এপ্রিলে এরশাদের নতুন জোট

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন সম্ভাব্য নতুন জোট ‘জাতীয় ঐক্যজোট’ গঠনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে শনিবার দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম প্রেসিডিয়ামের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ নামসর্বস্ব দলের সঙ্গে জোট গঠনের বিরোধিতা করেন। এ সময় তার বক্তব্যের সমর্থন করেন কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য। প্রেসিডিয়াম সভায় ৩২ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। টানা আড়াই ঘণ্টা চলা এ বৈঠকে মূল আলোচনাই ছিল নতুন জোট গঠনের বিষয়টি। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, রওশন এরশাদের সমালোচনার মুখে দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জোট প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা কোনো নামসর্বস্ব দলকে জোটে সরাসরি টানছি না। আমাদের জোটে আসতে আগ্রহী ইসলামী ১০টি দল প্রথমে একটি মোর্চা করবে, আর সেই মোর্চা আমাদের সঙ্গে জোট করবে। এমনিভাবে আরও ছোট ছোট ১৫টি দল একটি মোর্চা করবে। এ দুইটি মোর্চা ও নিবন্ধিত দলগুলো স্বতন্ত্রভাবে আমাদের সঙ্গে জোট করবে। জোটের শীর্ষ নেতা হবেন সেই মোর্চার প্রধানরা ও নিবন্ধিত দলের প্রধান।’ সভায় আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে জাতীয় ঐক্যজোট গঠনের ঘোষণা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, আগামী নির্বাচনে জোট করে ভোট করবে জাতীয় পার্টি। নির্বাচন উপলক্ষে জোট করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে প্রেসিডিয়ামের বৈঠকে। এপ্রিলের যে কোনো সময় জোট আত্মপ্রকাশ করবে বলে জানান তিনি। জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, প্রেসিডিয়াম বৈঠকে দলের ঐক্য, সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। অন্তত ১০টি নিবন্ধিত দলের সঙ্গে আমরা বসব।
এরপরই জোট গঠনের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। তিনি বলেন, ‘জোট নিয়ে আমরা চমকপ্রদ কিছু দেয়ার অপেক্ষা করছি।’ নতুন এ জোটের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদই হবেন বলে জানান তিনি। এদিকে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রেস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভরায় স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পার্টির প্রেসিডিয়াম সভায় জোট গঠনের সিদ্ধান্ত হয় এবং ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সরকারকে অভিনন্দন জানানো হয়। সভায় এ গণহত্যা দিবস আন্তর্জাতিকভাবে পালন করার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ এমপি, কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, গোলাম কিবরিয়া টিপু, আলহাজ সাহিদুর রহমান, শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপিকা মাসুদা এম রশীদ চৌধুরী, ফকরুল ইমাম এমপি, মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, নুর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী এমপি, সৈয়দ মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা), হাবিবুর রহমান, সুনীল শুভরায়, এসএম ফয়সল চিশতী, মীর আবদুস সবুর আসুদ, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এটিইউ তাজ রহমান, মহসিন রশীদ, আলহাজ তাজুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, সোলায়মান আলম শেঠ, আলহাজ আতিকুর রহমান আতিক, নাসরিন জাহান রতনা এমপি, আবদুর রশীদ সরকার, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, মুজিবর রহমান সেন্টু।

No comments

Powered by Blogger.