মিডিয়া বনাম শামীম ওসমান by আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী

নারায়ণগঞ্জের একটি বিখ্যাত পরিবারের সন্তান এবং আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমান ক্রমশই চট্টগ্রামের আরেকটি বিখ্যাত পরিবারের ছেলে সাকা চৌধুুুুরীর মতো বিতর্কিত হয়ে উঠছেন। এটা দুর্ভাগ্যজনক। এ দুটি পরিবারই বঙ্গবন্ধু পরিবারের অতি ঘনিষ্ঠ। এ জন্যই সাকা চৌধুরীর পিতা ফজলুল কাদের চৌধুরী যুদ্ধাপরাধী (৭১ সালের) হওয়া সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু এই পরিবারটির প্রতি স্নেহশীল ছিলেন এবং দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই পরিবারটি যাতে লাঞ্ছিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেছিলেন। অবশ্য সাকা চৌধুরী তার স্বভাবজাত দুর্বৃত্তপনার জন্য সেই স্নেহের কোনো মর্যাদা রাখেননি। এখন তিনি একাত্তরের দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধী হিসেবে কারাবাসে আছেন। তার অসাধারণ বাকপটুতা অশোভন ও অশালীন কথাবার্তা বলায়। এখন সেই হম্বিতম্বি খুব একটা শোনা যায় না।

চট্টগ্রামের সাকা চৌধুরীর সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের শামীম ওসমানের একটা বিরাট পার্থক্যও আছে। শামীম ওসমান যুদ্ধাপরাধী নন, বরং মুক্তিযোদ্ধা এবং তার গোটা পরিবারই মুক্তিযোদ্ধা। এই পরিবারের খান সাহেব ওসমান আলী আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং শামীম ওসমানের বাবাও ছিলেন আওয়ামী লীগের সামনের কাতারের একজন নেতা এবং সংসদ সদস্য। বঙ্গবন্ধুর মতো তার কন্যা শেখ হাসিনারও এই পরিবারটির প্রতি যথেষ্ট স্নেহ-মমতা রয়েছে। শামীম ওসমানও বঙ্গবন্ধু পরিবার ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।
তা সত্ত্বেও সাকা চৌধুরীর স্বভাব চরিত্রের সঙ্গে শামীম ওসমানের একটা জায়গায় মিল আছে, তা হল অশোভন ও অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলায় এবং অসঙ্গত কার্যকলাপে। শামীম যুদ্ধাপরাধ করেননি; কিন্তু তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ আছে। আর কথাবার্তা বলায় তার শালীনতা ও দম্ভের আগেও কোনো সীমা ছিল না। বর্তমানে তা সব সীমা অতিক্রম করেছে। তিনি ঢাকার সব মিডিয়ার সাংবাদিকদের (একটি মাত্র কাগজ ছাড়া) কুকুর আখ্যা দিয়েছেন এবং বলেছেন, এরা সবাই সংবাদপত্রের বড়লোক মালিকদের কালো টাকা পাহারা দেয়ার জন্য নিযুক্ত কুকুর। আগে তারা এই পাহারার কাজে কুকুর পুষতো, এখন সাংবাদিক পোষে।
ক্ষমতাসীন দলের একজন বিশিষ্ট নেতা ও সংসদ সদস্য এবং দেশের একটি বিখ্যাত পরিবারের সন্তানের মুখে এসব কথা মানায় কি? নারায়ণগঞ্জের সেভেন মার্ডারের ঘটনা এবং সেই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আসামি নূর হোসেন কলকাতায় ধরা পড়ার পর তার কোনো কোনো জবানবন্দিকে কেন্দ্র করে ঢাকার একশ্রেণীর মিডিয়া শামীম ওসমানও এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ছিলেন এমন একটা সন্দেহ জনমনে সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে তা সত্য। একটা দৈনিক তা বিশেষভাবে করে চলেছে। তাকে উইচ হান্টিংও বলা চলে। কিন্তু সব কাগজ ও তাদের সাংবাদিকরা তা করেননি। শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে আগেও যে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ ছিল তাকে ভিত্তি করে কোনো কোনো মিডিয়ায় তার প্রতি সন্দেহের তীর নিক্ষেপ করা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
একটি বড় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তকারী পুলিশের মতো তদন্তকারী সাংবাদিকদেরও সবাইকে সন্দেহ করার (তা সঠিক নয়, প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত) অধিকার আছে। এক্ষেত্রে শামীম ওসমানের উচিত নিজেকে এই সন্দেহ থেকে মুক্ত করার জন্য সর্বপ্রকার তদন্ত ও অনুসন্ধানে নিজেকে খোলামেলাভাবে তুলে ধরা। যে বিশেষ সংবাদপত্রটি তার বিরুদ্ধে বিশেষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে উইচ হান্টিংয়ে নেমেছে, তার মুখোশ উন্মোচিত করা। দেশের সব সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের (একটি ছাড়া) কুকুর আখ্যা দেয়ার মতো অসংযত ও অশালীন মনোভাব দেখানো নয়। অভিযোগ যতই তিক্ত এবং অসত্য হোক, তার জবাব দিতে গিয়ে রেগে গেলে বা শালীনতার সীমা ছাড়ালে সাধারণ মানুষের মনে সন্দেহ দেখা দিতে পারে, অভিযোগটি সত্য।
শামীম ওসমান যদি তার বিদ্বিষ্ট (গোটা আওয়ামী রাজনীতির প্রতিই পত্রিকাটি বিদ্বিষ্ট) বিশেষ পত্রিকাটির প্রচারণায় শালীন জবাব দিতেন, তাহলে আপত্তির কিছু ছিল না। এই পত্রিকাটি আগেও আওয়ামী লীগ-বিদ্বেষ থেকে শামীম ওসমানের লুঙ্গির খুট ধরে টানাটানি করেছে এবং তা সীমা ছাড়িয়েছে নারায়ণগঞ্জের মেয়র নির্বাচনে সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে শামীম ওসমানের প্রতিদ্বন্দ্বিতার সময়। বিপুল ভোটে শামীম ওসমানের পরাজয়েও সম্ভবত এটাও একটা কারণ। তাতে শামীম ওসমানের রাগ থাকতেই পারে। কিন্তু একজন রাজনৈতিক নেতার প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা নিয়ে যদি তিনি বিষয়টি ভাবতেন তাহলে একটি পত্রিকার নীতি ও সাংবাদিক সততা নিয়েই প্রশ্ন তুলতেন; গোটা দেশের সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের সম্পর্কে জঘন্য অবমাননাকর উক্তি করে তার নিজের, দলের ও পরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেন না।
আমি তাকে চিনি এবং স্নেহ করি। এই পরিবারের অনেকের সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা দীর্ঘদিনের। প্রয়াত বন্ধু মোস্তফা সারোয়ারের কথা আমি এখনও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। তাই শামীম ওসমানকে উপদেশ দেই, নিজেকে সংযত করুন। দেশের সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চান। একটি বিখ্যাত পরিবারের এবং জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করুন। নিজেকে সাকা চৌধুরীর মতো এক দুর্বৃত্তের পর্যায়ে নামিয়ে আনবেন না।
নারায়ণগঞ্জে সেভেন মার্ডারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শামীম ওসমানকে নিয়ে জল্পনা-কল্পনা অস্বাভাবিক কিছু নয়। যে কোনো দেশেই এ ধরনের ঘটনায় সংবাদপত্রকে খোঁজখবর নিতে এগিয়ে আসতে হয় এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের নিয়ে খবর প্রকাশ তাদের কর্তব্য এবং দায়িত্ব। কোনো সংবাদপত্র এ ব্যাপারে বাড়াবাড়ির এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপরায়ণতার পরিচয় দেখালে ক্ষমতাসীন সরকার সমালোচিত সন্দেহভাজন ব্যক্তির পক্ষে (তিনি দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত) অবশ্যই দাঁড়াতে পারেন। কিন্তু সরকার বা সরকার পক্ষকে সে সুযোগ না দিয়েই শামীম ওসমান যেভাবে অনবরত দায়িত্বহীন ও পরস্পরবিরোধী কথাবার্তা বলে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে তোলেন, তাতে প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল শামীম ওসমানকে সংযত হওয়ার এবং সাত খুনের মামলার তদন্তে আন্তরিকভাবে সহায়তাদানের পরামর্শ দেয়া।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা করেননি। তিনি সংসদে দাঁড়িয়ে জোর গলায় বলেছেন, তিনি শামীম ওসমানের পরিবারের পক্ষে। এই কথাটি জোর গলায় বলার কি কোনো দরকার ছিল? নারায়ণগঞ্জের মেয়র নির্বাচনের সময় জনগণের ভোট শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে এ কথা জেনেও তিনি সেলিনা হায়াৎ আইভীর পরিবর্তে তাকে দলের মনোনয়ন দিয়েছিলেন। নির্বাচনে শামীম ওসমানের বিরাট পরাজয়ের পরও তিনি গত সংসদ নির্বাচনে এ এলাকায় মানুষের মতামতকে উপেক্ষা করে আবার শামীম ওসমানকে মনোনয়ন দিয়েছেন। এটা কি জনগণের রায় ও মনোভাবকে উপেক্ষা করার শামিল নয়? জনগণ তো জানেই, তারা না চাইলেও প্রধানমন্ত্রী শামীম ওসমানের পক্ষে থাকবেন। এটা নতুন করে ঘোষণা করার তো দরকার ছিল না। ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে জানিয়ে দিলেন, তিনি জনগণের মনোভাবকে তোয়াক্কা করেন না এবং তার সমর্থন যে কোনো অবস্থায় একটি পরিবারের পক্ষেই।
এই মনোভাব জননেত্রী শেখ হাসিনার ভাবমূর্তির সঙ্গে মানায় না। বঙ্গবন্ধু-কন্যার মানসিকতাও এটা হতে পারে না। সম্ভবত দলনেত্রী ও জননেত্রীর কাছে প্রশ্রয় পেয়েই শামীম ওসমান আরও উদ্ধত হয়েছেন এবং একজন পুলিশ অফিসারকেও ধমকাতে সাহস পেয়েছেন। তার এই ঔদ্ধত্য আরও বেড়েছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের আরও একটি ঘোষণায়। তিনিও প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠ অনুসরণ করে (অথবা তার নির্দেশে) বলেছেন, তারা শামীম ওসমানের পরিবারের পক্ষে। সঙ্গতভাবেই দেশে প্রশ্ন উঠেছে, দেশের সরকার যদি একটি পরিবারের পক্ষে দাঁড়ায়, তাহলে দেশের মানুষের পক্ষে দাঁড়াবে কে?
এখানে আরও একটি প্রশ্ন আছে। যেখানে একটি পরিবারের বিশিষ্ট সদস্যের বিরুদ্ধে একটি গুরুতর অভিযোগ উঠেছে (সত্য মিথ্যা যা-ই হোক), সেখানে দেশের সরকারই যদি আগাম ঘোষণা দেয়, তারা ওই পরিবার অথবা অভিযুক্ত ব্যক্তির পক্ষে, তাহলে ওই অভিযুক্ত বা সন্দেহভাজন ব্যক্তির সম্পর্কে তদন্ত পরিচালনা সরকারি পুলিশ বা গোয়েন্দা বাহিনীর পক্ষে সম্ভব কি? যদি সম্ভব না হয় তাহলে বিচারের বাণী নীরবে-নিভৃতে কাঁদবে। আওয়ামী লীগের মতো দলের শাসনামলে এই ধরনের কান্না শোনার আশংকা দেশের মানুষ কখনও করেছিল কি?
দেশের সাংবাদিকদের অবমাননা করে শামীম ওসমান যে কথা বলেছেন তাতে আমিও ক্ষুব্ধ। আমিও দেশের একজন সাংবাদিক। আমি শামীম ওসমানের কাছে শুধু সাংবাদিক হিসেবে নয়, তার বড় ভাই এবং একজন শুভাকাক্সক্ষী হিসেবে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা দাবি করি। তিনি যদি তা না করেন, তাহলে দলমত নির্বিশেষে দেশের সব সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের উচিত হবে, তাকে বয়কট করা। তার কথাবার্তা সব কিছু প্রকাশ বন্ধ করা। দেশের মানুষের উচিত হবে, নারায়ণগঞ্জের সাত খুনে তার সত্যই কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তার অবাধ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করার জোর দাবি জানানো। দোষী সাব্যস্ত হলে সাকা চৌধুরীর মতোই তার দণ্ড হওয়া উচিত।
এই প্রসঙ্গে বলি, দেশের একশ্রেণীর মিডিয়া, যারা নিরপেক্ষতার ভান করে তাদের পছন্দের নয় এমন রাজনীতিকদের নিয়ে চরিত্র হননের সাংবাদিকতা করেন, তারা এই অসৎ সাংবাদিকতা থেকে বিরত হোন। তাদের দুষ্ট সাংবাদিকতা দেশের সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকদের শুনাম ও ভাবমূর্তিতে কালিমা লেপন করে এবং শামীম ওসমানের মতো ব্যক্তিদের সাংবাদিকদের সম্পর্কে জঘন্য অবমাননামূলক উক্তি করার সাহস জোগায়। দেশের সাংবাদিকদের উচিত, একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর এই অপসাংবাদিকতা থেকে দেশের সৎ ও শুভ সাংবাদিকতাকে রক্ষা করা এবং তার সুনাম ও মর্যাদা রক্ষা করা।
আমরা অতীতেও দেখেছি, একটি পত্রিকার পছন্দের রাজনীতির লোক না হলেই কোনো কোনো প্রভাবশালী রাজনীতিকের সম্পর্কে চরিত্র হননে কখনও কৌশলী, কখনও সরাসরি প্রচারণা চালানো হয়েছে। তাদের সন্ত্রাসী সাজানো হয়েছে এবং তাদের রাজনৈতিক জীবন শেষ করে দেয়া হয়েছে। এই বিশেষ দৈনিককে দেখা গেছে, শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে কুৎসা ছড়াতে যতটা আগ্রহী, সাকা চৌধুরীর জঘন্য অপরাধগুলো সম্পর্কে নিত্যপ্রচার চালাতে তারা ততটা আগ্রহী ছিল না।
ফেনীর জয়নাল হাজারীকে নিয়ে এই পত্রিকাটির অতি প্রচারণা এক সময় দেশে সাংবাদিকতার জগতে যথেষ্ট কালি ছিটিয়েছে। এই পত্রিকার সম্পাদক হাজারীর বিরুদ্ধে অনবরত উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণা (সত্য মিথ্যা যা-ই হোক) চালানোর ফলে জয়নাল হাজারীও তার তৎকালীন সংসদ সদস্য পদের রক্ষাকবচের সুযোগ নিয়ে ওই পত্রিকার সম্পাদকের বিরুদ্ধে যে কুৎসিত অভিযোগ তোলেন এবং অন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে সেই কুৎসা প্রকাশ করেন, তা ওই সম্পাদকের জন্য এক চরম অবমাননাকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ফলে ওই পত্রিকার সম্পাদক দেশের অন্য সম্পাদক ও সাংবাদিকদের শরণাপন্ন হন এবং তারা যুক্তভাবে হাজারীর বিরুদ্ধে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ওই সম্পাদকের সম্মান রক্ষার ব্যবস্থা করেন।
শামীম ওসমান সম্পর্কিত অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার আগেই তাকে নিয়ে একটি বা একশ্রেণীর মিডিয়ার উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণার বাড়াবাড়ি সম্পর্কেও দেশের সৎ ও প্রকৃত সাংবাদিকদের যেমন সতর্ক থাকা এবং তাদের পেশার সততার সুনাম রক্ষা করা উচিত, তেমনি একটি বা একশ্রেণীর পত্রিকার বাড়াবাড়িকে অজুহাত করে দেশের সব সাংবাদিককে গালনিন্দা করা থেকে শামীম ওসমানের মতো বিতর্কিত ব্যক্তিদের বিরত করা ও বিরত রাখা উচিত। এ কাজটি তার দলনেত্রী শেখ হাসিনাই ভালো পারেন এবং তার পারা উচিত। শামীম ওসমানের ধৃষ্ট বক্তব্য তার নিজের, তার দলের ক্ষতি করবে এবং এমন একটি অসুস্থ পরিবেশ সৃষ্টি করবে যা দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে না।
লন্ডন ২৯ জুন ॥ রবিবার, ২০১৪

No comments

Powered by Blogger.