মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট ঢাকায়

দায়িত্ব নিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন নয়া মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট। গতকাল বেলা ৩টা ২৫ মিনিটে তিনি বাংলাদেশে পৌঁছেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, থাই এয়ারওয়েজের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছেন তিনি। ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়ের কিছু বিলম্বে পৌঁছে। বিমানবন্দরে আগে থেকে অপেক্ষমাণ দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স ডেভিড মিলসহ মার্কিন কূটনীতিকরা তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। পররাষ্ট্র দপ্তরের আমেরিকাস অনুবিভাগের মহাপরিচালক মাহফুজুর রহমানসহ পররাষ্ট্র দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ ১-এ সরকারি প্রতিনিধি ও দূতাবাস কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বিনিময় করেন নতুন দূত। সেখানে উপস্থিত একাধিক কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়ে উচ্ছ্বসিত মার্সিয়া ব্লুম বার্নিকাট ঢাকায় নেমেই তার আনন্দ-উত্তেজনার কথা জানিয়েছেন। এখানে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পাওয়ায় তিনি ‘অত্যন্ত আনন্দিত’ বলেও জানিয়েছেন। বাংলাদেশে বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন বার্নিকাট। এখানে যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চদশ রাষ্ট্রদূত হিসেবে শিগগিরই প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করবেন তিনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, এরই মধ্যে তার পরিচয়পত্র পেশের সম্ভাব্য সময়ক্ষণ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পদে গত ২২শে মে বার্নিকাটকে মনোনীত করেন। এরপর মনোনীত ব্যক্তি মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির শুনানিতে অংশ নেন। শুনানি শেষে ওই কূটনীতিকের নিয়োগ চূড়ান্ত হয়। ১৮ই নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র সময় রাত ৮টা ২১ মিনিটের কিছু আগে কণ্ঠভোটে মার্কিন সিনেটে আরও চার জন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বার্নিকাটের প্রস্তাবটিও চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়।
উল্লেখ্য, জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর মার্সিয়া একজন পেশাদার কূটনীতিক। হোয়াইট হাউস গত বছরের ২২শে মে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, মার্সিয়া বার্নিকাট বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়নের আগ পর্যন্ত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-সহকারী মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সেনেগাল ও গিনি বিসাউতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছিলেন। এর আগে ২০০৬ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক অধিদপ্তরে ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ এবং ভুটান বিষয়ক পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবসম্পদ বিভাগে জ্যেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মার্কিন সিনেটে ১৮ই নভেম্বরে তার নিয়োগ প্রস্তাবটি কনফারমেশনের জন্য ‘এক্সিকিউটিভ ক্যালেন্ডার ৯৫৪ হিসেবে আসে’।

No comments

Powered by Blogger.