১৫০০ বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীর তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে

প্রায় দেড় হাজার বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীর তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে দেশের এক শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা। রিপোর্টে নেতাকর্মীদের মধ্যে কে কিভাবে কোন পয়েন্টে তাদের দৃষ্টিতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রয়েছে তার বর্ণনা দেয়া হয়েছে। দেশের ৬৪ জেলা ও উপজেলাওয়ারি পাঠানো তালিকা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে পুলিশের আইজি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব, এনটিএমসি/বিআরসি এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠির সঙ্গে ২১৬ পাতার ওই গোয়েন্দা রিপোর্ট জুড়ে দেয়া হয়েছে। এতে আটটি সুপারিশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, রিপোর্টে উল্লিখিত ব্যক্তিদের সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্কতা অবলম্বন করবে। পাশাপাশি তাদের চলাফেরার ওপর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াবে। প্রয়োজন পড়লে মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের পাকড়াও করা যেতে পারে।  রিপোর্টটিতে রেলওয়ে ফিশপ্লেট খুলে ফেলা, রেললাইন কেটে ফেলা, রেললাইনে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধের চেষ্টাসহ নাশকতার কয়েকটি পয়েন্টের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে রেলের জিআরপি ও নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে। গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, অবরোধ চলাকালে মিডিয়া যাতে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচার করতে না পারে ওই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। গোয়েন্দা রিপোর্টটি সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের আদ্যোপান্ত বর্ণনার পাশাপাশি তাদের কর্মকাণ্ড মনিটরিং করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আশা করা যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজের ক্ষেত্রে রিপোর্টটি কাজে লাগবে। এদিকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) এবং মেশিন রিডেবল ভিসা (এমআরভি)-এর ডাটাবেজ থেকে ডাটাসেট ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে র‌্যাব। র‌্যাবের পরিচালক (কমিউনিকেশন অ্যান্ড এমআইএস) এম সাহেদ করিম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন অপরাধীদের শনাক্ত করা, ফৌজদারি মামলা এবং বেওয়ারিশ লাশ তদন্তের প্রয়োজনে র‌্যাবের বর্তমান ক্রিমিনাল ডাটাবেজে বিদ্যমান অপরাধীদের এবং আটককৃত অপরাধীদের তথ্য উপাত্তগুলো এমআরপি এবং এমআরভি’র ডাটাবেজের সঙ্গে ম্যাচ করানোর মাধ্যমে অপরাধীদের তথ্যের সঠিকতা যাচাই করা অতীব জরুরি। এ কারণে এমআরপি এবং এমআরভি’র ডাটাবেজ থেকে ডাটাসেট ব্যবহারের ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, র‌্যাবের চিঠির ভিত্তিতে এখনও সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

No comments

Powered by Blogger.