আঙুলের ছাপ ও নমুনা নিয়ে দুজনের লাশ হস্তান্তর

সিলেটের আতিয়া মহলে সেনা অভিযান অপারেশন টোয়াইলাইট চলাকালে দুই দফা বিস্ফোরণে নিহত ডেকোরেটার ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম ও খাদিম শাহের লাশ পরিবারের কাছে দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে আঙুলের ছাপ ও জামাকাপড়ের নমুনা রেখে তাঁদের লাশ পরিবারকে দেওয়া হয়। মোগলাবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুস সাত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ বলছে, হামলাকারীকে শনাক্ত করতে নমুনা সংগ্রহের জন্য দুজনের লাশ রাখা হয়েছিল। গতকাল রোববার পুলিশের দুই কর্মকর্তা ও দুজন কলেজছাত্রের লাশ হস্তান্তর করা হয়। সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এস এম রোকন উদ্দিন আহমদের ভাষ্য, ‘নিহত ছয়জনের মধ্যে দুজনের লাশ হস্তান্তর করা হয়নি।
তাঁদের ব্যাপারে আমাদের একটু খোঁজখবর নেওয়া দরকার। তাঁদের পরিবারের সঙ্গে আমরা আলাপ করব।’ তিনি আরও বলেন, কারা হামলার সঙ্গে জড়িত, তা খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে বলা যাবে। এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের ব্যাপারেও খোঁজ চলছে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন সিলেটে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক চৌধুরী আবু মো. কয়সর, জালালাবাদ থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম, মদনমোহন কলেজের হিসাববিজ্ঞান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ওয়াহিদুল ইসলাম অপু, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের উপপরিবেশ-বিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল ফাহিম, সিলেটের দাড়িয়াপাড়ার বাসিন্দা ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম, খাদিম শাহ।
একনজরে অভিযান
২৩ মার্চ দিবাগত রাত আড়াইটায় ‘আতিয়া মহল’ ঘেরাও করে পুলিশ
২৪ মার্চ পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সোয়াট। সেনাবাহিনীর পর্যবেক্ষণ
২৫ মার্চ সেনাবাহিনীর অপারেশন টোয়াইলাইট শুরু। আটকা পড়া ৭৮ জন উদ্ধার। সেনাবাহিনীর সংবাদ সম্মেলনের পর দুই দফা বোমা বিস্ফোরণ। ছয়জন নিহত
২৬ মার্চ সকাল থেকেই ওই এলাকায় জঙ্গিবিরোধী তল্লাশি ও অভিযান। দুই জঙ্গি নিহত। অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা
২৭ মার্চ সকাল থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত থেমে থেমে গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ।

No comments

Powered by Blogger.