‘আলহাজ কমরেড’

হজ পালন শেষে দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছেন এদেশে বাম আন্দোলনের শীর্ষ পর্যায়ের দুই নেতা রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনু। তাদের হজ পালন নিয়ে মন্ত্রিসভার কয়েক জন সদস্য গতকাল নিজেদের মধ্যে সরস আলোচনা করেছেন। যদিও সৌদি আরবে থাকায় এ দিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন এই দুই মন্ত্রী। একজন সিনিয়র মন্ত্রী জানান, দুই বাম দলের সভাপতির হজ পালন নিয়ে আলোচনা উঠলেও হজ নিয়ে মন্তব্যের জন্য অপসারিত আরেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি। নিজেদের মধ্যে আলোচনায় দুই বাম নেতার হজ পালন নিয়ে একজন মন্ত্রী বলেন, দেশে ফিরলে এদেরকে একই সঙ্গে আলহাজ ও কমরেড বলে ডাকা হবে। অর্থাৎ নামের আগে আলহাজ কমরেড ডাকা যেতে পারে। এ সময় কয়েক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হেসে উঠে ওই মন্ত্রীর বক্তব্য সমর্থন করেন। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু হজ পালনের পর এখনও সৌদি আরব রয়েছেন। আগামী ১৫ই অক্টোবর তাদের ফেরার কথা রয়েছে। মেনন নেতৃত্বাধীন ওয়ার্কার্স পার্টি এবং ইনু নেতৃত্বাধীন জাসদ আওয়ামী লীগ  নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের অন্যতম শরিক। ইনু শেখ হাসিনার গত সরকারের শেষ দিকে তথ্যমন্ত্রী হয়ে এবারও একই দায়িত্ব পেয়েছেন। মেনন তখন দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে মন্ত্রিত্ব নিতে না পারলেও নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রী ছিলেন। ৫ই জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর নতুন সরকারে বিমানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। একজন মন্ত্রী জানান, বৈঠকে লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে টু-শব্দও হয়নি। প্রধানমন্ত্রীও এ নিয়ে কোন কথা বলেননি। সবার চেহারা দেখে আমার মনে হয়েছে, লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে কারও আফসোস বা মন খারাপও নেই।
যুক্তরাষ্ট্রকে চিঠি দেবেন মন্ত্রী-এমপিরা: বঙ্গবন্ধুর একজন খুনি যুক্তরাষ্ট্রে এবং আরেকজন কানাডায় অবস্থান করছেন বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মন্ত্রিসভার বৈঠকে জানান। তবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কোন আসামি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন তা আইনমন্ত্রী বলেন নি বলে বৈঠকে যোগ দেয়া এক মন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের পর একজন মন্ত্রী এ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মার্কিন সিনেটররা হুটহাট চিঠি দেয়, বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ফেরত চেয়ে এখন আমরাও তাদের চিঠি পাঠাবো। কয়েকজন মন্ত্রী ওই কথায় সায় জানান। তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী এ সংক্রান্ত চিঠির একটি ড্রাফট করবেন। পরে অন্য মন্ত্রী-এমপিরা ওই চিঠির আলোকে আলাদা আলাদা চিঠি যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাবেন। যুক্তরাষ্ট্রের মাত্র আট শতাংশ কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন থাকার বিষয়টি নিয়েও মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়েছে বলে জানান ওই মন্ত্রী। এছাড়া, জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল নিয়েও মন্ত্রীদের মধ্যে আলোচনা হয়।

No comments

Powered by Blogger.