হড়পা বানে ভেসে জোড়া ট্রেন নদীতে

নদীতে পড়ে জোড়া রেল দুর্ঘটনায় ভারতের মধ্যপ্রদেশের হড়দায়। মঙ্গলবার গভীর রাতে হড়দায় একটি সেতু ভেঙে মাচক নদীতে তলিয়ে যায় (১১০৭২ আপ) কামায়নী এক্সপ্রেসের অন্তত ৬টি কামরা। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই এ একই জয়গায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মুম্বাইগামী জনতা এক্সপ্রেস। বুধবার দুপুর পর্যন্ত খবর, মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচ শিশুসহ কমপক্ষে ৩২ জনের। গুরুতর আহত ৭২ জন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। বুধবার হড়দার এসপি প্রেমবাবু শর্মা জানিয়েছেন, হড়পা বান ও প্রবল বৃষ্টির জন্য সেতু ভেঙে যাওয়ায় ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। মুম্বাই থেকে বারানসীগামী কামায়নী এক্সপ্রেস রাতে অন্ধকারে সেতু পার হওয়ার সময় ভেঙে পড়ে সেতুটি। দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। উদ্ধার করে ৩০০ জনকে। মৃতদের মধ্যে ১২ পুরুষ, ১১ মহিলা ও পাঁচ শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও বেশকিছু দেহ কামরার ভেতরে আটকা রয়েছে। রেল মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মৃতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা সাহায্য করা হবে। গুরুতর জখমদের ৫০ হাজার ও কম আহতদের ২৫ হাজার টাকা দেয়া হবে। মধ্যপ্রদেশে রেল দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং,
কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। মোদি বলেন, ‘কামায়নী ও জনতা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবরে গভীর মর্মাহত। সবরকম সাহায্যের জন্য তৈরি প্রশাসন।’ এদিন রেলমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেছে কংগ্রেস। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হড়দা ও খিরকিয়ার মাঝে কুড়াওয়া স্টেশনের কাছে। হড়দা-কালিমাচ সেতু ও রেল লাইন জলমগ্ন থাকায় চালক সেতুর ভেঙে যাওয়া অংশ দেখতে পাননি। যার জেরে দ্রুতগামী ট্রেনটি সেতু পার হওয়ার সময় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সেতু। কামায়নীর ৬টি কামরা তলিয়ে যায় মাচক নদীতে। এর কিছুক্ষণ পরেই ওই একই জায়গায় উল্টোদিক থেকে আসছিল জব্বলপুর-মুম্বাই রুটের আরও একটি যাত্রীবাহী ট্রেন। একইভাবে দুর্ঘটনায় পড়ে সেটিও।

No comments

Powered by Blogger.