হোয়াইট হাউসেও বৈষম্য!

হোয়াইট হাউস
যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসে নারী ও পুরুষ কর্মচারীদের বেতনে বৈষম্য রয়েই গেছে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম বছর থেকেই সেখানে পুরুষেরা নারী কর্মচারীদের তুলনায় বেশি বেতন পাচ্ছেন। ওয়াশিংটন পোস্ট-এর এক প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত হোয়াইট হাউসের নতুন বেতনের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, হোয়াইট হাউসে পুরুষ কর্মচারীরা গড়ে ৮৮ হাজার ৬০০ ডলার আয় করেন। আর তাঁদের নারী সহকর্মীরা পান গড়ে ৭৮ হাজার ৪০০ ডলার, যা পুরুষের বেতনের তুলনায় ১৩ শতাংশ কম।
২০০৯ সালে হোয়াইট হাউসের পুরুষ কর্মচারীদের গড় বেতন ছিল প্রায় ৮২ হাজার ডলার। তখন সেখানে নারী কর্মচারীদের গড় বেতন ছিল ৭২ হাজার ৭০০ ডলার। তখনো নারী-পুরুষের বেতনের গড় পার্থক্য ছিল প্রায় ১৩ শতাংশ। এর প্রধান কারণ হলো, হোয়াইট হাউসে পুরুষ কর্মচারীরা নারীদের তুলনায় জ্যেষ্ঠ পদে চাকরি করেন। হোয়াইট হাউসে বর্তমানে ৮৭ জন পুরুষ কর্মী রয়েছেন, যাঁরা তাঁদের ৫৩ জন নারী কর্মচারীর তুলনায় এক লাখ ডলারের বেশি বেতন পান। সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ পদে নারীদের তুলনায় পুরুষ কর্মী দুজন বেশি। এই বৈষম্য দূর করার চেষ্টা করছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। তিনি ইতিমধ্যে হোয়াইট হাউসের কর্মীদের ন্যূনতম বেতন বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছেন, যাতে নারীরা লাভবান হবেন। এ ছাড়া নারীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিতে সহায়ক আইন পাসেরও চেষ্টা করছেন ওবামা। এ প্রসঙ্গে গত মাসে পিটার্সবার্গে ওবামা বলেছিলেন, এটি শুধু নারীর নয়, বরং এটি একটি পারিবারিক ইস্যু। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেসিকা সানতিলো বলেন, ‘হোয়াইট হাউসে সমপর্যাদার পদে নারী ও পুরুষ কর্মচারীদের বেতনে কোনো বৈষম্য নেই। একই পদে নারী ও পুরুষ সমপরিমাণ বেতন পান। আর অর্ধেকেরও বেশি বিভাগ পরিচালনা করেন নারীরা।’

No comments

Powered by Blogger.