পুলিশের একই কথা, আসামি ধরার চেষ্টা চলছে

চলন্ত মাইক্রোবাসে আদিবাসী তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় গতকাল রোববার পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। বরাবরের মতো পুলিশ বলেছে, আসামি ধরার চেষ্টা অব্যাহত আছে। শিগগিরই গ্রেপ্তার হবে। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগও অভিযানে নেমেছে বলে জানানো হয়েছে।
ধর্ষণের শিকার আদিবাসী তরুণীটি যমুনা ফিউচার পার্কে একটি দোকানে কাজ করতেন। ২১ মে রাত নয়টার দিকে কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে একদল যুবক তরুণীটিকে তুলে নেয় ও পালাক্রমে ধর্ষণ করে। তরুণীটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকালও তাঁর বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। তাঁর স্বজন প্রথম আলোকে বলেছেন, আগের চেয়ে তাঁর শরীর এখন কিছুটা ভালো। তবে ঠিক কবে নাগাদ হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কিছু জানায়নি। সরকারের মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি)ðতরুণীটিকে চিকিৎসা ও আইনগত সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে পুলিশের গুলশান অঞ্চলের উপকমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবীর প্রথম আলোকে বলেছেন ‘ধর্ষণের শিকার মেয়েটি আমাদের জানিয়েছিলেন রবি বা সোমবার ধর্ষকদের একজন দোকানে এসেছিল। মঙ্গলবার পর্যন্ত পাওয়া ফুটেজে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবারের ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।’ পুলিশের একটি দল সার্বক্ষণিকভাবে যমুনা ফিউচার পার্কেই অবস্থান করছে বলে তিনি জানিয়েছেন। দোকানের মালিকও তাঁদের জানিয়েছেন, দুই বিদেশিকে নিয়ে সন্দেহভাজন ধর্ষক যুবক রোববার নয়, অন্য একদিন এসেছিল। তরুণীটি মামলার এজাহারে ধর্ষণকারীদের বয়স ২২ থেকে ২৮ বছর বলে উল্লেখ করেছেন।
যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে একটু দূরে তরুণীটি যখন বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন, তখন একটি ছাই রঙা মাইক্রোবাসে করে এসে দুজন যুবক তরুণীটিকে তুলে নেয়। এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তারা মেয়েটির ওপর নির্যাতন চালায়। ওই এলাকার লোকজন বলেছেন, ধর্ষণের ঘটনাটি যখন ঘটে তখন ওই এলাকায় পুলিশের কোনো টহল ছিল না।

No comments

Powered by Blogger.