বাংলাদেশে নতুন নির্বাচনের আহ্বান স্টুয়ার্ট স্টিভেন্সের

বাংলাদেশে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংবিধানে পুনরায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বৃটেনে আইন-জীবীদের স্বনামখ্যাত প্রতিষ্ঠান হলবর্ণ চেম্বারের প্রধান ব্যারিস্টার স্টুয়ার্ট স্টিভেন্স। তিনি বলেছেন, ২০১৩ সালের ৫ই জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৪টি আসনে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় ওইসব আসনে আওয়ামী লীগ নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিদের এমপি নির্বাচিত ঘোষণা করে। বাকি  আসনগুলোতে নির্বাচনী নাটক করলেও কমপক্ষে ৪০টি কেন্দ্রে একজন প্রার্থীও ভোটকেন্দ্রে যায়নি। ওই একচেটিয়া নির্বাচনের কারণে বিদেশী কোন রাষ্ট্র নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলও পাঠায়নি। যে কোন উপায়ে ক্ষমতা দখলে রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধান থেকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পদ্ধতি পর্যন্ত বাতিল করে দেয়। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বাংলাদেশের  গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য সকল দলের অংশগ্রহণে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ও আন্তর্জাতিক পরিদর্শকের উপস্থিতিতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানান।  শুক্রবার রাতে হলবর্ণ চেম্বারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার আলেক্সান্ডার গালাগার, ব্যারিস্টার ডেভিড হেইউড, ব্যারিস্টার ইয়ান ম্যাকগাভিন, ব্যারিস্টার ক্রিস্টাল ম্যাককেন, ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান, ড. মুজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ব্যারিস্টার স্টুয়ার্ট স্টিভেন্স বলেন, আমরা জানি বৃটেন সরকার এখনও বাংলাদেশে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি বিরোধী দলবিহীন এবং ভোটারবিহীন অবৈধ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি। এখন আমাদের জানার অধিকার রয়েছে, বৃটেন সরকার বাংলাদেশের জনগণের অধিকার রক্ষায় কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না জেনেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে দেশের প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ বিরোধীদলীয় জোট ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করে। ওইদিনটিকে “গণতন্ত্র হত্যা ও কালোদিবস’’ হিসেবে ঘোষণা করে বিরোধী দলগুলো।  চলতি বছর দিনটি পালন করার জন্য বিএনপি রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে গেলে তাকে দলীয় কার্যালয়ে বন্দি করে রাখা হয়। দেশের একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দল, যে দলটি একাধিকবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে তারা যদি  দেশে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে না পারে এমন পরিস্থিতিতে কমনওয়েলথভুক্ত রাষ্ট্র হিসেবে বৃটেনের হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।

No comments

Powered by Blogger.