‘মুসলিমদেরও দাহ করা উচিত’

কবরস্তান বা গোরস্তান বানানোর মতো পর্যাপ্ত জায়গা নেই ভারতে। তাই কবরস্তান সৃষ্টি বন্ধের জন্য একটি আইন করা উচিত। একই সঙ্গে মুসলিমরা মারা গেলে তাদেরকে দাফন না করে দাহ করার প্রস্তাব করেছেন ভাতীয় জনতা পার্টির এমপি সাক্ষী মহারাজ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জি নিউজ। এতে বলা হয়, সাক্ষী মহারাজা উস্কানিমুলক বক্তব্য দেয়ার জন্য বহুল বিতর্কিত। তিনি সোমবার উত্তর প্রদেশের উন্নাও-এ এক র‌্যালিতে বক্তব্য রাখার সময় বলেন, করবস্তান বা শ্মশান যা-ই হোক না কেন- কাউকে সমাহিত করা উচিত নয়। ভারতে ২ থেকে আড়াই কোটি হিন্দু সন্যাসী আছেন। তারা মারা যাওয়ার পর তাদের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করতে হবে। এ জন্য জমির প্রয়োজন হবে। এখানে ২০ কোটি মুসলিম আছে। তাদেরকে কবরে দাফন করতে হবে। হিন্দুস্তানে এত জমি বা জায়গা কোথায়?
তার এমন বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিরোধী দল কংগ্রেস। মঙ্গলবার তারা বলেছে সাক্ষী মহারাজার বিতর্কিত ‘কবরস্তান’ বিতর্ক সাম্প্রদায়িকতা। উত্তর প্রদেশে গুরুত্বপূর্ন নির্বাচন চলছে। তাতে সুবিধা পাওয়ার জন্য তারা এমন মন্তব্য করছেন। কংগ্রেসের নেতা সন্দীপ দীক্ষিত বলেছেন, প্রতিটি ধর্মের নিজস্ব রীতি সেই ধর্মের মানুষ অনুসরণ করে। যদি কবরস্তানের প্রয়োজন হয় তাহলে তা নির্মাণ করা হবে। একইভাবে যদি শ্মশানের প্রয়োজন হয় তাহলে শ্মশান নির্মাণ করা হবে। কোনো নেতা বা সন্যাসীর বিতর্কিত মন্তব্যে এতে কোনো প্রভাব পড়বে না। একই রকম মত দিয়েছে সমাজবাদী পার্টি। দলের নেতা নরেশ আগরওয়াল বলেছেন, সাক্ষী মহারাজার বিবৃতি সম্প্রদায়িকতা চড়িয়ে ড়েবে। এতে মুসলিম ও হিন্দুদের মধ্যে ব্যবধান আরো বাড়বে। তাদের এমন কথাবার্তায় বোঝা যায় বিজেপি কতটা হতাশাজনক অবস্থায়। আলোচনার জন্য তাদের কাছে কোনো ইস্যুই নেই। এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফতেহপুরে এক র‌্যালিতে ভাষণ দেন। সেখানে তিনিও কবরস্তান ও শ্মশান ইস্যু তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দু’পক্ষের জন্যই জমি বরাদ্দে কোনো বৈষম্য রাখা উচিত হবে না। যদি কোনো গ্রামে কবরস্তান সৃষ্টির প্রয়োজন হয় তাহলে একইসঙ্গে একটি শ্মশানও সেখানে সৃষ্টি করা উচিত। যদি রমজান মাসে বিদ্যুতে বিঘ্ন না ঘটে তাহলে দিওয়ালি উৎসবের সময়ও বিঘ্ন ঘটা উচিত হবে না। এক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য রাখা উচিত হবে না।

No comments

Powered by Blogger.