সামরিক অভিযানে ভেস্তে গেল চতুর্থ বিয়ের স্বপ্ন

নিজের কয়েকটি সন্তানের সঙ্গে গুলজার খান l এএফপি
তিন স্ত্রী আর ৩৬ সন্তান নিয়ে সুখেই দিন কাটছিল তাঁর। আরেকটি বিয়ের খায়েশ পূরণের জন্য অর্থ সঞ্চয়ও করেছিলেন ৫৪ বছর বয়সী গুলজার খান।কিন্তু উত্তর ওয়াজিরিস্তানে পাকিস্তানি সেনাঅভিযানে সব এলোমেলো হয়ে গেছে।খবর এএফপির। তালেবানসহ অন্য জঙ্গিদের দীর্ঘদিনের ঘাঁটি উচ্ছেদের লক্ষ্যে সেনাবাহিনী ওই অভিযান চালায়।তার আগে স্থানীয় লাখো মানুষকে বাড়িঘর ছাড়তে হয়েছে। শাওয়া গ্রামে ৩৫ কক্ষের একটি বাড়িতে স্ত্রী, সন্তান, নাতি-নাতনিসহ পরিবারের প্রায় ১০০ জন সদস্যকে নিয়ে থাকতেন গুলজার। কিন্তু অভিযানের আগে সেখান থেকে গোটা পরিবারকে বান্নু এলাকায় সাময়িক–ভাবে স্থানান্তর করতে গিয়ে খরচ হয়ে গেছে তাঁর চতুর্থ বিয়ের লক্ষ্যে সঞ্চিত অর্থ। তবে আবার সঞ্চয় শুরু করে দিয়েছেন।আর আশা করছেন, অভিযান শিগগিরই শেষ হবে।
ইসলামি আইনে একজন পুরুষের চারটি বিয়ের বৈধতা রয়েছে। পাকিস্তানের অত্যন্ত রক্ষণশীল উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বড় পরিবারগুলোয় সেই প্রথা মেনে চলা হয়। গুলজারের স্ত্রীরা গড়ে এক ডজন করে সন্তান জন্ম দেওয়ার পর সন্তান নিতে অনাগ্রহী। তিনি বলেন, ‘তিন স্ত্রীই এখন আমাকে এড়িয়ে চলে। তারা আর সন্তান চায় না। তাই আমি চতুর্থ বিয়ে করতে চাই। তারা আমাকে কাছে ঘেঁষতে দেয় না। কিন্তু আমি আরও সন্তান চাই।’ ১৭ বছর বয়সে গুলজার প্রথম বিয়ে করেন ১৪ বছর বয়সী চাচাতো বোন শাওয়াকে। তাঁদের আট ছেলে ও চার মেয়ে রয়েছে। প্রথম বিয়ের আট বছর পর ১৭ বছর বয়সী আরেক তরুণীকে বউ করেন গুলজার। বান্নু এলাকায় ১৭ কক্ষের একটি বাড়িতে ঠাঁই নিয়েছে গুলজারের বিশাল পরিবার। তিনি ১৯৭৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে ট্যাক্সিচালকের কাজ করেন। তিনি তৃতীয় বিয়ে করেন নিজের ভাইয়ের বিধবা স্ত্রীকে। স্থানীয় একটি বিরোধের জেরে গুলজারের ভাই নিহত হন।

No comments

Powered by Blogger.