লাশবাহী প্রথম বিমান ইরানে পৌঁছেছে

সৌদি আরবের মক্কার মিনায় শয়তানকে পাথর মারতে যাওয়ার পথে পদদলনে নিহত হওয়ার নয় দিন পর শনিবার লাশবাহী একটি বিমান ইরানের রাজধানী তেহরান পৌঁছেছে। দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনার মধ্যেই প্রথম দফায় ১০৪টি লাশ ইরানে এসে পৌঁছল। এদিন লাশ গ্রহণ করতে বিমানবন্দরে যান ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিসহ দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। মৃতদেহ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাসান রুহানি বলেন, মিনা ট্রাজেডি সবার জন্য একটি বড় পরীক্ষা ছিল। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ খবর নিশ্চিত করেছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ বলেছে, মিনায় পদদলনে ৭৬৯ জন হাজীর মৃত্যু হয়েছে। তবে ইরানের দাবি এ সংখ্যা আরও অনেক বেশি। মক্কার একটি হাসপাতাল সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে,
মৃতের সংখ্যা নিশ্চিতভাবেই হাজারের ওপরে ছাড়িয়ে যাবে। ইরানের দাবি, তাদের দেশের ৪৬৪ জন হাজী ওই ঘটনায় নিহত হয়েছেন। তেহরান অভিযোগ করে আসছে, সৌদি সরকারের হজ ব্যবস্থাপনায় ত্রুটির কারণেই ইতিহাসের অন্যতম এই বিয়োগান্তক ঘটনা ঘটেছে। সৌদি রাজপরিবার এর দায় এড়াতে পারে না। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এ ঘটনা তদন্তে একটি কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন। সৌদি কর্তৃপক্ষ সর্বশেষ ঘোষণা দিয়েছে মিনায় মৃতের সংখ্যা ৭৬৯ জন। তবে অধিকাংশ মুসলিম দেশ তাদের নিখোঁজ নাগরিকদের হিসাব করে জানিয়েছে নিহতের সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি। ২৪ দেশ তাদের নিখোঁজ নাগরিকদের পরিসংখ্যান থেকে জানিয়েছে, সেখানে মৃতের সংখ্যা এক হাজার ৩৬ জন। তবে ইরান বলেছে এ সংখ্যা দুই থেকে চার হাজারের মতো। আল জাজিরা।

No comments

Powered by Blogger.