সারা দেশে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ৪০০ চাঁদাবাজ by নুরুজ্জামান লাবু

ঈদকে সামনে রেখে সারা দেশে চলছে বেপরোয়া চাঁদাবাজি। চিহ্নিত সন্ত্রাসী থেকে শুরু করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরাও জড়িয়ে পড়েছে চাঁদাবাজিতে। দাগি অপরাধীরা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নাম করে ফায়দা লুটছে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের কাছে চিরকুট পাঠিয়ে ঈদ-সালাম পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এমনকি চিরকুটে সন্ত্রাসীরা চাঁদা দেয়ার নির্দিষ্ট তারিখও উল্লেখ করে দিচ্ছে। চাঁদা না দিলে পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি ও নানা ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। কখনও বাসার সামনে গিয়ে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে সন্ত্রাসীরা। ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুধু রাজধানীতেই নয়, সাত বিভাগীয় শহর ও জেলায় জেলায়ও চলছে চাঁদাবাজি। সম্প্রতি একটি গোয়েন্দা সংস্থা রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের চাঁদাবাজদের একটি তালিকা করেছে। ওই তালিকায় ৩৯৭ চাঁদাবাজের নাম রয়েছে। যার মধ্যে অনেকেই ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীও রয়েছেন। এ ছাড়া পলাতক ও কারাবন্দি শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নামও রয়েছে তালিকায়। ঈদ উপলক্ষে দেশজুড়ে চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, চাঁদাবাজ যারাই হোক তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। চাঁদাবাজদের কোন দলীয় পরিচয় নেই। চাঁদাবাজি বন্ধ ও চাঁদাবাজদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, কারাবন্দি ও দেশের বাইরে অবস্থান করা অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসীও ঈদকে সামনে রেখে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করছে। কারাবন্দি সন্ত্রাসীদের মধ্যে কিলার আব্বাস সবচেয়ে এগিয়ে। এ ছাড়া সুইডেন আসালম, জোসেফ, আরমান, সানজেদুল ইসলাম ইমন, ইব্রাহীম, লম্বু সেলিমও কারাবন্দি থাকা অবস্থাতেই চাঁদাবাজি করছে। দেশের বাইরে বসে মিরপুরের শাহাদত, রমনা-মতিঝিলের জিসান, বছর দুয়েক আগে মুক্তি পাওয়া বিকাশ, তানভিরুজ্জামান রনি, মশিউর রহমান কচির নামে তার অনুসারীরা চাঁদাবাজি করছে। পহেলা রমজান থেকে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে থানা পুলিশ ও র‌্যাবের কাছে চাঁদাবাজির অভিযোগে শতাধিক জিডি ও অভিযোগ জমা পড়েছে। সূত্র জানায়, ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক চাঁদাবাজির পাশাপাশি সড়ক-মহাসড়কেও চাঁদাবাজি চলছে সমানতালে। এ ক্ষেত্রে এগিয়ে সরকারদলীয় নেতাকর্মী ও বিভিন্ন সংগঠন। যদিও গত রোববার পুলিশ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক ঘোষণা দিয়েছিলেন, ঈদ উপলক্ষে সড়কে কোন ব্যক্তি, মহল ও সংগঠনকে চাঁদাবাজি করতে দেয়া হবে না। এটি ১০০ ভাগ মুক্ত রাখা হবে। হাইওয়ে পুলিশ এ চাঁদাবাজির ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক থাকবে।
সূত্র জানায়, রাজধানীসহ বিভাগীয় ও বড় জেলা শহরগুলোতে বিপণিবিতানকেন্দ্রিক চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতি মোটা অঙ্কের টাকা সংশ্লিষ্ট দাবিকৃত চাঁদাবাজ গ্রুপের কাছে পাঠিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। পরে সমস্যা হতে পারে এ কারণে গোপনে রফা করে অর্থ তুলে দেয়া হয় চাঁদাবাজদের হাতে। গত ২রা জুলাই মেট্রো হোমস লিমিটেড নামে এক ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর জ্যোৎস্নারা বেগম এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি প্রসঙ্গে র‌্যাব সদর দপ্তরে একটি অভিযোগ করেছেন। ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, পান্থপথের ৯১ নম্বর প্লটে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন তারা। সম্প্রতি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খান ইরান এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় ইরানের সন্ত্রাসী বাহিনী অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়। গত মাসের ২১ তারিখ এ বিষয়ে শেরেবাংলানগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং-১১০০) করেছেন। গত বৃহস্পতিবার রাজধানী মার্কেট এলাকা থেকে চাঁদার টাকাসহ ১০ চাঁদাবাজকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। আটককৃত ১০ জনই যুবলীগ ও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পরে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন।
গোয়েন্দা সংস্থার তালিকা অনুযায়ী রাজধানী ঢাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজরা হলো কাঁঠালবাগানের নাজিমুদ্দিন বাবু, পারভেজ, শহিদুল ইসলাম ওরফে ঢালী বাবু, রাজাবাজার-ইন্দিরা রোড ও কাজীপাড়ার সাহাবুদ্দিন বাবু, ধানমন্ডি এলাকার সানজিদুল ইসলাম ইমন, মণিপুরীপাড়ার মাহাবুব ইসলাম ওরফে শিপার ওরফে তানভীর, মনি সিং, রায়েরবাজারের আলম, মোহাম্মদপুরের শমসের মমিন ওরফে শমসের ওরফে শিমুল, নবীর হোসেন, এস এম শাফিন চৌধুরী ওরফে রাজীব, ধানমন্ডি শঙ্করের সালেক খান বাবু ওরফে নীলু বাবু, নিউ মার্কেট এলাকার সোহেল ওরফে কৃষ্ণা সোহেল, তেজগাঁওয়ের লুৎফর রহমান ওরফে এল রহমান, আশিক, হাতিরপুলের রবিন, মধুবাজারের লিটন মিয়া, অ্যালিফ্যান্ট রোডের সাকিল, আগারগাঁওয়ের মিন্টু, তেজতুরী বাজারের নবী সোলায়মান, কাজীপাড়ার কাওছার ওরফে কিলার কাওছার, শেওড়াপাড়ার মশিউর, মালিবাগের নাজিমউদ্দিন ওরফে হোন্ডা বাবু ওরফে টিএন্ডটি বাবু, মগবাজারের আরমান, শাহাজাহানপুরের লিটন ওরফে কসাই লিটন, মতিঝিলের মিজানুর রহমান টিটু ওরফে কাইল্যা টিটু, সাগর হোসেন, মীরবাগের মোল্লা মাসুদ, মগবাজারের তানভীরুজ্জামান রনি, সুব্রত বাইন, মকবুল হোসেন মুকুল, ছমির উদ্দিন, নয়াটোলার জাকির, মতিঝিল আরকে মিশন রোডের নাছির, সোহেল মিয়া, খিলগাঁওয়ের সোহেল ওরফে পিচ্চি সোহেল, সবুজবাগের মাকসুদ, পল্লবীর আলামীন, জনি ওরফে জনি সরকার, বাদল ওরফে টারজান, রুবেল, চায়না শরীফ, কামাল হোসেন ওরফে দাউদ কামাল, গলা কাটা বাবু, কাফরুলের আজগর আলী, হাবলু, মাসুদ ওরফে হাতকাটা মাসুদ, ভাষানটেকের জব্বার, শহীদ ওরফে জামাই শহীদ, কল্যাণপুরের আওলাদ হোসেন, মিরপুর বড়বাগের মাকসুদুল আলম মাসুদ, পীরেরবাগের মামুন ওরফে ভোলাইয়্যা মামুন, শাহআলীর আকতার হোসেন, পল্লবী সিরামিক রোডের আমান উল্লাহ, মোহাম্মদ আলী ওরফে পাকিস্তানি, পল্লবী কালাপানির হারিছ ওরফে বোমা হারিছ, বাউনিয়াবাঁধের জুয়েল রানা, বালুর মাঠ বস্তির মুকুল, মনসুর ওরফে তৈরব মনসুর, নূর ইসলাম, রইচ সুমন, রায়হান উদ্দিন মুকুল, বাউনিয়াবাঁধের রিপন, স্কুল ক্যাম্প এলাকার রনি, ভুলু, আদর্শনগরের তাবির, রূপনগরের ইউসুফ মাতব্বর, মিরপুর বড়বাগের মেহেদী হাসান ওরফে মাহাদী, কাফরুল মিজানুর রহমান ওরফে কসাই মিজান, মানিকদীর মিজানুর রহমান ওরফে মানিক, কালশীর মিজানুর রহমান, পল্লবীর মশিউর রহমান ওরফে মশু, ভাষানটেকের নাডু শহীদ, শেওড়াপাড়ার শাহাদত, সাইফুল, কাফরুলের শাহীন ওরফে কসাই শাহীন, ইব্রাহীমপুরের হাবিবুর রহমান ওরফে তাজ, রূপনগরের মাছুম খান ওরফে তোতলা মাছুম, ইব্রাহীমপুরের তুষার আহম্মেদ উজ্জ্বল, কালসীর মজিবুর রহমান ওরফে জামিন, মফিজুর রহমান, মনসুর ওরফে ভৈরব মনসুর, কালাপানির হারিছ, কাফরুলের লিয়াকত ওরফে লিডার লিয়াকত, দুলাল হোসেন, ওবায়েদ ওরফে মোখলেছ, রূপচান খাঁ, কাইয়ুম সরকার জহির ও দুলাল। ঢাকার বাইরে সাভারের জাভেদ, আইয়ুব আলী, ফখরুল আলম ওরফে সমর, কাইয়ুম হোসেন, আশুলিয়ার কোরবান, দুয়ারীপাড়ার রুবেল ওরফে কালা রুবেল, হেমায়েতপুরের বাবু ওরফে টাঙ্গাইল্যা বাবু, রাজশাহীর আলম, আপেল মিয়া, রয়েল, নাটোরের রয়েল, রানা, সোহেল, আমিন, মনির, সেলিম, রংপুরের আবদুল মজিদ, ওলিউর রহমান আলু, নীলফামারীর আনোয়ারুল কবির চৌধুরী, লালমনিরহাটের হুমায়ুন, দিনাজপুরের আনোয়ার হোসেন আনু ওরফে রানু, কুড়িগ্রামের ফরেশ আলী, ঠাকুরগাঁওয়ের মুন্না ওরফে মাসুদুল ইসলাম, গাইবান্ধার গোলাম সারোয়ার বিপ্লব, রিমন হোসেন, শরিফুজ্জামান পল্লব, কুষ্টিয়ার মানিক, রবিউল, হান্নান, এখলাছ, মোজাম্মেল, রোহান, সাজ্জাদ হোসেন সবুজ, রইচ, নুরুল ইসলাম বিশ্বাস, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আখেরুল ইসলাম ধনি, সুমন, সরোয়ার, সায়েম, তাসিম, নড়াইলের আবদুল্লাহ ফকির, বাগেরহাটের আবদুল্লাহ, মেহেরপুরের আবদুল্লাহ আল মামুন ওরফে বিপুল, যশোরের আবুল কাশেম ওরফে হাতকাটা কালু, লাল্টু গাজী, লাভলু ওরফে দানব লাভলু, মোজাফফর হোসেন শিমুল ওরফে হাতকাটা শিমুল, শামীম, সোবহান, সাহেব আলী, নাসিম রেজা, অসিত মণ্ডল, জয়ন্ত মণ্ডল, জিয়ারুল, সানোয়ার, শিমুল, সাজু, ঝিনাইদহের আলতাফ মেম্বার ওরফে আলতাফ, আনোয়ার হোসেন ওরফে দেবু, খবির মাস্টার, রফিকুল ইসলাম রফিক ওরফে ছোট তারেক, কুরবান আলী, আতিয়ার রহমান আতিয়ার, আয়নাল মণ্ডল ওরফে কুরবান, ফারুক মণ্ডল ওরফে ছোট ফারুক, কামরুল, রফিকুল ওরফে রাসেল, তরিকুল, শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক, চুয়াডাঙ্গার সাহেব আলী, আরিফ ওরফে মামুন, মোকাদ্দেস আলী মালিথা ওরফে মোকাম, ডালিম, আরজুল্লাহ, পিরোজপুরের বাদশা ওরফে রাঙ্গা বাদশা, মেহেরপুরের দুর্জয় রহমান ওরফে বাচ্চু, ওয়াসিম সাজ্জাদ ওরফে লিখন, মাগুড়ার রেঞ্জু, জাহাঙ্গীর আলম খাঁ, কুতুব উদ্দিন, খুলনার মাশরিকুল চৌধুরী ওরফে জয় ওরফে দিলিপ ওরফে দাদা, রাশেদুজ্জামান ওরফে বিপ্লব ফকির, সাইদুর রহমান ওরফে ট্যাংকিং শাওন, হিমাদ্রী রায় মহালদার, জাকাত আলী গাজী, আশরাফ সরদার ওরফে কুদ্দুস, ফারুক, শাহেদ শিকদার, সাতক্ষীরার জুলফিকার শেখ ওরফে ভুট্টু, শরীয়তপুরের কুরবান আলী, চট্টগ্রামের আবদুল মান্নান, মতিন, আবুল কালাম ওরফে বকুইল্যা, আলমগীর, আমির আলী, আজিজ, চন্দন বিশ্বাস, জাইল্যা বাবুল, হানিফুল হক, হাছান আহমেদ ওরফে হাছাইন্যা, ইকবাল, ইমাম শরীফ, ইসরাইল, জসিম উদ্দিন, মামুন, মামুনুর রশিদ, মোহাম্মদ আলী, মহিউদ্দিন, নিলু বড়ুয়া, নিজাম উদ্দিন, নুরুল আজিম, নূর উদ্দিন, রমজান আলী, রেজাউল করিম বাবলু, সাহাবুদ্দিন আরিফ শাহাদত আলম, শাহিনুর ওরফে শানু, সাইফুল ইসলাম রিপন, সাখাওয়াত হোসেন, শামীম, শফি ওরফে ফরহাদ, ইউছুফ শিবির, জমির উদ্দিন, জামাল উদ্দিন ওরফে জামাইল্যা, শাহাদত, ইউসুফ, ইকবাল, হেলাল আকবর, এহসানুল হক, হাতকাটা আরিফ, মাছ কাদের, খলিল, মজিব, বরিশালের মজিব, আফতাব হোসেন, রিয়াজ মাহমুদ মিল্টন, আজিজুর রহমান ওরফে শাহীন, জিয়া উদ্দিন শিকদার, নূরে আলম মুন্না, মতিউর রহমান ওরফে তমাল, আবুল বাশার সাইফুদ্দিন, জয়নাল আবেদীন, পটুয়াখালীর গোলাম মাওলা, জাহাঙ্গীর আকন, আবদুল হাই, দবির, বাপ্পি তালুকদার, আলাল মিয়া, সোহরাব হাওলাদার, আজাহারুল ইসলাম দিপু, ঝালকাঠির সাইফুল ইসলাম সরদার, মুছা খান, বরগুনার আবদুল খালেক হাওলাদার, নূর ইসলাম খলিফ, ফরিদপুরের মিজানুর রহমান, শহিদুজ্জামান ওরফে শহিদ, নাজমুল বাসার নজু, লুৎফর রহমান তালুকদার, সেলিম মিয়া ওরফে খাসি সেলিম, রাজবাড়ীর গলাকাটা বাপ্পি, নুরু মেম্বার, মাদারীপুরের ইমরান মিয়া, পুলিশ বাবুল, সিলেটের আনছার আলী, শুকুর আলী, সুনামগঞ্জের তাজুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জের সিরাজ মিয়া, অহিদ মিয়া, জালাল উদ্দিন, মামুন হোসেন, লাল মিয়া, মিঠু, আলাল উদ্দিন, হবিগঞ্জের আবদুস সালাম, আবদুল হাকিম, আতাউর রহমান সেলিম, মৌলভীবাজারের জাকির হোসেন উজ্জ্বল, মমিনুর রহমান টনি, তাজ উদ্দিন, ময়মনসিংহের আরমান ওরফে সুন্দরী আরমান, প্রতীম চন্দ্র পার্থ, সুজন, আবদুস ছালাম, রাজিউর ইসলাম রাজন, শাহাদৎ হোসেন ওরফে দুখু, মজনু মিয়া, শফিকুল ইসলাম ওরফে শিপু, ঢাকা কামরাঙ্গীরচরের মনির চেয়ারম্যান, নাদিম আহম্মেদ, ইসমাইল হোসেন ভুট্টো, লালবাগের সরোয়ার হোসেন, কালা খোকন, নবাবগঞ্জের জাকির হোসেন, বাদশা, পাভেল মিয়া ওরফে তায়েবুর রহমান, তুষার, কেরানীগঞ্জের বাদশা, শহীদ ওরফে হেদা শহীদ, বাবুল ওরফে খাসী বাবুল, আল আমিন, ইমতিয়াজ ভুইয়া অহিন, তনা ওরফে দাদাভাই, টোকাই সুমন, দোহারের মশিউর রহমান, রাসেল ব্যাপারী, শাহাবউদ্দিন ওরফে শাবু, লক্ষ্মীপুরের আবদুল হাকিম ছোট, আজাদ চৌধুরী, নূর হোসেন শামীম, সালাহ উদ্দিন টিপু, তানভীর হায়দার, নোয়াখালীর জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল মান্নান ওরফে মনা, খোরশেদ আলম ওরফে খুইশ্যা, চাঁদপুরের জাফর ইকবাল মুন্না, আকতার হোসেন, হেলাল উদ্দিন, কবির হাওলাদার, রুম্মান গাজী, সুমন বকাউল, সুমন সরকার, কুমিল্লার জালাল, স্বপন, নারায়ণগঞ্জের আসলাম মিয়া, এস এম শাহীন, তমিজউদ্দিন খন্দকার, ইউসুফ হোসেন লিটন, পাবনার আবু সাইদ, আজিজ, লগ বাবু, হীরা, মোশারফ, বাবু, নাজিম উদ্দিন, টাঙ্গাইলের আজাদ সিদ্দিকী, আবদুল লতিফ রাজু, আমানুর রহমান, শহিদুর রহমান, আলমগীর হোসেন চান, হাবিবুর রহমান শাহী, সিরাজ শিকদার, মোরশেদ আলম, জামালপুরের নজরুল ইসলাম নজু, শাহনেওয়াজ, রাখাল, বগুড়ার ইব্রাহীম পাগলা, সিপার আল বখতিয়ার, লতিফুল করিম, রাশেদ ওরফে হিরা, ওমর খৈয়ম, আমিনুল ইসলাম ওরফে শাহীন, মজনু, সিরাজগঞ্জের শরীফ আহমেদ, আনোয়ার হোসেন ও শাহীন হোসেন, মুন্সীগঞ্জের এলান, খসরু, মান্নান খান, মীর অ্যাপোলো, মমিনুল হক ওরফে টিটু, মনির হোসেন মিঠুল, রাসেল ভুঁইয়া ও শরীফ খালাসী।
র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান বলেন, ঈদকে সামনে রেখে একটি চি?হ্িনত চাঁদাবাজ গ্রুপ কিছু ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করছে। এসব অভিযোগ র‌্যাবের কাছে আসার পর তা তদন্ত করে চাঁদাবাজদের আটক করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন চাঁদাবাজকে আটক করা হয়েছে। চাঁদাবাজদের মোবাইল ফোনের কয়েকটি সিম কার্ড বন্ধও (ব্লক) করে দেয়া হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.