পিস্তলধারী ছাত্রলীগ নেতা জানে না পুলিশ

বকশীবাজারে বিএনপি-ছাত্রদলের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে শাহবাগ ও চকবাজার থানায় দু’টি মামলা হলেও অস্ত্রধারী যুবকের বিরুদ্ধে এখনও কোন মামলা হয়নি। ওই যুবকের ছবি বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর তার পরিচয় সম্পর্কেও নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির নেতা সে। তবে ঘটনার একদিন পর চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি। কোন ব্যবস্থাও নেয়া হয়নি। বুধবার বকশীবাজারে বিএনপির অবস্থানের ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এ সময় অস্ত্র হাতে একজনকে গুলি করতে দেখা যায়। পত্রিকায় প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ফয়েজুল ইসলাম ফয়েজ বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছে। ফয়েজ ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিল। ২০১৩ সালে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি পল্লব ও সাধারণ সম্পাদক সুইমের পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হয়। এতে ফারুক নামে এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারায়। এরপর কেন্দ্রীয় কমিটি কলেজ ছাত্রলীগের ওই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে। ফয়েজ কলেজের বহিষ্কৃত সভাপতি পল্লবের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। মাস্টার্স পড়ুয়া ছাত্রলীগের এ ক্যাডারের বাড়ি নোয়াখালীতে। থাকে কলেজের সাউথ হলে। সূত্র জানায়, ফয়েজ বহিষ্কৃত সভাপতি পল্লবের হয়ে বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করে। কলেজের আশপাশে ফুটপাতের দোকান থেকে শুরু করে নিউ মার্কেট, নূরজাহান মার্কেট, চাঁদনী চক মার্কেট, গ্লোব মার্কেটসহ বিভিন্ন শপিং মলে নির্ধারিত মাসোহারা পল্লবের নামে আদায় করে। বকশীবাজারের সংঘর্ষে শাহবাগ ও চকবাজার থানায় দু’টি মামলা হলেও বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত অস্ত্রধারী ফয়েজের বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি।
এ বিষয়ে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন অস্ত্রধারী? পত্রিকায় প্রকাশিত ছবির কথা উল্লেখ করলে তিনি বলেন, না এখনও কোন মামলা হয় নি। কোনপক্ষের ছিল তা-ও শনাক্ত করা যায়নি। তবে ওই অস্ত্রধারীকে খোঁজা হচ্ছে বলে। এ ছাড়া বকশীবাজারের সংঘর্ষে পত্রিকায় প্রকাশিত ওই ছবির বামপাশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান পিকুল, পেছনে জহুরুল হক হলের সভাপতি রিফাত জামানকে দেখা গেছে।

No comments

Powered by Blogger.