চায়ের কেটলি থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে আগুন : ফায়ার সার্ভিস

বৈদ্যুতিক চায়ের কেটলি (ওয়াটার হিটার) শর্টসার্কিট হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনে আগুন লাগে বলে ফায়ার সার্ভিসের ধারণা। ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির প্রধান সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস শনিবার বিকালে যুগান্তরকে এ তথ্য জানান। ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগীয় এ উপপরিচালক জানান, তার নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির সব সদস্য শনিবার বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে তারা নিশ্চিত হয়েছেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা শনিবার বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে ছিলেন। এ সময় তারা ঘটনাস্থল ও এর আশপাশের কিছু ছবি তুলেছেন। ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বক্তব্যও নিয়েছেন। এদিকে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম জানান, সিআইডির একটি দল শনিবারও ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। সিআইডি সদস্যরা ১৪ তলায় অবস্থিত জিএমের কক্ষের পুড়ে যাওয়া কম্পিউটারের সিপিইউয়ের অংশবিশেষসহ নানা আলামত সংগ্রহ করেছেন। এসব আলামত মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এর আগে ঘটনার রাতে যেসব আলামত সংগ্রহ করা হয় সেগুলো ইতিমধ্যে থানা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে পরীক্ষার জন্য সিআইডি ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে মতিঝিল থানায় করা জিডির তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাজমুল্লাহ জানান, তদন্ত শেষ হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে। এরপর তারা মিডিয়াকে তথ্য দেবেন। ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, আগুনে খুব বেশি ক্ষতি হয়নি। কেপিআইভুক্ত ও অত্যন্ত স্পর্শকাতর স্থাপনা হওয়ায় বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি জানান, তদন্ত কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এখনও কর্মদিবস শুরু হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনার পর টানা তিন দিন সরকারি ছুটি। সোমবার অফিস খুলবে। ওইদিন অনেককে পাওয়া যাবে। সবার সঙ্গে কথা বলেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। আগুনের ঘটনাটি নাশকতা হতে পারে বলে কেউ কেউ সন্দেহ করছে, এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের বক্তব্য কী জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, নাশকতার কোনো প্রমাণ পাওয়া গেলে তদন্ত প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করা হবে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করে রাত ১০টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনা তদন্তে তিন ও পাঁচ সদস্যের দুটি কমিটি করা হয়। একটি কমিটি হয় ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে, অন্যটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে।

No comments

Powered by Blogger.