলায় স্কুলশিক্ষকের যাবজ্জীবন

জেলার মনিরামপুর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের কলেজ ছাত্র হেলালউজ্জামান হত্যামামলায় স্কুলশিক্ষক এনাম আহম্মেদকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। সোমবার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল জজ ও বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা এ রায় ঘোষণা করেন। হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার অপর ৮ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন বিচারক। দন্ডপ্রাপ্ত হেলালউজ্জামান জোকা-কমলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ও উপজেলার হানুয়ার গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১৫ এপ্রিল উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারে চা খাওয়াকে কেন্দ্র করে খাঁ পাড়ার পলাশ ও রিপনের মধ্যে মারামারি হয়।
এ ঘটনার জের ধরে পরদিন সকাল ৯টার দিকে কলেজ ছাত্র হেলালউজ্জামান বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ভানুর মোড়ে পৌঁছালে আসামিরা তার গতিরোধ করে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। প্রথমে তাকে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর তিনি ১৭ এপ্রিল মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাই সামছুল হক মন্টু বাদী হয়ে মনিরামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক তরুন কুমার কর তদন্ত শেষে ওই বছরের ২৬ জুলাই ৯জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানী শেষে হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক স্কুল শিক্ষক এনাম আহম্মেদকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এনাম আহম্মেদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.