বেলজিয়ামে জঙ্গিবিরোধী অভিযান

বেলজিয়ামের কর্তৃপক্ষ সিরিয়া থেকে ফেরত আসা ইসলামী যোদ্ধাদের ধরতে বড় ধরনের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালিয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ১০টি ‘চিরুনি তল্লাশি’ চালানো হয়। পূর্বাঞ্চলীয় একটি শহরে অভিযানের সময় সন্দেহভাজন দু’জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। শহরের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে বলে শহরটির মেয়র জানিয়েছেন। সন্দেহভাজন এই যোদ্ধারা যে কোনো মুহূর্তে পুলিশ স্টেশনে কিংবা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালাতে পারে এমন আশংকায় এই অভিযান চালানো হয়। পুলিশের দাবি, যে দু’জন নিহত হয়েছে তারা পুলিশের দিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করেছিল। তারপর পুলিশও শুরু করে পাল্টা গুলি। আরও ১৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, উভয়পক্ষে বেশ কয়েক মিনিট ধরে গুলি বিনিময়ের পর মারা যায় সিরিয়া ফেরত সেই দুই ব্যক্তি। প্রসিকিউটর এরিক ফন ডে সিপ্ট বলেছেন, ব্রাসেলসেও সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে এবং সেখানেও বেশ কিছু গ্রেফতারের ঘটনা ঘটতে পারে।
সন্ত্রাসী হামলার আশংকায় দেশটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়। গত সপ্তাহে প্যারিসে যে হামলা হয়েছিল সেখানে ব্যবহৃত কিছু অস্ত্র ব্রাসেলস থেকে কেনা হয়েছে বলে খবরে জানাচ্ছিল বিভিন্ন গণমাধ্যম। কিন্তু প্রসিকিউটর ফন ডে সিপ্ট এই খবরকে নাকচ করে দিয়েছেন। জিহাদিদের বিরুদ্ধে কয়েক দফা অভিযানের পর নিরাপত্তা সতর্কতা ৩ মাত্রায় বাড়িয়েছে বেলজিয়াম। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী নামানো হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী চার্লস মাইকেল। জিহাদি হুমকি বিশ্লেষণকারী বেলজিয়ান সরকারি সংস্থা ওসিএএম সতর্কতার এ মাত্রা নির্ধারণ করেছে। রাজধানী ব্রাসেলসসহ পূর্বাঞ্চলীয় দুটো শহরে বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি অভিযানে দু’জন নিহত হওয়ার পর এ পদক্ষেপ নিল দেশটি। সন্দেহভাজন একটি জিহাদি গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে এ অভিযান চলে। রাস্তায় এবং পুলিশ স্টেশনে পুলিশ হত্যাই ওই জিহাদি গোষ্ঠীর লক্ষ্য ছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি। বেলজিয়ামের কৌঁসুলিরা বলছেন, এ হামলা খুবই আসন্ন ছিল। অভিযানে নিহত দু’জনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে বলে জানান তারা। ব্রাসেলসে রাতভর তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১৩ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়াও, অভিযানে অস্ত্র, গোলাবারুদ, বিস্ফোরক, পুলিশ ইউনিফর্ম, বিপুল অংকের অর্থও জব্দ করেছে পুলিশ।

No comments

Powered by Blogger.