শাসকগোষ্ঠীর অসুস্থ রাজনীতির বিষবাষ্পে দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম : রিপন

অসুস্থ রাজনীতির বিষবাষ্পে মানুষের এখন দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে তিনি জাতীয় সংলাপের আহবান জানিয়েছেন।
আজ বুধবার বিকেলে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দেশে এখন শাসক দল দোষারোপের রাজনীতি করতেই বেশি পছন্দ করছে। যেকোনো ঘটনা ঘটলে, পূর্বাপর বিচার-বিশ্লেষণ না করেই শাসকগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে তার রাজনৈতিক পক্ষকে ঘায়েল করার অপচর্চা এখন রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। যা কোনভাবেই সুস্থ রাজনীতির লক্ষণ নয়।
সংবাদ সস্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সহ দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করিম শাহিন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, রফিক শিকদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের দফতর সম্পাদক মো. আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।
ড. রিপন বলেন, সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল ও তার নেতৃবৃন্দের নাম উল্লেখ করে যেসব অবাঞ্ছিত মন্তব্য প্রকাশ করা হচ্ছে, তা বাংলাদেশের রাজনীতি সম্পর্কে ভবিষ্যতের জন্য কোনো আশাবাদের জায়গা আর থাকছে না।
রিপন বলেন, সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বরাবরের মতোই আবারো বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে অরুচিকর মন্তব্য করেছেন। তার ওই নিম্নরুচির বক্তব্যের আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি বলেন, ক্ষমতার হালুয়া-রুটির লোভে-মন্ত্রীত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকে সন্তুষ্ট করতে এখন প্রতিদিন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষায় বিষোদগার করে যাচ্ছেন ইনু। তার এসব বক্তব্য-বিবৃতি প্রদানের লক্ষ্য যে শুধুই মন্ত্রীত্ব রক্ষা করার উদ্দেশ্যে তা কারুর বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়।
তিনি বলেন, আমাদের দল বর্তমান এই জাতীয় সঙ্কটকে মোকাবেলা করার জন্য যে জাতীয় ঐক্যের আহবান জানিয়ে আসছে- তার বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করাই ইনুর লক্ষ্য। কারণ দেশে এখন একটি অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ইনু সাহেবদের মতো মানুষের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে। সে আশঙ্কা থেকেই ইনু ও তার মতো লোকেরা দেশে হিংসাশ্রয়ী-বিভেদের রাজনীতিকে আরো উস্কে দিচ্ছেন এখন।
দলের অসুস্থ ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরণের পর দলের স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে আটকের প্রতিবাদ জানিয়ে বন্দী সব নেতা-কর্মীর আশু মুক্তি দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।
রিপন বলেন, গত কয়েকদিন আগে জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সহ-সভাপতি ও জাগৃতি প্রকাশনার কর্ণধার ফয়সাল আরেফীন দীপন দুর্বৃত্তদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হওয়ার পর তার পিতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারনিউমারি অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক নিজেও জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে উৎকন্ঠা প্রকাশ করেছেন এবং একই সাথে তিনি দেশ ও দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ হচ্ছে-জাতির ইস্পাত কঠিন ঐক্য।
তিনি বলেন, বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেফতার করে, বিরোধী দলের বিরুদ্ধে দোষারোপের রাজনীতি আরোপ করে জাতির এই সংকটকে দূর করা যাবে না।

No comments

Powered by Blogger.