জয়শূন্য দুই আবাহনী ও মোহামেডান

জোনাপিওর (ডানে) গোলে হলুদ-সবুজের এই হাসি
মুছে যায় সাদা-কালোর গোলে। সোমবার চট্টগ্রামে
ড্রয়ের দিনে রহমতগঞ্জ, মোহামেডান ও দুই
আবাহনীই জয়বঞ্চিত রাজেশ চক্রবর্তী
চট্টগ্রামে দর্শকখরা ও গোলখরা একইসঙ্গে চলছে। প্রথমদিন দুই ম্যাচে গোল হয়েছে মাত্র তিনটি। একটি ড্র ও একটি জয়। সোমবার দ্বিতীয়দিন দুটি ম্যাচই ড্র। দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকা মোহামেডান কোনোরকমে হার এড়ায় পেনাল্টি গোলে। ১-১ গোলে ম্যাচ ড্র হওয়ার জন্য রহমতগঞ্জের কোচ দায়ী করেছেন রেফারিকে। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল দুই আবাহনীর। ঢাকা ও চট্টগ্রাম আবাহনী ড্র করল ১-১ গোলে। এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৩৪ মিনিটে বিপ্লবের হেডে এগিয়ে যায় ঢাকা আবাহনী (১-০)। ৭৬ মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনীর বদলি খেলোয়াড় রুবেল মিয়া সাইড ভলিতে ম্যাচে সমতা আনেন (১-১)। এ নিয়ে দু’দিন চারটি ম্যাচের মধ্যে তিনটিই ড্র হল। চার ম্যাচের গোল হয়েছে মাত্র সাতটি।
রহমতগঞ্জের কোচের মতে, ‘রেফারির বদৌলতে’ পেনাল্টি থেকে গোল করে কোনো রকমে ১-১ ব্যবধানে সমতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছে মোহামেডান। সোমবার চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) ফুটবলের দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও রহমতগঞ্জ এমএফএস পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিয়েছে। সকাল থেকে সারা দিন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। এ অবস্থায় বিকেলে শুরু হয় মোহামেডান-রহমতগঞ্জ ম্যাচ। বৃষ্টিস্নাত মাঠে প্রথমার্ধে সাদা-কালো জার্সির প্রতি সুবিচার করতে পারেননি মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। প্রথমার্ধে আধিপত্য ছিল রহমতগঞ্জের। ম্যাচের ১৩ মিনিটে মোহামেডানের ডিফেন্ডার দিদারুল আলমের বক্সের ওপর থেকে নেয়া জোরালো শট রহমতগঞ্জের কিপার মাসুম দক্ষতার সঙ্গে লুফে নেন। এরপর একটার পর একটা আক্রমণ করতে থাকে রহমতগঞ্জ। আক্রমণে মোহামেডানের রক্ষণে চিড় ধরে। তারই ফলশ্র“তিতে ১৭ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে রহমতগঞ্জের মিডফিল্ডার মাহবুব নয়নের লব থেকে বক্সে দাঁড়িয়ে থাকা বিদেশী ফরোয়ার্ড সাইও জোনাপিও দর্শনীয় সাইড ভলিতে গোল করেন (১-০)। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে ওঠে মোহামেডান।
ম্যাচের ৫২ মিনিটে মোহামেডানের অধিনায়ক ইসমাইল বাঙ্গুরা বাঁপ্রান্ত থেকে বক্সে ঢুকে তিন-চারজনকে কাটিয়ে ডান-পায়ে জোরালো শট নেন। রহমগঞ্জের গোলকিপার মাসুম কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন। ৫৫ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে মোহামেডানের ফরোয়ার্ড আমিনুর রহমান সজীব লব করলে সহযোদ্ধা বিশ্বনাথ ঘোষ ফাঁকায় ছোট ডি-বক্স থেকে শট নিতে ব্যর্থ হন। সহজ সুযোগ নষ্ট হয় মোহামেডানের। ৬৪ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে রহমতগঞ্জের মিডফিল্ডার মেহবুব হাসান নয়নের আচমকা শট মোহামেডানের কিপার নেহাল রক্ষা করেন। ৭৯ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে মোহামেডানের বদলি মিডফিল্ডার আবদুল মালেক থ্রু পাস থেকে সতীর্থ মাসুদ মিয়া জনি শট নিলে ছোট ডি-বক্সের জটলার মধ্যে  হ্যান্ডবলের   বাঁশি বাজান রেফারি। পেনাল্টি থেকে মোহামেডানের অধিনায়ক ইসমাইল বাঙ্গুরা ম্যাচে সমতা আনেন (১-১)। এ ব্যাপারে ম্যাচ শেষে রহমতগঞ্জের কোচ কামাল আহমেদ বাবু পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে অভিযোগের আঙুল তোলেন রেফারির দিকে। তিনি সাংবাদিকদের ওই মুহূর্তের খেলাটির ভিডিও দেখার দাবি জানান।

No comments

Powered by Blogger.