সাটুরিয়ায় ধর্ষণের শিকার নারীর সম্ভ্রমের মূল্য ৮ লাখ টাকা!

সাটুরিয়ায় এক গৃহবধূকে তার নিকটাত্মীয় ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে গ্রাম্য সালিশে ওই নারীর সম্ভ্রবহানির জন্য ধর্ষককে ৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এদিকে তারাগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে এক বখাটে। বিস্তারিত প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে-
সাটুরিয়া : অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই নারীর বাড়ি সাটুরিয়ার পাতিলাপাড়া এলাকায়। দিঘুলিয়া ইউনিয়নের ভোয়া গ্রামে এক বছর আগে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তার স্বামী কাতার পাড়ি জমান। এরপর থেকে গৃহবধূর স্বামীর বাড়ির একজন নিকটাত্মীয় তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছে। ১৮ মার্চ রাতে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে ওই ব্যক্তি। গৃহবধূর আর্তচিৎকারের আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ধর্ষক পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে গৃহবধূর মা ও ফুপা তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজন এ ঘটনার বিচার চান বডাইদ ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ ও সদস্য এছাক মিয়ার কাছে। ২৪ মার্চ বডাইদ ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ বসে। সালিশের নামে প্রহসনে গৃহবধূর ইজ্জতের মূল্য ৮ লাখ টাকা সাব্যস্ত করা হয়! ধর্ষককে সেই টাকা দিতে বলা হয়। এ সময় ধর্ষক ১০ হাজার টাকা নগদ দিয়ে ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা পরে দেয়ার অঙ্গীকার করে। ঘটনার ১৭ দিন পার হলেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ধর্ষিতার পরিবারকে টাকা দেয়নি ধর্ষক। বিচারের টাকা পেতে উল্টো বাদীর পরিবারের কাছে ২ লাখ টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সাটুরিয়া থানায় ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুনর রশিদ জরিমানা ধার্য করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
তারাগঞ্জ : ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর বাড়ি হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের কিসামত মেনানগর গ্রামে। ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে তার স্বামী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় বাজারে যান। আগে থেকে ওতপেতে থাকা একই গ্রামের হজরত আলীর ছেলে গোলাম মোস্তফা ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় গৃহবধূর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে মোস্তফাকে আটক করে। পরে সে কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী মামলা করতে গেলে ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী মোস্তফার কাছ থেকে টাকা খেয়ে তাকে হুমকি দেন।

No comments

Powered by Blogger.