ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি হয়েও হলো না

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েও তা বাতিল করেছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনের হামাসও এমন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। গতকাল দু’পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে বলে খবর প্রকাশ হওয়ার পর পরই  তারা নিজেদের অবস্থান সুস্পষ্ট করেছে। ওদিকে গতকালও গাজায় তীব্র হামলা চালায় ইসরাইল। এ নিয়ে গাজায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৭। অন্যদিকে ইসরাইলে নিহত হয়েছে একজন। যুদ্ধবিরতির ঘোষণা শুনে ফিলিস্তিনে অবরুদ্ধ হয়ে পড়া মানুষ ঘর থেকে বের হন কেনাকাটা ও ব্যাংকে টাকা তুলতে। কিন্তু দু’পক্ষ ফের যখন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তখনই তাদের মধ্যে নেমে আসে আতঙ্ক। স্থানীয় সময় আজ সকাল ৬টায় কার্যকর হওয়ার কথা ছিল ওই যুদ্ধবিরতি। ওদিকে পবিত্র রমজানে গাজার মুসলমানদের দুর্দশা অবর্ণনীয়। আকাশ ও স্থলপথে তাদের দিকে তীব্র করা হচ্ছে আক্রমণ। সে শব্দে কেঁপে, কেঁদে উঠছে ঘুমন্ত শিশু। আবার অনেক শিশু ঘুমের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। সাজানো সংসার, বাড়িঘর মুহূর্তেই মাটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। নিহতদের বেশির ভাগই বেসামরিক নারী ও শিশু। হাসপাতালের মর্গে নিথর শিশুকে দেখে বুকফাটা আর্তনাদে ফেটে পড়ছেন মা, বাবা-আত্মীয়রা। গগনবিদারী সে আর্তনাদে পরিবেশ ভারি হয়ে উঠছে। তারপরও আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করে ইসরাইল গাজায় মুসলমানদের ওপর নৃশংস হামলা চালাচ্ছে। কিন্তু এ বিষয়ে আরব বিশ্ব রয়েছে নীরব। ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলে রকেট হামলা করছে এমন অভিযোগে ইসরাইল চালু করেছে অপারেশন প্রটেক্টিভ এজ। তারা আরও দাবি করছে, হামাস বেসামরিক জনগণকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। তারা বেসামরিক লোকজনকে জিম্মি করে তাদের আবাসনে আশ্রয় নিয়েছে। বুধবার ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক ইউএন রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি বলেছে, তারা গাজায় একটি পরিত্যক্ত স্কুলে লুকানো অবস্থায় ২০টি রকেট উদ্ধার করেছে। কে বা কারা তা সেখানে লুকিয়ে রেখেছে তা জানা যায় নি। ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মিশর। গতকাল প্রথমে শোনা যায়, ইসরাইলি মধ্যস্থতাকারীরা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। কিন্তু ইসরাইলের মন্ত্রিসভা তা অনুমোদন দেয় নি। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, তারা গাজায় স্থল হামলা জোরালো করেছে।

No comments

Powered by Blogger.