ড. পিয়াস করিমের ইন্তিকাল -সাহসী কণ্ঠস্বরের বিদায়

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে ছুটে এসেছিলেন প্রিয় মাতৃভূমির টানে। দেশের সম্পদ রক্ষার আন্দোলনে ছিলেন অগ্রণী। এক পর্যায়ে ঝড় তোলেন টক শোতে। তার সাহসী কণ্ঠ সোচ্চার ছিল সব অন্যায় আর অনিয়মের বিরুদ্ধে। ক্ষমতাবানদের স্বভাবতই তা পছন্দ হয়নি। তবুও তিনি ছিলেন অটল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত থেমে গেছে সে কণ্ঠ। সমাজবিজ্ঞানী, জনপ্রিয় টক শো আলোচক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. পিয়াস করিম আর নেই। সোমবার ভোরে তিনি ইন্তিকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। ৫৬ বছর বয়সী ড. পিয়াস করিম শেষ রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা জানান, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই জনবুদ্ধিজীবীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে তার লাশ স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। গত শুক্রবার নিউ ইয়র্ক থেকে দেশে ফেরেন পিয়াস করিম। তারপর থেকেই অসুস্থ বোধ করছিলেন। পিয়াস করিমের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তার তিন বোন আমেরিকা, কানাডা ও ভারতে থাকেন। বুধবার দেশে এলে তাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পিয়াস করিমের দাফনের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ওই দিন সকাল ১১টায় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়ার কথা রয়েছে। ওই দিনই বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদে বাদ জোহর মরহুমের জানাজা হবে। ওদিকে, পিয়াস করিমের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনতে না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ। ছাত্রলীগ, ছাত্রমৈত্রী, জাসদ ছাত্রলীগসহ সাতটি ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত এ পরিষদ গতকাল বিকালে এ সিদ্ধান্ত নেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ হোসেন বলেন, ড. পিয়াস করিমের লাশ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করার জন্য যাতে অনুমতি না দেয় সেই বিষয়টি মৌখিকভাবে কয়েকটি সংগঠন দাবি জানিয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। কারণ বেশ কিছু ছাত্র সংগঠন এই দাবি জানিয়েছে।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ইকোনমিক্স অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেসের অধ্যাপক পিয়াস করিমের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে সমাজবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি রাজনৈতিক অর্থনীতি, রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞান, জাতীয়তাবাদ এবং সামাজিক তত্ত্ব বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ছিলেন। দেশবরেণ্য এ টক শো আলোচক ২০০৭ সালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষকতা করেন। তিনি কার্নির নেব্রাস্কা বিশ্ববিদ্যালয় ও মিসৌরির কালভার-স্টকেটন কলেজে ১৭ বছর ধরে শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি নাগরিক সমাজ নিয়ে কাজ করে গেছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার বিভিন্ন জার্নাল প্রকাশিত হয়েছে।     
বাসার চিত্র: তার মৃত্যুসংবাদ শুনে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের কর্মী, বুদ্ধিজীবী, ভক্ত-অনুরক্তরা তার ধানমন্ডিস্থ বাসায় ছুটে যান। শোক সন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাতে বাসায় যান বিএনপি চেয়ারপার্সন ও ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক, কবি ও বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল, রামরু’র চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক সিআর আবরার, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর, ড. জাফরউল্লাহ চৌধুরী, ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)  মহাসচিব  এজেডএম জাহিদ হোসেন, ড. তুহিন মালিক, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীরপ্রতিক, এডভোকেট তাজুল ইসলাম, ঢাবি শিক্ষক ফেরদৌস আজিম, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, মহিলা দল নেতৃবৃন্দ, জামায়াত নেতা মতিউর রহমান আকন্দ ও সেলিম উদ্দিনসহ অনেকে।
এখন যাওয়ার সময় ছিল না: ড. পিয়াস করিম সম্পর্কে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, তার মৃত্যুতে জাতি একজন সুশিক্ষিত বুদ্ধিজীবীকে হারালো। জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তার পরিবারের বিরাট ক্ষতি হলো উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, তার পরিবার যেন শোক সইতে পারে সে কামনা করছি। নূরুল কবীর বলেন, তিনি একজন স্পষ্টভাষী রাজনীতি সচেতন ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকে তাকে চিনি উল্লেখ করে বলেন, তখন পিয়াস করিম বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে তার চিন্তার পরিবর্তন হলেও নীতির জায়গায় ঠিক ছিলেন। তিনি সমাজের নানান অসঙ্গতি সাহসিকতার সঙ্গে তুলে ধরতেন। ঢাবি শিক্ষক সিআর আবরার বলেন, ড. পিয়াস করিম মুক্তবুদ্ধি চর্চার একজন মানুষ ছিলেন। তিনি যেটা বলতেন সাহসের সঙ্গে বলতেন। এই সাহসিকতা তাকে অল্প সময়ের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় করে তুলেছিল। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সমন্বয়ক ড. জাফরউল্লাহ চৌধুরী বলেন, তার মতো সংগ্রামী, শিক্ষিত দেশপ্রেমিক অপরিণত বয়সে চলে গেল। বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থাও তার মৃত্যুর কারণ বলে তিনি মনে করেন। মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতিক বলেন, পিয়াস করিম একজন স্পষ্টভাষী, সত্যপ্রিয় বিশ্লেষক। সাধারণ মানুষের কথাগুলো তিনি সহজবোধ্য ভাষায় তুলে ধরতে পারতেন। টিভি দর্শকগণ দীর্ঘদিন তার অনুপস্থিতি অনুভব করবে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি আমার মরহুম ছোট ভাইয়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন তার মৃত্যুতে আমি ব্যথা অনুভব করছি। টক শো আলোচক ড. তুহিন মালিক বলেন, তার আকস্মিক মৃত্যু জাতিকে বড় ধরনের নাড়া দিয়ে গেছে। শুধু রাজনৈতিক নয়, সামাজিক অসঙ্গতিগুলো সাহসিকতার সঙ্গে তিনি তুলে ধরেছেন। যে ক’জন সাহসী মানুষ আছেন তাদের মধ্যে পিয়াস করিম প্রথম সারিতে ছিলেন উল্লেখ করে এরকম পুরুষ জন্ম নিতে অনেক বছর লাগবে। তিনি কামনা করেন এ রকম পিয়াস করিমের আগমন যেন দ্রুত ঘটে। এড. তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা শোকাভিভূত। এই কঠিন সঙ্কটের সময় তার মতো মানুষ খুব প্রয়োজন। যখন মানুষ কথা বলতে ভয় পাচ্ছিল তখন তিনি সাহস করেছিলেন। কথা বলছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আলী রীয়াজ ফেসবুকে লিখেছেন, প্রবাস জীবনের সবচেয়ে বড়  বেদনা যখন হাজার মাইল দূরের ফেলে আসা দেশ থেকে দুঃসংবাদ আমাদের দরজায় কড়া নাড়ে; যখন জানান দেয় যে হারিয়েছি প্রিয়জন বা বন্ধুকে। তখন বোঝা যায় দুঃসংবাদ বইবার ভার কতটা কঠিন। তখন মনে পড়ে শেষ কথাগুলো কবে বলা হয়েছিল; কি কথা হয়েছিল; কি কথা বলা হয়নি, কি কথা বলা দরকার ছিল। এক সময় কাছের মানুষ ছিল যারা, ভূগোলের দূরত্ব যাঁদের দূরে ঠেলে দিয়েছে তাঁদের নতুন-পুরনো স্মৃতিরা জেগে ওঠে; সেটা আমার ইচ্ছা নিরপেক্ষ। ১৯৭৯ সালের দিকে পরিচয়, সে তো অনেক দিনের কথা। তারপরে  যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া সময় গেছে, আবার যোগাযোগ তৈরির সময় গেছে; দেখা হওয়ার সময় গেছে, না  দেখার সময় গেছে। কিন্তু দেখা হলে কথা তো শুরু হয়েছে সেখান থেকেই যেখানে আমাদের শেষ কথা হয়েছিল। ঐকমত্যে-ভিন্নমতে আমরা তো বন্ধুই থাকি। সেই বন্ধুত্বের দাবিতে বলতেই পারি এটা যাওয়ার সময় নয়। গত বছর অক্টোবরে ওয়াশিংটনে আমাদের ভিন্নমতের যে আলোচনাটা শুরু এখনও তা শেষ হয়নি। পিয়াস করিম, এখন তোমার যাওয়ার সময় ছিলো না। কথা সাহিত্যিক মঈনুল আহসান সাবের লিখেছেন, এভাবে হুট করে চলে যেতে হয়, পিয়াস? সকালে রেজার ফোন। ওপাশে ওর হু হু কান্না, সাবের, শুনিস্‌নি তুই, পিয়াস আর নেই। নেই মানে? নেই মানে আর না থাকা? নেই মানে নেই হয়ে যাওয়া? নেই মানে আর দেখা না হওয়া? আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের তুমুল দিনগুলো থেকে গেল। তুমি আড্ডায় বসে কি নির্বিকার মুখে খোঁচাতেই না পারতে! আবার পরমুহূর্তে নিজের কথাগুলো কি গুছিয়েই না বলতে! এভাবে অগোছালো যাওয়ার কোন মানে হয় না, পিয়াস।
স্বাধীন বিবেকের উজ্জ্বল প্রতিনিধি: খালেদা জিয়া
এদিকে প্রয়াত প্রফেসর ড. পিয়াস করিমকে স্বাধীন বিবেকের উজ্জ্বল প্রতিনিধি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোট নেতা খালেদা জিয়া। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, দেশে যখন নাগরিক স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে, বিরোধী দলের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে, গণমাধ্যম ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে সংকুচিত করা হয়েছে তখন সত্যপ্রকাশে এক নিঃশঙ্কচিত্ত নির্ভীক ব্যক্তিত্ব ড. পিয়াস করিমের মৃত্যু এক অপূরণীয় বিশাল ক্ষতি। তিনি ছিলেন এই সময়ের স্বাধীন বিবেকের উজ্জ্বল প্রতিনিধি। মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে দুঃসময়ে দুঃসাহসের ওপর ভর করে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে তিনি কখনওই পিছপা হননি। খালেদা জিয়া মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। আলাদা শোকবার্তায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম শোকপ্রকাশ করেছেন। এছাড়াও যুবদল, শ্রমিক দল ও ছাত্রদল সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক আলাদা শোকবার্তায় শোক প্রকাশ করেন। পেশাজীবী সংগঠনের মধ্যে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ও ডক্টর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ড্যাব শোক প্রকাশ করেছে। রাতে বেগম খালেদা জিয়া ড. পিয়াস করিমের ধানমন্ডির বাসভবনে পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা ও সহানুভূতি জানাতে যান।
দেশপ্রেমিক এবং সত্যিকারের জ্ঞানী মানুষ: বি. চৌধুরী
এক শোকবার্তায় বিকল্পধারা বাংলাদেশ-এর সভাপতি ও সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ড. পিয়াস করিমের অকাল মৃত্যুর খবর শুনে আমি দুঃখিত ও মর্মাহত হয়েছি। তিনি ছিলেন একজন শিক্ষিত, সাহসী, রাজনীতি সচেতন দেশপ্রেমিক এবং সত্যিকারের জ্ঞানী মানুষ। দেশের এই দুঃসময়ে অল্প বয়সে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন, এটা ভাবি নাই। আমি তার রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোকাহত পরিবার, আত্মীয়-স্বজন এবং প্রিয়জনদের প্রতি গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করছি।
জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি: ফখরুল
ড. পিয়াস করিমের অকাল মৃত্যু গোটা জাতির জন্যও অপূরণীয় ক্ষতি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সকালে পিয়াস করিমের ধানমন্ডির ৭ নম্বর রোডের ৩২ নম্বরে বাসায় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি। মির্জা আলমগীর বলেন, তিনি শুধু রাজনৈতিক ও অর্থনীতিবিদ ছিলেন না। দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য লড়াই করে গেছেন। দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য যে ক’জন সদা সত্য কথা বলতেন তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন পিয়াস করিম। ওদিকে ভোরে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ বলেন, পিয়াস করিম ছিলেন বাক-স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পক্ষে সোচ্চার। দেশ যে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে, সেই মুহূর্তে তিনি আমাদের মাঝ থেকে চলে গেলেন। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে গণতন্ত্রের পক্ষে যে ক’জন সোচ্চার ছিলেন তার মধ্যে পিয়াস করিম অন্যতম ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.