৩০০ মামলা আসামি ৬০০০০ গ্রেপ্তার ৭০০০ by কাফি কামাল

মামলার জালে আটকা ২০ দলের রাজনীতি। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কোন নেতাকর্মীই বাদ নেই। মামলার বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছেন তারা। এরই মধ্যে কোন কোন নেতার মামলায় হয়েছে সেঞ্চুরি। বছর জুড়ে শীর্ষ থেকে মাঝারি সারির বেশির ভাগ নেতা সপ্তাহের পুরো সময়ই কাটিয়েছে আদালতের আঙ্গিনায়। একেকদিন ৮ থেকে ১০টি মামলার হাজিরাও দিতে হয়েছে কোন কোন নেতাকে। ৫ই জানুয়ারি ঢাকায় সমাবেশ ও সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিএনপিসহ ২০দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের ঘাড়ে নতুন করে চেপে বসেছে মামলার জোয়াল। প্রতিদিনই দায়ের হচ্ছে নতুন নতুন মামলা। চলতি বছরের ১ থেকে ১৬ই জানুয়ারি পর্যন্ত হামলা-ভাঙচুর, নৈরাজ্য-অগ্নিসংযোগ, সংঘর্ষ ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়াসহ নানা অভিযোগে সারা দেশে দায়ের হয়েছে অন্তত ৩০০ মামলা। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ৬০ হাজারের বেশি নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষকে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অন্তত ৭০০০ নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ। দৈনিক মানবজমিনের প্রতিনিধি ও জেলা বিএনপি নেতাদের দেয়া তথ্যে বিশ্লেষণ করে এমন পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে। তবে বিরোধী জোটের দাবি- ৪০০’র বেশি মামলায় অন্তত লক্ষাধিক আসামি ও নেতাকর্মীসহ ১০ হাজার সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রতিটি মামলায় কিছু নাম উল্লেখ করা হলেও বেশির ভাগ রাখা হয় অজ্ঞাতনামা। ফলে প্রতিনিয়ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে ২০দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের সামনে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায়ের লক্ষ্য, পেছনে মামলা ও গ্রেপ্তারের ভয়। এসময় ভয় আর গ্রেপ্তার আতঙ্ক নিয়েই আন্দোলনের মাঠে রয়েছেন বিরোধী নেতাকর্মীরা। বিএনপি নেতা ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, ৫ই জানুয়ারির ‘গণতন্ত্র হত্যা’ দিবসের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গণহারে মামলা ও গণগ্রেপ্তার চালিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জসহ বিশেষ কিছু জেলায় প্রতিদিনই চালানো হয়েছে যৌথবাহিনীর অভিযান। বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা জানান, ১ থেকে ১৬ই জানুয়ারির মধ্যে দু’দফায় মামলা করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ৬ই জানুয়ারি পর্যন্ত অতিরিক্ত মামলা দায়ের এবং এসব মামলায় বিপুল সংখ্যক আসামি করা হয়েছে। বেশির ভাগ মামলায় ১০ থেকে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হলেও বাকিদের দেখানো হচ্ছে অজ্ঞাতনামা হিসেবে।
চলতি বছরের ১-১৬ই জানুয়ারি বিএনপিসহ জোটের কেন্দ্র থেকে উপজেলা পর্যায়ের অন্তত ৫০০ গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা জানান, বিশেষ করে যশোর, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, খুলনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, রাজশাহী, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা, রংপুর, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজার, চাঁদপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে মামলা ও গ্রেপ্তারের হার সবচেয়ে বেশি। গ্রেপ্তারকৃতদের নতুন মামলার পাশাপাশি পুরনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে। এর মধ্যে কিছু জেলার মামলা-মোকদ্দমার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও বেশির ভাগই গণমাধ্যমে আসছে না।  বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, প্রতিদিনই নতুন নতুন মামলা হচ্ছে। ঢাকাসহ দেশের এমন কোন জেলা, উপজেলা নেই যেখানে প্রতিনিয়ত মামলা হচ্ছে না। যার বেশির ভাগই গণমাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে না। রাজধানীতে ৫ই জানুয়ারির আগে পরে গত দুই সপ্তাহে আমার বিরুদ্ধে ৮টি মামলা হয়েছে। তিনি বলেন, হিসেব করে মামলা ও আসামির সংখ্যা বলা কঠিন। এ নিয়ে দলের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তরা কাজ করছেন। তবে ১ থেকে ১৬ই জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে অন্তত কয়েকশ’ মামলা দায়ের ও এসব মামলায় লক্ষাধিক বিএনপিসহ জোটের নেতাকর্মী-সমর্থকদের আসামি করা হয়েছে। যাদের ৯০ ভাগই অজ্ঞাতনামা।
মামলা ও আসামির সংখ্যা: ১-৬ই জানুয়ারি ৬ দিনে সারা দেশে দায়ের করা হয় অন্তত ১৫০টির মতো মামলা। এসব মামলায় আসামি করা হয় ৩৫ হাজারের বেশি। যার মধ্যে হাজার খানেক বিএনপি নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হলেও বাকিরা সবাই অজ্ঞাতনামা। এই ৬ দিনে সারা দেশে গ্রেপ্তার করা হয় ২০ দলের নেতাকর্মীসহ প্রায় ৩০০০ জনকে। ২০১৫ সালের ৩-৬ই জানুয়ারি তিনদিনের রাজধানীতে ৪টি মামলা শাহবাগ ও পল্টন থানায় ৫০০ জন, চট্টগ্রাম ২ মামলায় ৭০০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৭ মামলায় আসামি করা হয় ৩০০০ জনকে। ময়মনসিংহে ২ মামলায় ৮০০ জনকে আসামি করা হয়। রাজশাহীতে ৪ মামলায় ১৫০০০, সিলেটে ৪ মামলায় ৩৯০, চাঁদপুরে ১১ মামলায় ২৩০০, নারায়ণগঞ্জে ১১ মামলায় ১৮৫০, দিনাজপুরে ২ মামলায় ৫৮০, মৌলভীবাজারে ২ মামলায় ১০০০, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ ও বাহুবলে ৩ মামলায় ৫৫০, ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ১ মামলায় ৩৫০, পাবনায় ১ মামলায় ২৫০, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬ মামলায় ৩৬০, খাগড়াছড়িতে ২ মামলায় ২৫০, সুনামগঞ্জে ২ মামলায় ৬৬৮, সিরাজগঞ্জে ২ মামলায় ২৫৫, কুষ্টিয়ায় ১ মামলায় ৯০, নোয়াখালীতে ১ মামলায় ৮৯, খুলনায় ২ মামলায় ৭৫, লক্ষ্মীপুরে ৩ মামলায় ৬৫০, যশোরে ১ মামলায় ২৭, ফেনীতে ১ মামলায় ১৮৮, মুন্সীগঞ্জে ১ মামলায় ৬০, নাটোরে ২ মামলায় ৫০০,  ভোলায় ১ মামলায় ৩০০ জনসহ অন্তত ৩০ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে রাজশাহীর পুঠিয়ায় ২ মামলায় ৭ হাজার করে ৩ মামলায় ১৪০০০ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। অন্যদিকে ৭ই জানুয়ারি থেকে ১৬ই জানুয়ারি পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়ে সারা দেশে প্রায় ১০০টি মামলা দায়ের করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ১ মামলায় ৩৫০০, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪ মামলায় ৩৫০০, কুমিল্লায় ১ মামলায় ১৭০, রাজশাহীতে ১ মামলায় ১০০, সাভারে ২ মামলায় ৬৫, সিলেট ও সুনামগঞ্জে ১২ মামলায় আসামি ২০০, গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ১ মামলায় ২০০, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ১ মামলায় ১১০, খুলনায় ১ মামলায় ৬০, ময়মনসিংহের ত্রিশালে ১ মামলায় ২০০, রংপুরে বিএনপির ৬৯, বগুড়ার ধুনটে ১ মামলায় ৩০০, সিরাজগঞ্জের ৪ মামলায় ৫৫০, মুন্সীগঞ্জে ১ মামলায় ৬০, জুড়ীতে ১ মামলায় ৫০, কুমিল্লায় ৪ মামলায় ২৫০, ফেনীতে ১ মামলায় ১৫০, নড়াইল ১ মামলায় ১৬, সিলেটে ২ মামলায় ১৫০, ঢাকায় ২ মামলায় ১৫০, নারায়ণগঞ্জে ১ মামলায় ৫০, কুলিয়ারচরে ১ মামলায় ২২, ও বরিশালে ১ মামলায় ৫০ জনসহ এসব মামলায় বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীসহ ১৫ হাজারের বেশি লোককে আসামি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের সংখ্যা: প্রথম পর্যায়ে চট্টগ্রামে ৩০০, সাতক্ষীরায় ২০৪, ফেনীতে ৪৫০, সুনামগঞ্জে ৩৪৫, যশোরে ২০৮, বগুড়ায় ১৬২, ঢাকা ১৭০, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৯৩, পাবনা ১০০, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৮০, কক্সবাজার ৮৫, খুলনা ৭০ জনসহ সারা দেশে ৩০০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। যাদের মধ্যে রয়েছেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন আসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এনামুল হক, গাইবান্ধার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাউসুল আজম ডলার, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ূব, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও গৌরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আহম্মেদ তায়েবুর রহমান হিরণ প্রমুখ। দ্বিতীয় পর্যায়ে যশোরে ৩৫৫, সাতক্ষীরায় ৩৭৫, খুলনায় ১৪৫, নড়াইলে ১১০, কুষ্টিয়ায় ২৯,  মেহেরপুরে ৩০, ঝিনাইদহে ২৫, বাগেরহাটে ২৪, মাগুরা ৫, রাজশাহীতে ১৫৫, রংপুরে ১১০, বগুড়া ১০৪, গাইবান্ধায় ১১০, দিনাজপুরে ৪৫, পাবনায় ৩৩,  সিরাজগঞ্জে ৫৫, পঞ্চগড়ে ৩১, ঠাকুরগাঁওয়ে ১৫, লালমনিরহাটে ১৭, সৈয়দপুরে ১৯, মৌলভীবাজারে ১১০, সিলেটে ৫৫, সুনামগঞ্জে ৪০, হবিগঞ্জে ৩৯, কুমিল্লায় ৭৫, নোয়াখালীতে ২১০, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩১, চাঁদপুরে ৫০, লক্ষ্মীপুরে ৮৫, চট্টগ্রাম ৫৫, কক্সবাজারে ৫০, ফেনীতে ৩৫, মানিকগঞ্জে ১৫, শেরপুরে ১৫, গাজীপুরে ২২, নেত্রকোনায় ১১, নারায়ণগঞ্জ ১৪ ও বরিশালে ১৬ জনসহ সারা দেশে প্রায় ৩৫০০ হাজার নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ১লা জানুয়ারি থেকে এ সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। যাদের মধ্যে রয়েছেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব ও নোয়াখালী জেলা বিএনপি সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান, ২০ দলীয় জোটের শরিক দল জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, নির্বাহী কমিটির সদস্য বেলাল আহমেদ, সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব বদরুজ্জামান সেলিম, সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, রাজশাহী শহর বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলাম, ভোলা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফারুক মিয়া, জামায়াতের রমনা থানার আমির ড. রেজাউল করিম, হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ আবুল কাশেম, খাগড়াছড়ি জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর  লোকমান হোসেন, নেত্রকোনার মদন উপজেলা বিএনপির সম্পাদক মজিবুর রহমান চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জে দুই কাউন্সিলর, সিলেট মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা সোহেল আহমদ, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি যুব বিষয়ক সম্পাদক মেজবাউর রহমান, রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানা যুবদলের সভাপতি শাহানুর রহমান মিঠু, পাবনা জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবদুর রহিম, পৌর আমির মাওলানা আবদুল লতিফ ও সাবেক পৌর আমির অধ্যক্ষ মাওলানা ইকবাল হুসাইন, সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সভাপতি নাজমুল ইসলাম পুতুল, নারায়ণগঞ্জ নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আহমেদ, যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান, জয়পুরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান, সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এখলাছুর রহমান মুন্না, নোয়াখালী পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ চৌধুরী চয়ন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুজ্জামান বদরুল, খুলনা দক্ষিণ জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আইয়ুব আলী মোল্লা, মাগুরা জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক ওয়াশিকুর রহমান কল্লোল ও ছাত্রদলের সভাপতি কবির হোসেন, নড়াইল পৌরসভার মেয়র ও নড়াইল জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জুলফিকার আলী মন্ডল, ফেনী জেলা জামায়াত আমির একেএম সামসুদ্দিন, ঝিনাইদহ জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আবু বক্কার ও পৌর শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আলী কাজল, নোয়াখালীতে শহর শ্রমিকদলের সভাপতি ওমর ফারুক, সিলেটের  গোলাপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান, বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মেহেদী হাসান হিমুসহ ২০ দলের কেন্দ্র থেকে উপজেলা পর্যায়ের অন্তত ৫০০ গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া চলমান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

No comments

Powered by Blogger.