সহিংসতা থেকে প্রার্থীকে রক্ষা করতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান

বাংলামটরে খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়িতে
ছাত্রলীগের অতর্কিত হামলা -নিজস্ব ছবি, মানবজমিন
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অবাধ মত প্রকাশ, প্রচারণাকালে সমাবেশের সুযোগ দিতে, প্রার্থীদের রাজনৈতিক সহিংসতা থেকে রক্ষা করতে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতার আবারও নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত একটি নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এ বিষয়ে মঙ্গলবার একটি বিবৃতি দেয়ার পর সে কথাই পুনর্ব্যক্ত করলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র মেরি হার্ফ। বিশেষ করে সোমবার ঢাকার কাওরান বাজারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানোর সময় তার ওপর হামলা হয়। এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন। বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে জাতিসংঘের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়েও। তাতে সাংবাদিকরা জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিকের কাছে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা তুলে ধরেন। তারা জানতে চান বাংলাদেশের এ উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টায় জাতিসংঘের আদৌ কোন ভূমিকা আছে কিনা। জবাবে ডুজাররিক বলেন, তিনি এ বিষয়টি নজরে রাখবেন। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ফের উঠে আসে বাংলাদেশ। ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র মেরি হার্ফের কাছে বাংলাদেশ বিষয়ে কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়। নিচে তা প্রশ্নোত্তর আকারে তুলে ধরা হলো:
প্রশ্ন: বাংলাদেশ ইস্যুতে আমার একটি প্রশ্ন আছে। আমি কি প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করতে পারি?
উত্তর: ঠিক আছে। প্রশ্ন করুন।
প্রশ্ন: আপনি কি বাংলাদেশে সহিংসতা সংক্রান্ত রিপোর্টগুলো দেখেছেন?
উত্তর: দেখেছি।
প্রশ্ন: বিরোধীদলীয় নেত্রীর ওপর হামলার বিষয়?
উত্তর: আমার মনে হয়, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এ ব্যাপারে একটি বিবৃতি দিয়েছে। তবে আমি আপনার জন্য তার মূল অংশটুকু তুলে ধরতে পারি: ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাই আমরা। এ বিষয়টি নিয়েই সুনির্দিষ্ট ওই বিবৃতিটি দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থের জন্য সহিংসতার ব্যবহারকে আমরা তীব্র ভাষায় নিন্দা জানাই। নির্বাচন যাতে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অহিংস হয়, তা নিশ্চিতে আমরা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনেরও আহ্বান জানিয়েছি। আমরা নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালীন মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও নির্বাচনী সভা-সমাবেশে বাধা সৃষ্টি না করতে, প্রার্থীদের রাজনৈতিক সহিংসতা থেকে সুরক্ষা দিতে এবং যারা আইন লঙ্ঘন করবে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়ারও আহ্বান জানিয়েছি।
প্রশ্ন: আপনি কি মনে করেন, বর্তমান সরকার সংবেদনহীন কিংবা বিরোধীদলীয় নেত্রীকে সুরক্ষা দিতে পারছে না?
উত্তর: আমি মনে করি, এ ব্যাপারে আমাদের যা বলার আছে, তা আমি এরই মধ্যে বলেছি। আপনার জন্য আমার কাছে এর চেয়ে বেশি কোন তথ্য নেই।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ বিষয়ে আমার আরেকটি প্রশ্ন আছে।
উত্তর: হ্যাঁ, বলুন।
প্রশ্ন: সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ দীর্ঘ সময় নিখোঁজ। তার ব্যাপারে আপনার কাছে নতুন কোন তথ্য আছে কি?
উত্তর: আপনার জন্য আমার কাছে যোগ করার মতো আর কোন তথ্য নেই।

No comments

Powered by Blogger.