মেট্রোরেল চালু করতে সংসদে বিল পাস

রাজধানীতে মেট্রোরেল চালু করতে সংসদে পাস করা হয়েছে ‘মেট্রোরেল আইন-২০১৫’। সোমবার বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পরে কন্ঠভোটে বিলটি পাস হয়। বিলের উপর বিরোধী দলীয় সদস্য এম এ হান্নান এবং স্বতন্ত্র সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী ও হাজী মো. সেলিম জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব উত্থাপন করলেও তা কন্ঠভোটে নাকচ হয়। এর আগে গত ৩০ নভেম্বর জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলটি পাসের আগে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সংসদে বলেন, ঢাকা শহরের যানজট নিরসন এবং জনসাধারণকে দ্রুত ও উন্নত গণপরিবহন সেবা দেয়ার লক্ষ্যে মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ প্রথম মেট্রোরেল চালু হবে। তাই মেট্রোরেল নির্মাণ, পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সুনির্দ্দিষ্ট আইনের প্রয়োজন। সেজন্য এই বিলটি আনা হয়েছে। তিনি বলেন, এই আইনের আওতায় রাজধানীর উত্তরা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত রেল লাইন স্থাপন করা হবে। প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চালু করা এই মেট্রোরেল ঘন্টায় ৬০ হাজার যাত্রী বহন করতে পারবে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত  মেট্রোরেলের সময় লাগবে ২৮ মিনিট। আর স্ট্রেশন থাকবে ১৬টি। মন্ত্রী জানান, প্রকল্পটি প্রথমে ২০২৪ সালেল চালুর কথা থাকরেও শেষ পর্যন্ত তা ৫ বছর কমিয়ে আনা হয়। এ হিসেবে ২০১৯ সালে শেষ হবে মেট্রোরেলের কাজ। সংসদে উত্থাপিত বিলে মেট্রোরেলের ভাড়া নির্ধারণের জন্য একটি উপ-কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে। লাইসেন্স ছাড়া মেট্রোরেল পরিচালনা ও অনুমোদন ছাড়া মালিকানা হস্তান্তর নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর সরকারী বেসরকারী অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এই রেল স্থাপন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের সুযোগ রাখা হয়েছে। মেট্রোরেলে চলাচলকারী সকলের বীমা থাকবে। কোন দুর্ঘটনা ঘটলে যাত্রীরা উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন। বিলে এই রেল চলাচলে বাধা সৃষ্টি, বিনা টিকেটে ভ্রমণ এবং নিরাপত্তা বিঘিœত করলে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। সর্বোচ্চ শাস্তির মধ্যে রয়েছে ১০ বছর কারাদ- ও এক কোটি টাকা জরিমানা। বিলে মেট্রোরেলের যাত্রীদের জন্য বীমার বিধান রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া মেট্রোরেলের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ আইনের বিধান অনুযায়ী ভূমি অধিগ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.