জাদুঘরে চৈত্রে বই উৎসব শুরু

জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী হলে আজ শনিবার বিকেলে
চৈত্রের বইমেলার উদ্বোধন করা হয়। প্রথমাসহ দেশের ১০টি
প্রকাশনা সংস্থা এতে অংশগ্রহণ করে।
দশ প্রকাশনা সংস্থার অংশগ্রহণে জাতীয় জাদুঘরে শুরু হলো চৈত্রে বই উৎসব। নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে বসেছে রকমারি বইয়ের পসরা। সেখানে রয়েছে গল্প, উপন্যাস, কবিতা, ভ্রমণ, আত্মজীবনী, মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু বিচিত্র গ্রন্থের সম্ভার। আজ শনিবার বিকেলে ১১ দিনব্যাপী এই উৎসবের উদ্বোধন হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। এ ছাড়া আলোচনায় অংশ নেন প্রকাশকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করে অ্যাডর্ন প্রকাশনীর প্রকাশক সৈয়দ জাকির হোসাইন। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, প্রকৃত অর্থে বইয়ের পাঠক কমেনি। শুধুমাত্র অমর একুশে গ্রন্থমেলার বিক্রির পরিমাপ দিয়ে পাঠকের সংখ্যা নির্ধারিত হয় না। ক্রমশই জাতির মধ্যে বইয়ের প্রতি একটা মমত্ববোধ তৈরি হচ্ছে। তবে পাঠক বাড়াতে হলে শুধু ঢাকায় বইমেলা করলেই চলবে না—এটাকে ছড়িয়ে দিতে হবে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায়। সব জেলা ও উপজেলার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় বইমেলার আয়োজন করতে হবে। তাহলেই বাড়বে বই পাঠকের সংখ্যা। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় সেলিনা হোসেন বলেন, অনলাইনের দাপটে যেন বইয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ না হারায়, সে বিষয়টির প্রতিও নজর দিতে হবে। কারণ, আমরা বইয়ের সঙ্গে সরাসরি সখ্য গড়তে চাই। এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা বইয়ের দিকে আগ্রহী হয়ে উঠছে, এটা আশার কথা। সারা বছরের জন্য স্থায়ীভাবে একটি বইমেলা করা প্রয়োজন। এই দুই অতিথি ছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন কবি আজিজুর রহমান আজিজ, জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আলম তালুকদার। অতিথি হিসেবে আরও ছিলেন রেজাউর রহমান, লেখক সুব্রত বড়ুয়া, মোরশেদ শফিউল হাসান, মুহম্মদ লুৎফুল হক, কথাসাহিত্যিক আতা সরকার, কাকলী প্রকাশনীর প্রকাশক এ কে নাছির আহমদ সেলিম, অনুপম প্রকাশনীর প্রকাশক মিলনকান্তি নাথ, সময় প্রকাশনের প্রকাশক ফরিদ আহমেদ, বেঙ্গল পাবলিকেশনসের পক্ষে কালি ও কলমের সম্পাদক আবুল হাসনাতসহ নবীন-প্রবীণ লেখকবৃন্দ। মেলায় অংশগ্রহণকারী দশটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান হলো প্রথমা, অনন্যা, সময়, অ্যাডর্ন, অনুপম, কাকলী, অবসর, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, বেঙ্গল পাবলিকেশনস ও ডেইলি স্টার বুকস। বই ভেদে ৩০ থেকে ৪৫ শতাংশ ছাড়ে পাঠকেরা বই সংগ্রহ করতে পারবেন এই উৎসবে। আগামী ১২ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই উৎসব। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

No comments

Powered by Blogger.