চুরি ও হামলার দায়ে কারাদণ্ড ভারতীয় বিমানবাহিনী পাইলটের

ভারতীয় বিমানবাহিনীর হয়ে জাতীয় স্তরে রাইফেল শুটিং প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জয় করেছিলেন তিনি। কাজের জন্য কুড়িয়েছেন প্রসংশাও। তবে আজ তিনি চাকরি থেকে বরখাস্ত সাজাপ্রাপ্ত দাগী আসামি। অভিযোগ, তিনি শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন। শীর্ষ কর্মকর্তার উপর হামলা করেছেন। সঙ্গে আছে চুরির দায়ও। তবে সমস্তই ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন সাজাপ্রাপ্ত বিমানবাহিনীর পাইলট। ২০১৩ সাল। তখন বিমানবাহিনী পরিবহণ বিমান Antonov-32 চালাতেন ওই ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট। চালক হিসেবে বেশ নামডাকও হয়েছে। এমন সময় হঠাৎ বিনা মেঘে বজ্রপাত। খেলতে গিয়ে পায়ে গুরুতর চোট পান তিনি। সেরে উঠলেও পাইলট হিসেবে তার জীবন শেষ হয়ে যায়। চোটের দরুণ বিমানবাহিনীর বিমান চালানোর অযোগ্য হয়ে পড়েন তিনি। তারপরই তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় গুজরাটের ভুজ বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে। সেখানেই সমস্যার সূত্রপাত। শৃঙ্খলাভঙ্গ, শীর্ষ কর্মকর্তার উপর হামলা ও চুরির অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। তারপর কোর্টমার্শালে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। চাকরি থেকে বরখাস্ত ও দু’বছরের জেলের সাজা দেওয়া হয় তাঁকে। যদিও দিল্লির একটি সামরিক আদালতে ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে জামিন পেতে সক্ষম হয়েছেন দোষী সাব্যস্ত ওই পাইলট। তবে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ওই পাইলট দাবি করেছেন যে শীর্ষ কর্মকর্তারা তার চিকিৎসায় গাফিলতি করেছেন যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে তাকে। এছাড়াও তাকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। এসব কথা তুলে ধরার জন্যই তাকে নিশানা করা হচ্ছে বলেও মনে করছেন তিনি। তেজবাহাদুর প্রসঙ্গে সেনাবাহিনীর অন্দরে চলা দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়ে উঠেছিল গোটা ভারতে। জওয়ানদের নিম্নমানের খাবার ও অফিসারদের হাতে হেনস্তা হওয়ার অভিযোগ করায় শৃঙ্খলাভঙ্গ করার নামে কৈফিয়ত গুণতে হচ্ছে ওই বিএসএফ জওয়ানকে। ওই ঘটনার পর নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছিলেন খোদ প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সেনাপ্রধান। তবে সেই আশ্বাস কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে তা সময়ই বলবে।

No comments

Powered by Blogger.